ক্যালিফোর্নিয়ার উপকূলে দেখা মিললো পৃথিবীর সর্ববৃহৎ প্রাণী ‘নীল তিমি’
ছবিঃ এলএবাংলাটাইমস
পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহত্তম প্রাণী নীল তিমির দেখা পাওয়া গেলো ক্যালিফোর্নিয়ার মন্টেরে বে উপকূল অঞ্চলে। ক্যালিফোর্নিয়ার উপকূলগুলোতে এই বৃহদাকার প্রাণীটির দেখা সচরাচর পাওয়া যায় না।
গত ১৭ অক্টোবর ফেসবুক পোস্টে মন্টেরে বে হোয়েল ওয়াচ জানিয়েছে, উপকূলীয় অঞ্চলটিতে একটি নয়, দুইটি বৃহদাকার নীল তিমির দেখা মিলেছে। সংস্থাটির ওয়াচার্সরা জানিয়েছে, সমুদ্রের পানিতে নীল তিমির দেখা পাওয়া অত্যন্ত বিস্ময়কর ও মনোমুগ্ধকর একটি দৃশ্য ছিলো।
ফেসবুক পোস্টে সংস্থাটির জানায়, এই অঞ্চলটিতে সাধারণত হাম্পব্যাক হোয়েলের দেখা পাওয়া যায়। তবে বছরের এই সময়টাতে নীল তিমি দেখাটা খুবই আশ্চর্যজনক। প্রমাণস্বরূপ সংস্থাটি ফেসবুক পোস্টে তিমি জোড়ার বেশকিছু ছবিও প্রকাশ করেছে।
ন্যাশনাল অশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ার অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানিয়েছে, নীল তিমি আকারে ২০০ টন পর্যন্ত হতে পারে। তবে গড়ে এরা ১০০ থেকে ১৫০ টন হয়ে থাকে। খাবারের সন্ধানে নীল তিমি বছরে হাজার মাইল পর্যন্ত ভ্রমণ করে থাকে। এরা ক্রিল নামের এক ধরনের চোট চিংড়ি মাছ খেয়ে বেঁচে থাকে। নীল তিমির পেট ভরতে ১ টন বা ১০০০ কেজি ক্রিল দরকার হয়। তবে এরা সারা দিনে প্রায় ৩৬০০ কেজি ক্রিল খায়। নীল তিমি সাগরের ৩১৫ মিটার গভীর পর্যন্ত যেতে পারে। নীল তিমি সমুদ্রে থাকলেও পানির গভীরে শ্বাস নিতে পারে না। এরা মানুষের মতোই বাতাসে শ্বাস নেয়। তবে মানুষের মতো প্রতি মুহূর্তে নিঃশ্বাস নিতে হয় না তাদের। অন্তত ৩০ মিনিট পর্যন্ত দম না নিয়ে পানিতে ডুব দিয়ে থাকতে পারে। তিমি যখন নিঃশ্বাস ছাড়ে, তখন সে তার মাথার ওপরের দুই ছিদ্র দিয়ে পানি ফোয়ারার মতো করে ছুড়ে দেয়, যা ৩০ ফুট পর্যন্ত ওপরে ওঠে। ওর মাথার ওপরের এই ছিদ্র এত বড় যে, একটি ডলফিন সেখানে প্রবেশ করতে পারবে অনায়াসে।
জন্মের সময় নীল তিমির বাচ্চার ওজন হয় প্রায় তিন টন। লম্বায় হয় প্রায় ২৫ ফুট। জন্মের পর ছয় মাস প্রতিদিন সে প্রায় ৫০০ লিটার দুধ পান করে। দীর্ঘদিন বাঁচে নীল তিমি। গড়ে তাদের আয়ু ৮০ থেকে ৯০ বছর। নীল তিমির কোনো দাঁত নেই। তবে মুখের ভেতরে ওপরের চোয়ালে ব্যালিন নামে পর্দার মতো এক ধরনের তন্তু রয়েছে। এরা ছোট চিংড়ি খায়। সে জন্য দাঁত প্রয়োজন হয় না। এদের এক চোয়ালে ৭৯০টির মতো ব্যালিন থাকে।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
শেয়ার করুন