নরওয়াকে পালশালার বাইরে গুলি বর্ষণের ঘটনায় দুইজন আহত, বন্দুকধারীকে খুঁজছে পুলিশ
আরো ভয়াবহ ভূমিকম্পের শঙ্কায় নেপাল-ভারত
রিখটার স্কেলে মাত্রাটা ছিল ৭.৮। গত ২৫ এপ্রিল নেপালে হওয়া ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে মারা যায় ৯ হাজারের বেশি মানুষ। মারাত্মক আহত হয়েছে আরো কয়েক হাজার। সাধারণত বলা হয়, বড় মাত্রার কোনো ভূমিকম্পের পর অন্তত ৫০-৬০ বছর এ ধরনের কোনো কিছুর পুনরাবৃত্তির শঙ্কা কম। তবে নেপালের বেলায় হয়েছে উল্টোটা। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, ৭.৮-এর চেয়েও বেশি মাত্রার ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে এখন নেপাল। সঙ্গে একই ঝুঁকিতে উত্তর ভারতও।
সাধারণত ভূপৃষ্ঠের নিচে শিলার পীড়নের জন্য যে শক্তির সঞ্চার ঘটে এর হঠাৎ মুক্তি ঘটলেই হয় ভূমিকম্প। কয়েকটি দেশের বিজ্ঞানীরা সম্মিলিতভাবে জিপিএস স্টেশন, ভূমিকম্প সম্পর্কিত স্টেশনের বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত ব্যাখ্যা করে আর উপগ্রহ থেকে তোলা ছবিতে নিশ্চিত হয়েছেন, গত এপ্রিলের ভূমিকম্পে নির্গত হয়েছে জমে থাকা শক্তির খুবই সামান্য অংশ। তাই ন্যাচার জিওসায়েন্স ও সায়েন্সে ছাপা হওয়া এই গবেষণার সহ-লেখক ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জিয়ান-ফিলিপ অ্যাভক বলেন, 'এই জায়গাটা নিয়ে আরো মনোযোগী হওয়া উচিত। এখানে আজই যদি কোনো ভূমিকম্প হয় তাহলে ধ্বংসাত্মকই হবে এটা। গাঙ্গেয় সমভূমির পশ্চিম নেপাল আর উত্তর ভারতের এই এলাকার ঘনবসতির কারণেই হবে ভয়াবহ ধ্বংসলীলা।'
হিমালয় তৈরি হওয়ার সময় থেকেই ভারতীয় প্লেট ও ইউরেশীয় প্লেটের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলছে কে কার নিচে পিছলে যাবে। এ জন্য এ দুটি প্লেট বরাবর তৈরি হয়েছে কয়েকটি চ্যুতি বা ফাটল। এর কয়েকটি আবার বেশ বড়, যার নাম 'থ্রাস্ট'। এই চ্যুতি ও থ্রাস্টে শক্তি সঞ্চয়ের জন্যই তৈরি হয় ভূকম্পন, যা বাড়াচ্ছে বড় মাত্রার ভূমিকম্পের ঝুঁকি। নতুন গবেষণায় বিজ্ঞানীরা তুলে ধরেছেন ১৫০৫ সালে এই অঞ্চলে ঘটা ৮.৫-এর বেশি মাত্রার ভূমিকম্পের কথা। এরপর এখানে এত বড় মাত্রার ভূমিকম্প হয়নি। গত এপ্রিলে জমে থাকা শক্তির সামান্য নির্গত হওয়ায় আরো বড় মাত্রার ভূমিকম্পের শঙ্কাই করছেন বিজ্ঞানীরা। অধ্যাপক ফিলিপ অ্যাভক বলেন, 'কাউকে আতঙ্কিত করার চেষ্টা করছি না। আমরা চাই সবাই যেন সতর্ক থাকে। কখন বড় ধরনের ভূমিকম্পে সব লণ্ডভণ্ড হবে, কেউ জানে না। তাই পাহাড়ি এলাকার বাড়িগুলো এমনভাবে তৈরি করা উচিত, যেন ভূমিকম্পে প্রাণঘাতী না হয়।'
শেয়ার করুন