নরওয়াকে পালশালার বাইরে গুলি বর্ষণের ঘটনায় দুইজন আহত, বন্দুকধারীকে খুঁজছে পুলিশ
‘এশিয়ার সব দেশই জিকা ভাইরাস ঝুঁকিতে’
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, বিশ্বে এ পর্যন্ত ৮৮টি দেশে জিকা ভাইরাস আছে বলে প্রমাণিত হয়েছে। এরমধ্যে সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ব্রাজিল, কলম্বিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। এশিয়ার সবদেশই জিকা ভাইরাসের ঝুঁকিতে রয়েছে। তবে বাংলাদেশে এ পর্যন্ত জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত কোনো রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়নি।
সংসদের দ্বাদশ অধিবেশনে বুধবার খুলনা-২ আসনের এমপি মুহম্মদ মিজানুর রহমান ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের এমপি মো. গোলাম রাব্বানীর লিখিত প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ডেঙ্গু ও জিকা দু’টিই ভাইরাসজনিত রোগ এবং দুটি রোগই এডিস মশার কামড়ে ছড়ায়।
মো. গোলাম রাব্বানীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের দ্রুত রোগ নির্ণয় ও উপযুক্ত চিকিৎসা জ্বর নিয়ন্ত্রণের কার্যকরী উপায়। ডেঙ্গুরোগে মৃত্যুর হার এখন শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে। বর্তমানে বাংলাদেশে এ পর্যন্ত জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত কোনো রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়নি।
মুহম্মদ মিজানুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সিঙ্গাপুরে বসবাসরত ১৯ জন বাংলাদেশির শরীরে জিকা ভাইরাস সনাক্ত হয়েছে। সেখানেই চিকিৎসা শেষে তারার নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগদান করেছেন। কোন অবস্থাতেই যাতে জিকা ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি দেশে প্রবেশ করতে না পারে সে লক্ষ্যে স্থল নৌ ও বিমানবন্দরের পোর্ট অব এন্ট্রিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের জিকা, ডেঙ্গু ও চকনগুনিয়া ভাইরাস সংক্রমণ নির্ণয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ‘পিসিআর’ পরীক্ষার মাধ্যমে জিকা ভাইরাস সনাক্তকরণের জন্য জাতীয় রেফারেন্স ল্যাবরেটরিতে প্রয়োজনীয় রি-এজেন্ট সরবরাহ নিশ্চিতকরণ করা হয়েছে।
জাসদের এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বাংলাদেশে এ মুহূর্তে জিকা ভাইরাসের সংক্রমণ না থাকলেও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দেশে এ ভাইরাসে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় এবং এদেশে এডিস মশার অস্তিত্ব থাকায় বাংলাদেশও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্যবিধি ২০০৫ অনুযায়ী সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। জরুরি অবস্থা মোকাবিলার জন্য ‘প্রিপ্রেয়ার্ডনেস প্ল্যান’ প্রণয়ন, সম্ভাব্য জিকা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে এডিস মশা নিধনে সমন্বিত (স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, সিটি করপোরেশন, স্থানীয় সরকারের উদ্যোগে) প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ।
এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি
শেয়ার করুন