খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি, শহরের তুলনায় গ্রামের মানুষ বেশি কষ্টে
কারও চেহারা দেখে ছাড় দিবো না: সিইসি
ভোটকেন্দ্রে যাতে কোনো ‘বেআইনি কাজ’ না হয়,
আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীকে তা নিশ্চিত করতেবলেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ।সেই সঙ্গে ভোটে পেশীশক্তি ও কালো টাকারব্যবহার বন্ধে প্রার্থীদের সহযোগিতা চেয়েছেনতিনি।সোমবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনেরপ্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে এক মতবিনিময়সভায় তিনি বলেন, সুষ্ঠু ভোট আয়োজনে যা যা করাদরকার তার সবই ইসি করবে। ভোটাররা যাতেনির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে যেতে পারেন, তারউপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে।প্রার্থীদের আচরণবিধি মেনে চলার এবংনির্বাচনী পরিবেশ বজায় রাখার অনুরোধজানিয়ে কাজী রকিব বলেন, “শান্তিপূর্ণপরিবেশে ভোট করার ঐতিহ্য প্রতিষ্ঠা করুন।”সেই সঙ্গে প্রশাসন ও পুলিশের কর্মকর্তাদেরদায়িত্ব পালনে ‘নিরপেক্ষতা’ নিশ্চিত করারনির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, “কারও চেহারাদেখে কোনও ধরনের ছাড় দেবেন না। কোনোবিষয়ে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে হবে।”সিইসি বলেন, “সবাই নিরপেক্ষভাবে দায়িত্বপালন করুন। ভোটকেন্দ্র সুরক্ষিত রাখুন। সেখানেযাতে কোনো বেআইনি কাজ করতে দেওয়া না হয়।কোনোভাবে ভোটকেন্দ্রে বেআইনি কাজ করতেদেওয়া হবে না।”ভোটে কালো টাকা ও পেশি শক্তির প্রভাব কাজকরছে- কয়েকজন প্রার্থীর এমন অভিযোগের পরসিইসি বলেন, “কালো টাকা ও পেশি শক্তিরব্যবহার নির্বাচনে বন্ধ হোক। এ ধরনের কোনোতথ্য আপনারা পেলে সঙ্গে সঙ্গে আমাদের জানান।রিটার্নিং অফিসার ও পুলিশকে জানান।সুনির্দিষ্ট তথ্য দিন, আমরা ব্যবস্থা নেব।”হলফনামায় তথ্য গোপন করে বা অসত্য তথ্য দিয়েকেউ পার পাবে না বলেও তিনি হুঁশিয়ার করেন।“তথ্য গোপন বা মিথ্য তথ্য দিলেই আমরা ব্যবস্থানিচ্ছি। এ ধরনের কাজ করলে সংশ্লিষ্টদেরবিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। কারও মুখ চেয়ে ছেড়েদেব না। ভবিষ্যতেও প্রার্থিতা বাতিল হতেপারে।”এর আগে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে পাঁচধাপে উপজেলা ভোটের সময়ও ভোটকেন্দ্র দখলসহনানা অভিযোগও উঠেছিল।আর এবার ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রামসিটি করপোরেশনের ভোট হচ্ছে ২৮ এপ্রিল, যাতেভোট দেবেন ৬০ লাখেরও বেশি ভোটার।শনিবার চট্টগ্রামে, রোববার ঢাকা উত্তরে মতবিনিময়ের পর সোমবার ঢাকা দক্ষিণের মেয়র,কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারীকাউন্সিলর পদের প্রায় পাঁচশ প্রার্থীর সঙ্গেইসির এই মতবিনিময় হয়।চার নির্বাচন কমিশনার, কমিশন সচিব, ঢাকারবিভাগীয় কমিশনার, ঢাকার পুলিশ কমিশনার ওদক্ষিণের রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরাফার্মগেইটের কেআইবি কমপ্লেক্সে এইমতবিনিময়ে অংশ নেন।আগামী ১৯ এপ্রিল আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর শীর্ষকর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠকে বসবে কমিশন। ওইবৈঠকে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সেনামোতায়েন হবে কি-না সে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবেবলে জানান সিইসি।
শেয়ার করুন