আপডেট :

        দেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে

        দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে উপজেলায় থাকবেন একজন করে বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট

        বার্সেলোনার সঙ্গে লিওনেল মেসির চুক্তির গল্পটা সবারই জানা

        সেকেন্ড হ্যান্ড পণ্য কেনার প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়তে শুরু করেছে

        চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের বিলুপ্ত

        চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের বিলুপ্ত

        চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের বিলুপ্ত

        উন্নয়নশীল দেশগুলোতে অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা

        উন্নয়নশীল দেশগুলোতে অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা

        ডিবি অফিস থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন মামুনুল হক

        ডিবি অফিস থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন মামুনুল হক

        নদীতে গোসল করতে নেমে শিশুসহ দুইজনের মৃত্যু!

        কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ধান কাটা বিরোধের জের ধরে খুন

        ভারতের জনপ্রিয় গায়িকা ও অভিনেত্রী মোনালি ঠাকুর মা কে হারালেন

        পাকিস্তানে দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের একটি মেয়েদের স্কুলের বোমা হামলা

        স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের মূল্যবৃদ্ধি

        কিরগিজস্তানের বিশকেকে বিদেশি শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করা হামলার ঘটনা

        দমে যাবেন না পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো

        নিজের ৪০তম জন্মদিনে একটু ভিন্নভাবে সেজেছেন মার্ক জাকারবার্গ

        ক্রিকেটার তাসকিনের বদলে যাওয়ার গল্প

সেকেন্ড, মিনিট ও ঘণ্টা এল যেভাবে

সেকেন্ড, মিনিট ও ঘণ্টা এল যেভাবে

সময় কী? এ নিয়ে দুটি ভিন্ন মত রয়েছে। প্রথম দলের পদার্থবিদরা মনে করেন- সময় হল একটি মৌলিক মাত্রা। মহাবিশ্বের অন্য তিন মাত্রা (দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতা) এই সময় নামক মাত্রায় পর্যায়ক্রমে আবর্তিত হয়।

অন্য দলের মতে, সময় কোনো মাত্রা নয়। কিন্তু মানুষের কাজের ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য এটি একটি অত্যাবশকীয় উপাদান। সময়ের কোনো নিজস্ব অস্তিত্ব নেই। কিন্তু এটি একটি মাধ্যম। যার মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন বিষয় প্রকাশ করি।

সময় পরিমাপের বিজ্ঞানকে বলে ‘ক্রোনোমিটার’। আর সময় পরিমাপের দুটি মাধ্যম হল দিনপঞ্জিকা ও ঘড়ি।

সময় পরিমাপের ক্ষেত্রে দিন ও রাতকে মিশরীয়রাই প্রথম ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে। তারা দিনের সময়কে ১২টি ভাগে ও রাতের সময়কে ১২টি ভাগে ভাগ করে। দিনের সময়কে সূর্যের ছায়ার মাধ্যমে তারা পরিমাপ করত। কিন্তু রাতের সময়কে পরিমাপ করার কোনো পদ্ধতি তারা বের করতে পারে নি। তবে ১৫৫০ থেকে ১০৭৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে ‘তারা’ দেখে রাতের সময় পরিমাপ করা হত। কেউ কেউ রাতের সময় পরিমাপ করার ক্ষেত্রে পানির ঘড়ি ব্যবহার করতেন। এমন আরো অনেক পদ্ধতিই তখন অবশ্য ব্যবহৃত হত। কিন্তু সেগুলোর কোনোটাই পরিপূর্ণরূপে সময়ের পরিমাপক হিসেবে আবেদন সৃষ্টি করতে পারে নি।

প্রাচীন জ্যোতির্বিদরা সূর্য ডুবে যাওয়ার পরবর্তী সময় পরিমাপের জন্য ৩৬টি ‘তারার’ সাহায্য নিত। এর মধ্যে ১৮টি দ্বারা রাতের সময়কে পরিমাপ করত। আর ৬টি দিয়ে পূর্ণ চন্দ্রের (পূর্ণিমা) রাত এবং বাকি ১২টা দিয়ে অমাবশ্যা রাতের সময়কে ভাগ করত। কিন্তু এগুলো নিয়েও ছিল অপূর্ণতা।

১৫০ খ্রিস্টাব্দে গ্রিক জ্যোতির্বিদ হিপারকাস দিন ও রাতের পুরো সময়টাকে ২৪ভাগে ভাগ করে প্রতিটি ভাগের জন্য নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণের প্রস্তাব করেন। কিন্তু নানা কারণে তখন সেটা আলোর মুখ দেখেনি। ফলে ঘড়ির প্রচলন হতে সর্বাধিক শতাব্দী লেগে যায়।
১৪শ শতাব্দীতে ২৪ভাগের প্রতিটি ভাগের জন্য নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্য ঠিক করে যান্ত্রিক ঘড়ির ব্যবহার শুরু হয় এবং অল্প সময়ের মধ্যে এটির ব্যাপক প্রচলন হয়। সে সময় প্রতিটি ভাগকে বলা হত ঘণ্টা। হিপারকাস ও অন্যান্য জ্যোতির্বিদরা ব্যাবিলনিয়ানদের কাছ থেকে ধার করা জ্যোতির্বিজ্ঞান সংক্রান্ত কৌশল ব্যবহার করেছেন। যেখানে গণনার ক্ষেত্রে ৬০ কে ভিত্তি হিসেবে ধরা হয়। কারণ, ৬০ সংখ্যাটি ৫, ১০, ১৫, ২০, ২৫, ৩০ এভাবে ভাগ করার ক্ষেত্রে খুবই সুবিধাজনক।

ঘণ্টাকে ভাগ করার ক্ষেত্রে ৬০কে ভিত্তি হিসেবে ধরার ধারণাটি আসে পৃথিবীকে জ্যামিতিক উপায়ে ভৌগলিকভাবে ভাগ করা থেকে। হিপারকাস অনুদৈর্ঘ্য লাইনকে ৩৬০ডিগ্রিতে ভাগ করেছিলেন। পরবর্তীতে হিপারকাসের কাজের ওপর ভিত্তি করে জ্যোতির্বিজ্ঞানী ক্লদিয়াস টলেমি ৩৬০ডিগ্রির প্রত্যেক অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংসকে ৬০টি সমান ভাগে ভাগ করেন। এই অংশগুলোকে পরবর্তীতে আরো ছোট ৬০টি ভাগে বিভক্ত করেন। তিনি প্রথম ভাগকে বলতেন ‘ফার্স্ট মিনিট’ যা মিনিট হিসেবে ধরা হয়। আর দ্বিতীয়বার বিভক্ত করা ভাগকে বলতেন ‘সেকেন্ড মিনিট’ যা সেকেন্ড হিসেবে পরিচিতি পায়। আর এই হিসাবকে কাজে লাগিয়েই তৈরি হয় ঘণ্টা, মিনিট আর সেকেন্ড এর কাঁটা সম্বলিত ঘড়ি।

সময়ের পরিক্রমায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উৎকর্ষতার কারণে ‘সেকেন্ডকে’ আরো বেশি স্পষ্টরূপে প্রকাশ করার প্রয়োজন দেখা দেয়। বর্তমানে এককের আন্তর্জাতিক পদ্ধতিতে (যা ‘এসআই’ পদ্ধতি নামে পরিচিত) সেকেন্ড হল সময়ের ‘একক’। সেকেন্ডকে ভিত্তি করে মিনিট, ঘণ্টা, দিন, সপ্তাহ, মাস, বছর ইত্যাদি নির্ধারিত হচ্ছে।

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত