১০ ফুট লম্বা কচু, ৪৩ কেজির কুমড়া!
মিষ্টি কুমড়া। কোনটির ওজন ৩২ কেজি আবার কোনটির ৪৩ কেজি। আর যারা দেখছেন তারাই বিস্ময় প্রকাশ করছেন এ কুমড়া দেখে। গত মঙ্গলবার জাতীয় সবজি মেলায় এই বিরাট আকৃতির কুমড়ার দেখা মেলে। এদিন ছিল মেলার শেষ দিন। কুমড়া ছাড়াও মেলায় ৮ থেকে ১০ ফুট দৈর্ঘ্যরে কচু দেখতেও দর্শনাথীদের উৎসাহ দেখা গেছে।
মেলায় এদিন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের স্টলে সামনে ভিড় ছিল সবচেয়ে বেশি। বেশিরভাগ দর্শনার্থীর নজর ছিল বিরাট আকৃতির ছয়টি মিষ্টি কুমড়ার দিকে। এগুলোর ওজন যথাক্রমে ৩২, ৩৩, ৩৪, ৩৫, ৪০ ও ৪৩ কেজি।
উত্তরা থেকে আসা আব্দুস সালাম বলে ওঠেন, ওরে বাপ রে! এতো বড় কুমড়া, জীবনে এই প্রথম দেখলাম।
মহাখালি থেকে আসা সুমন বলেন, এতো বড় একটা কুমড়া উৎপাদন করা একেবার সহজ কথা নয়। এই কুমড়ার বয়স কত দিন বা কতদিন সময় লাগে এতো বড় হতে -এটা জানার খুবই আগ্রহ ছিল। কিন্তু কারো কাছ থেকে জানতে পারলাম না।
কুমড়ার সাথে লাগানো কাগজ থেকে জানা যায়, এগুলো স্থানীয় উন্নত জাতের কুমড়া। মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার আড়িয়াল বিল প্রকল্প থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।
এই স্টলের একজন বললেন, যে গাছে এতো বড় কুমড়া হয়, এই রকম ২/৩ টার বেশি কুমড়া হয় না। তাছাড়া এতো বড় হতে হলে মাটিরও ভাল গুণ থাকা দরকার। মাটিতে সব ধরনের উপাদান থাকলেই এতোবড় হওয়া সম্ভব। যে গাছে ৭০/৮০ টি কুমড়া হয়, তার প্রতিটির ওজন এককেজি দেড় কেজির বেশি হয় না।
রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় তিন দিনব্যাপী এ মেলার উদ্বোধন হয় রোববার। প্রথমবারের মত আয়োজিত এ সবজি মেলায় ৭২টি স্টলে প্রায় ১২৪ জাতের শাক-সবজি প্রদর্শন করা হয়। এরমধ্যে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিটিউটের বৈজ্ঞানিকদের উদ্ভাবন করা ৩৪টি ফসলের ১০০ রকমের জাত প্রদর্শন করা হয়েছে মেলায়।
মেলায় প্রদর্শনীর পাশাপাশি দেখানো হয় সবজি উৎপাদনের বিভিন্ন নতুন পদ্ধতি এবং শাক সবজি সম্পর্কিত নানা প্রকল্প। এছাড়া সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বা বাড়ির ছাদে কিভাবে সবজির চাষ করা যায়। সেই সঙ্গে সবজি ফলনে হরমোনের প্রয়োগও দেখানো হয়।
হাইড্রোফোনিকস পদ্ধতির ধারণা নিয়ে মেলায় কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। এ পদ্ধতিতে জমি ছাড়াও কিভাবে চাষাবাদ করা যায় তা দেখানো হয়।
শেয়ার করুন