সুইজারল্যান্ডের জুরিখে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত
গত ২৬শে মার্চ রবিবার জুরিখের ১১৪ লিমাট স্ট্রিট বাংলা স্কুল মিলনায়তনে ৪৭তম মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হয়েছে । মহান স্বাধীনতা দিবসে বাংলা স্কুল জুরিখের এবারের কর্মসূচিতে ছিল, বই মেলা, পিঠা উৎসব, বিদেশীদের নিয়ে ছবি প্রজেকসন এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
জুরিখের লিমাটপ্লাজের বাংলা স্কুল মিলনায়তেনের নিচতলায় ১১৪ নম্বর লিমাটস্ট্রিটের ফয়ার হল জুড়ে ছিল হরেক রকমের পিঠা এবং বইয়ের মেলা, গির্জার হলে বাংলাদেশ এবং মুক্তি যুদ্ধের উপর ঘন্টা ব্যাপি ছবি প্রদর্শনী এবং হানস বেডার হলে মুক্তির গান শিরোণামের সংগীতানুষ্ঠান।
ডিজিটাল যুগের ইলেক্টনিক্স ইকুইপমেন্টের অতিরিক্তি নেতিবাচক ব্যাবহার বিশেষ করে গেইমস, আমাদের নতুন প্রজন্মকে বই থেকে দুরে সরিয়ে রাখছে। এ সমস্যা সমাধানে প্রত্যেকের হাতে বই দিয়ে বই পড়ার অভ্যাস গঠনের লক্ষ্যে সবাইকে এগিয়ে আসার তাগিদ দেয়ার প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করে প্রথমবারের মতো এই মেলার আয়োজন করে বাংলা স্কুল জুরিখ।
জুরিখের এই বই মেলায় জার্মান ভাষায় আমাদের বাংলা সাহিত্যের কয়েকটি উল্লেখ্যযোগ্য বই অনুবাদ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে সুইজের একটি প্রকাশনী সংস্থা।
একদিনের জন্য হলেও “পিঠা খাও আর বই পড়“ এমন শিরোনামের এই উৎসবে উপস্থিত ছোট বড় দেশী বিদেশী সবার উৎসাহ ছিল বেশ আশাব্যান্জক।
পাশেই হানস বেডার হলে মুক্তির গান শিরোণামের সংগীতানুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন মনিরুল ইসলাম আক্তার, সংগীত পরিবেশনা করেন জার্মান প্রবাসী সংগীত শিল্পী প্রকৌশলী মিনহাজ দীপন, রোকন সহ এবং স্থানীয় শিল্পীবৃন্দ। তবলায় ছিলেন আর এক জার্মান প্রবাসী বাংলাদেশী প্রকৌশলী চিরন্জিত চাকি যথারিতি স্কুলের সহযোগী সংগঠন শ্রী চিন্ময় সেন্টারের ভিনদেশী বন্ধুরা এবং স্কুলের শিশুরা পরিবেশনা করেন জাতীয় সংগীত এবং দেশের গান।
পিঠা উৎসব শুরু হওয়ার পূর্বে গির্জারহলে সুইজের মেইনস্টিমের শতাধিক অংশগ্রহনকারীদের নিয়ে বাংলাদেশ এবং মুক্তি যুদ্ধের উপর ঘন্টা ব্যাপি ছবি প্রদর্শন এবং সেমিনারের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে আলোচক ছিলেন হেক্স প্রজেক্ট র্কমকর্তা মাথিয়াজ হাউপ্ট। তিনি তাঁর বক্তব্যে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্থান কতৃক সংগঠিত গণ হত্যার বিষয়টিও আলোচনায় নিয়ে আসেন।
স্বাধীনতা দিবসে আয়োজিত এই সবকটি অনুষ্ঠানেই উপস্থিত ছিলেন সুইজারল্যান্ডে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের প্রথম সচিব মোহাম্মাদ হোসেন সরকার।
তিনি প্রবাসে দেশের ভাবমূর্তি বিকাশের লক্ষ্যে প্রবাসী বাংলাদেশীদের সবাইকে এক সাথে কাজ করার আহবান জানান। তিনি প্রবাসীদের সকল সমস্যায় পাশে থাকবার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
জুরিখ প্রবাসী বাংলাদেশীদের র্দীঘ দিনের দাবী জুরিখে কনসোল সেবা প্রদান চালু প্রসংগে তিনি বলেন- মাননীয় রাস্ট্রদূত বিষয়টি অবগত আছেন এবং দ্রুতই জুরিখে অস্থায়ী মিশনের কাজ শুরু হবে। জুরিখে কনসোল সেবা প্রদানের দাবির সাথে তিনি পুরো পুরি একমত প্রকাশ করেন।
প্রবাসে বাংলা ভাষা এবং সংস্কৃতি বিকাশের লক্ষ্যে আয়োজিত এই উৎসবে বরাবরের মতো এবারেও দেশী বিদেশীদের অংশগ্রহন ছিল প্রশংশনীয়।
এলএবাংলাটাইমস/এএল/এলআরটি
শেয়ার করুন