নরওয়াকে পালশালার বাইরে গুলি বর্ষণের ঘটনায় দুইজন আহত, বন্দুকধারীকে খুঁজছে পুলিশ
উদ্যোক্তা সৃষ্টির লক্ষ্যে ইক্যুইটি ফান্ড গঠনের প্রস্তাব
দেশে নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টির লক্ষ্যে একটি ইক্যুইটি ফান্ড গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিআইডিএ)।
প্রারম্ভিক পর্যায়ে ১১০ কোটি টাকার ইক্যুইটি ফান্ড গঠনের প্রস্তাব করেছে নবগঠিত বিআইডিএ। এ ফান্ডের জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ পেতে সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে চিঠি দিয়েছে সংস্থাটির নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী মো. আমিনুল ইসলাম।
সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ৩৬ নং আইন অনুযায়ী বিনিয়োগ বোর্ড এবং বেসরকারিকরণ কমিশনকে একীভূত করে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিআইডিএ) গঠন করা হয়েছে। যার মূল উদ্দেশ্য হলো ‘বেসরকারি খাতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগে উৎসাহ দান, শিল্প স্থাপনে প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা ও সহায়তা দেওয়া।’
ইক্যুইটি ফান্ড গঠনের জন্য বরাদ্দ চেয়ে বিআইডিএ’র চেয়ারম্যানের চিঠিতে বলা হয়েছে, সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার মত টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষেত্রে বেসরকারি বিনিয়োগে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে বিনিয়োগের পরিমান জিডিপি’র ২২ দশমিক ৯৩ শতাংশ অথচ সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় বেসরকারি বিনিয়োগের অবদান জিডিপিতে ৩৪ শতাংশ যথাযথ লক্ষ্যমাত্রা ধার্য্য করা হয়েছে। এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে বিনিয়োগ লক্ষ্য ও বাস্তব বিনিয়োগের বিস্তর ব্যবধান দূর করতে হবে।
বর্তমানে দেশে যে সংখ্যক উদ্যোক্তা রয়েছেন তা এই বিনিয়োগ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে মোটেও পর্যাপ্ত নয়। এজন্য নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টির কোন বিকল্প নেই। এ দৃষ্টিকোন থেকে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টির কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে বিআইডিএ, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ও ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে উদ্যোক্তা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রশিক্ষন, অর্থায়ন, মেন্টরিং ও কার্যক্রম ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত একটি মানসম্মত ধারনাপত্র তৈরি করা হয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
কাজী মো. আমিনুল ইসলাম বলেছেন, অফুরন্ত বিনিয়োগ ও উন্নয়ন সম্ভাবনার দেশ বাংলাদেশ। এই সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য নতুন উদ্যোক্তা, বিনিয়োগ ও বিনিয়োগকারী প্রয়োজন। নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টির জন্য প্রয়োজন যথাযথ ‘উদ্যোক্তা উন্নয়ন’ কর্মসূচি তথা প্রশিক্ষণ, মেন্টরিং ও অর্থায়ন। যেহেতু নতুন উদ্যোক্তাদের নিজস্ব সম্পদ কিংবা বন্ধকী সম্পত্তি থাকার সম্ভাবনা কম সেহেতু প্রচলিত আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে তাদের ঋণ দেওয়া বা অর্থায়ন সম্ভব হবে না। এজন্য বিকল্প ও কার্যকর অর্থায়ন ব্যবস্থা হিসাবে একটি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফান্ড সৃষ্টি আবশ্যক। তাই প্রারম্ভিক পর্যায়ে ১১০ কোটি টাকার ইক্যুইটি ফান্ড গঠনের প্রস্তাব করেছেন তিনি। ইতোমধ্যে বিআইডিএ’র নিজস্ব তহবিল থেকে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে এবং অবশিষ্ট ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিতে অর্থমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী তার পূর্বতন মেয়াদকালে (১৯৯৫-২০০০) ভূতপূর্ব বিনিয়োগ বোর্ডের ১৩তম পরিচালনা পর্ষদের সভায় আলোচ্যসূচি ১০ এর সিদ্ধান্তে একটি ইক্যুইটি ফান্ড গঠনের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর ‘ইক্যুইটি ফান্ড’ গঠনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন এবং ‘ভিশন-২০২১’ অর্জনের জন্য বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও প্রসারের লক্ষ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে ১১০ কোটি টাকা মূলধনসহ ‘বিআইডিএ ভেঞ্চার ক্যাপিটাল’ নামের ফন্ডে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘বিআইডিএ নির্বাহী চেয়ারম্যানের গত ২৭ সেপ্টেম্বরের লেখা চিঠিটি আমরা বুধবার পেয়েছি। তার আগেই অর্থমন্ত্রী সরকারি সফরে বিদেশ গেছেন। তিনি আসার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি
শেয়ার করুন