আপডেট :

        চুক্তিতে যেতে আগ্রহ নন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন

        গণহত্যার প্রতিবাদে চীন বর্জনের ডাক

        রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির আশা

        টানা তাপপ্রবাহের মধ্যে আবহাওয়ায় ব্যপক পরিবর্তন

        হানিফ ফ্লাইওভারের উপরের যানজটকে সহনীয় পর্যায়ে আনার জন্য সমন্বয় সভা

        মালদায় দেবের হেলিকপ্টারে আগুন

        প্যারিসের সায়েন্সেস পো ইউনিভার্সিটি থেকে গাজাপন্থী কিছু শিক্ষার্থীকে সরিয়েছে পুলিশ

        চাঁদের উদ্দেশে যাত্রা পাকিস্তানের স্যাটেলাইট

        চাঁদের উদ্দেশে যাত্রা পাকিস্তানের স্যাটেলাইট

        এজলাস কক্ষে এসি স্থাপন সময়ের দাবি

        জিম্বাবুয়ের দেওয়া ১২৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করছে বাংলাদেশ

        জিম্বাবুয়ের দেওয়া ১২৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করছে বাংলাদেশ

        ট্রেনে গুনতে হবে বাড়তি ভাড়া

        রাজশাহীর গোদাগাড়ির ছেলে রাফায়েল টুডু ১২ গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতা

        রাজশাহীর গোদাগাড়ির ছেলে রাফায়েল টুডু ১২ গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতা

        স্বাধীন সাংবাদিকতাকে নিরুদ্দেশ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব

        কেজরিওয়াল ও রাহুলকে ঘিরে চড়ছে ভোটের পার

        রাজধানী ঢাকায় ঝুম বৃষ্টির সম্ভাবনা

        এক টেবিলে গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা দিলেন ১৮ জন!

        এক টেবিলে গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা দিলেন ১৮ জন!

ভোলায় নদী ভাঙন রোধে চলছে ৫৫১ কোটি টাকার কাজ

ভোলায় নদী ভাঙন রোধে চলছে ৫৫১ কোটি টাকার কাজ

ভোলার দৌলতখান ও বোরহানউদ্দিন (ভোলা-২ আসন) উপজেলায় প্রমত্ত মেঘনা নদীর ভাঙন রোধে ৫৫১ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ এগিয়ে চলছে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাস্তবায়নে ফোল্ডার ৫৬/৫৭ রক্ষা প্রকল্পের মাধ্যমে ভাঙনকবলতি এ দুটি উপজেলার প্রায় সাড়ে ৯ কিলোমিটার নদীর তীর এলাকা সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ব্লক ও জিও ব্যাগ স্থাপনের মাধ্যমে ২০১৬ সালের নভেম্বরে শুরু হওয়া কাজ ২০১৯ সালের জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

ইতোমধ্যে প্রকল্পের ৫১ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ফলে চলতি বর্ষা মৌসুমে বেশ কয়েকটি এলাকা প্লাবন থেকে রক্ষা পেয়েছে। এ ছাড়া এ দুটি উপজেলার নদী নিয়ন্ত্রণে আরো ১১ শ কোটি টাকার ২টি প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার যখনই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে, তখনই অবহেলিত এলাকায় উন্নয়ন হয়। নদী ভাঙন ছিল এ এলাকার মানুষের প্রধান সমস্যা। কিন্তু বর্তমান সরকারের সময়ে সে সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়েছে মানুষ। এখন নদী শাসনের কাজ এগিয়ে চলায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক কেটে গিয়ে নিরাপত্তা বিরাজ করছে।

এমপি মুকুল আরো বলেন, দৌলতখান উপজেলার লঞ্চঘাট এলাকা থেকে রাধা বল্লব চৌকিঘাট পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার এলাকার নদী ভাঙন রক্ষায় প্রায় ৩ শ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, ভোলা-২ আসন নিয়ে গঠিত দৌলতখান ও বোরহানউদ্দিন উপজেলায় নদীর তীর রক্ষায় মোট ৫০ লাখ ২৬ হাজার ৯৩২টি সিসি ব্লক এবং ১৪ লাখ ৫৪ হাজার ৬৭২টি জিও ব্যাগ স্থাপন করা হবে। ইতোমধ্যে ২৭ লাখ ৩৩ হাজার ৫৭৬টি ব্লক এবং ৫ লাখ ৫২ হাজার ২৬৩টি জিও ব্যাগ তৈরি হয়েছে।এর মধ্যে সকল জিও ব্যাগ নদীর তীরে স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে। ব্লক স্থাপনও চলছে। দৌলতখান উপজেলার মাছ বাজার এলাকা থেকে উন্নয়ন কাজ শুরু হয়ে ভবানীপুর, সৈয়দপুর, মাইনকা, বাটামারা এলাকা হয়ে বোরহানউদ্দিনের পক্ষিয়া ইউনিয়ন পর্যন্ত মেঘনা পাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় কাজ হবে। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে এখানকার ফসলি জমি, বাড়ি-ঘর, বিভিন্ন স্থাপনাসহ ২ হাজার কোটি টাকারও বেশি সম্পদ স্থায়ীভাবে রক্ষা পাবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকোশলী বাবুল আক্তার বলেন, এ প্রকল্পের মোট ২২টি প্যাকেজের মধ্যে সবগুলোর কাজ চলমান রয়েছে। সাধারণত জিও ব্যাগ স্থাপনের পরই তীরে ব্লক স্থাপন করা হয়। গত অর্থবছরে কাজের ৪৬ ভাগ সম্পন্ন করার টার্গেট থাকলেও তা ৫১ ভাগ হয়েছে। তাই নির্ধারিত সময়ের আগেই এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন সম্ভব হবে বলে তিনি মনে করেন।

বাবুল আক্তার বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে এখানে প্রায় ২ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া নদীর তীর সংরক্ষণ সম্পন্ন হওয়ায় ভাবানীপুর, সৈয়দপুর, পক্ষীয়া ও মাইনকা এলাকার লক্ষাধিক মানুষ চলতি বর্ষায় এর সুফল ভোগ করছেন।


এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত