মার্কিন বন্দরগুলোতে দেখা দিয়েছে স্থান সংকট
ছবি: এলএবাংলাটাইমস
দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে মার্কিন বন্দরগুলোতে যানজট পার্কিং সমস্যা। বিগত যেকোন সময়ের চেয়ে বর্তমানে সমস্যাটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ ও দৃশ্যমান হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আমেরিকার আমদানি ব্যবস্থা ইতোমধ্যে তাঁর সম্পূর্ণ ক্ষমতা ব্যবহার করে কাজ করছে। এরমধ্যে আশা করা হচ্ছে যে সামনের মাসে কাজের পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে পারে। এর ফলে ক্যারিয়ারগুলো যাত্রা বাতিল করতে বাধ্য হবে। এমনকি কার্গোগুলো ভবিষ্যত-এর জন্য তুলে রাখা হতে পারে। এর ফলে আমদানিকারকদের আরো অপেক্ষা করতে হবে। এমনকি স্লট স্বল্পতাও দেখা দিতে পারে।
দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার মেরিন এক্সচেঞ্জ জানিয়েছে, রবিবারে লস এঞ্জেলেস ও লং বিচের বন্দরগুলোতে ৪৭টি কন্টেইনার জাহাজ বসে ছিলো যা এক নতুন রেকর্ড। ফেব্রুয়ারির মাসের ১ তারিখে বন্দরগুলোতে ৪০টি জাহাজ বসে থাকলেও শুক্রবারে তা ৪৪ ও মঙ্গলবারে ৪৬ এ পৌঁছায়।
মহামারীর পূর্বে, বন্দরগুলোতে সর্বোচ্চ ১৬টি কন্টেইনার জাহাজ বসে থাকতো। রবিবারে বার্থগুলোতে ৭৬টি বক্স জাহাজ বসে ছিলো। মহামারীর পূর্বে এই সংখ্যা ৪ দশমিক ৮ গুন কম ছিল।
অটোমেটিক আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম অনুসারে, সোমবারে দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার বন্দরে প্রচুর ভিড় দেখা গেছে। নোঙ্গর ফালানোর জায়গায় ভরে যাওয়ায় অর্ধ ডজনের বেশি জাহাজ পানিতে ভাসছিলো
শুক্রবারে লন বিচ ও লস এঞ্জেলেসের বন্দরগুলোতে থাকা ভিড়ের ব্যাপারে হাপাগ-লোয়েড বলেছে, ‘আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সব কার্গো বন্দরগুলোতে এসে পড়েছে যার ফলে ব্যবস্থাপনা করাটা জটিল হয়ে পড়েছে।‘ সংস্থাটি জানিয়েছে, এই সমস্যাটির সমাধান ২০২১ সালে নাও হতে পারে।
লস বিচের বন্দরের ‘WAVE’ থেকে জানা যায় যে আমদানির পরিমানে সামনে আরো বৃদ্ধি পাবে। সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে ১ লাখ ২০ হাজার ৯২৮ টুয়েন্টি-ফুট পরিমাণের ইউনিট আমদানি হতে পারে। আগামী সপ্তাহে আসা ৮৯ হাজার ৯৮০ টিউ থেকে এর পরিমাণ ৩৪ শতাংশ বেশি।
লস এঞ্জেলেসের পরিকল্পনাকারী টুল সিগনাল দেখায় যে আমদানির হার আরো বৃদ্ধি পাবে। সেপ্টেম্বরের ১২-১৮ তারিখের মধ্যে ১ লাখ ৯০ হাজার ৯৩৭ টিউ পরিমাণের ইউনিট আমদানি হতে পারে।
এই বছরের প্রথম আট মাসে রেকর্ড আমদানি হওয়া সত্ত্বেও, মার্কিন খুচরা বিক্রয় ইনভেন্টরি পুনর্পূরণকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
ইনস্টিটিউট ফর সাপ্লাই ম্যানেজমেন্ট একটি মাসিক প্রতিবেদন তৈরি করে যার মধ্যে গ্রাহকদের ইনভেন্টরির সাথে অনুভূতির সম্পর্কের একটি সূচক থাকে। জুলাই মাসে সেই সূচক ২৫ পয়েন্টে নেমে গিয়েছে যা তাঁর ইতিহাসের সর্বনিম্ন স্তর।
মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্টের এসোসিয়েট প্রফেসর জেসন মিলার একটি বিইএ পরিসংখ্যান দিয়েছেন যা মুদ্রাস্ফীতির সাথে সম্পর্কিত। পরিসংখ্যানে দেখা যায় যে মহামারীর পূর্বের অবস্থা থেকে বর্তমানে রিটেইল ইনভেন্টরিগুলো বেশি সংখ্যায় আছে। কিন্তু বিক্রয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ইনভেন্টরি টূ সেলস রেশিও পূর্বের চেয়েও হ্রাস পেয়েছে।
বিক্রয়ের হার ইনভেন্টরি বৃদ্ধির হারের চেয়ে অনেকাংশে বেশি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ইনভেন্টরি বিক্রয়ের হারের সাথে একদমই পেরে উঠতে পারছে না। এই সমস্যার সাথে মার্কিন বন্দরগুলোতে জাহাজের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার একটি সম্পর্ক আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এলএবাংলাটাইমস/এমডব্লিউ
শেয়ার করুন