আপডেট :

        মাদারীপুরে গাড়ির ধাক্কায় অজ্ঞাতনামা এক পথচারীর মৃত্যু

        রাজধানীতে শুরু হয়েছে বজ্রসহ বৃষ্টি

        টাইটানিক সিনেমার অভিনেতা মারা গেছেন

        আবারো গাজায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল

        দুটি এম্বুলেন্সের একটি নষ্ট গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে

        নিউরোসায়েন্সেস ইনস্টিটিউটে মোট শয্যা হবে এক হাজার

        উপজেলা নির্বাচন: ৩ দিন মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ

        ব্যাটে জয় পেলো বাংলাদেশ

        ব্যাটে জয় পেলো বাংলাদেশ

        সম্পূর্ণ বাংলা সাপোর্টের স্মার্টওয়াচ নিয়ে এলো দেশীয় প্রযুক্তি

        ছায়ানটের অন্যতম সদস্য শ্রী অশোক রায় নন্দীর মৃত্যু

        ইসরায়েলে আল জাজিরার কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশর পর অফিসে পুলিশের অভিযান

        ব্রাজিলে ভয়াবহ বন্যায় নিহত ৫৭, ঘরছাড়া ৭০ হাজার মানুষ

        ইসরায়েলে আল-জাজিরা টিভি বন্ধের সিদ্ধান্ত

        মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠানে বিক্ষোভ

        ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনপন্থীদের ওপর ইসরাইলি সমর্থকদের হামলা

        যুক্তরাষ্ট্রে কিশোরকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে শিক্ষিকা গ্রেপ্তার

        যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার পরিস্থিতি ‘বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ’ বলে উল্লেখ উত্তর কোরিয়ার

        যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তিন কর্মকর্তার মৃত্যু

        বান্ধবী খুঁজে পেতে বিলবোর্ডে বিজ্ঞাপন, ব্যাপক সাড়া

লস এঞ্জেলেসে উত্তরণ শিল্পীগোষ্ঠির শোক দিবস পালন

লস এঞ্জেলেসে উত্তরণ শিল্পীগোষ্ঠির শোক দিবস পালন

লস এঞ্জেলেসে প্রবাসী বাংলাদেশি সাংস্কৃতিক সংগঠন উত্তরণ শিল্পীগোষ্ঠির উদ্যোগ জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। গত সোমবার (১৫ আগস্ট) রাতে স্থানীয় একটি ভেন্যুতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে সংগঠনটি। 
সভার শুরুতে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ শোনানো হয়। সভাটি পরিচালনা করেন জিয়া ইসলাম।  
জিয়া ইসলাম তার বক্তব্যে একাত্তরের ব্যাপক স্মৃতিচারণ করেন। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযোদ্ধের সময় আমার পরিবার মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। পাক বাহিনীর হাতে নির্যাতিত হয়। এসময় তিনি পাক বাহিনীর বর্বর নির্যাতনের কাহিনী তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমি তখন ছোট ছিলাম, পরে মা-বাবার কাছ থেকে এসব শুনেছি। তিনি বলেন, পাক সেনারা আমাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়েছিল। শেখ মুজিবের ভাষণের কথা স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের এই ভাষণটি স্বাধীনতা সংগ্রামের ভিত রচনা করেছিল।
আলোচনা সভায় অংশ নেয়ায় সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক আজ মিলিত হয়েছেন আমি উত্তরণের পক্ষ থেকে সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। 


এরপর বক্তব্য রাখেন উত্তরণের প্রতিষ্ঠাতা ও বিশিষ্ট ডিন্টিস্ট ডা. আবুল হাশেম বঙ্গবন্ধুর জীবনী নিয়ে আলোচান করেন। তিনি বলেন, আমরা আজ শোকাহত হৃদয় নিয়ে এখানে সমবেত হয়েছি। এই মহান নেতার প্রতি আমরা গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। আজ আমরা তার সংগ্রামী জীবন নিয়ে আলোচনা করবো। তিনি কেমন মানুষ ছিলেন, কেমন নেতা ছিলেন, জাতির জন্য তিনি কি করে গেছেন, দেশের জন্য তিনি কী করে গেছেন তা আলোচনা করবো। 
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সারাজীবন মানুষের অধিকার আদায়, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও জনগণের ন্যায্য দাবি দাওয়া আদায়ে সংগ্রাম করে গেছেন। এককথায় বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না। ৭ই মার্চের ভাষণ সম্পর্কে ডা. হাশেম বেলেন, তিনি যদি এই ভাষণ না দিতেন তাহলে বাংলাদেশ কখনো স্বাধীন হতো না। তার এই ভাষণই সমগ্র জাতিকে যুদ্ধের জন্য অনুপ্রাণিত করেছে। দীর্ঘ ৪৫ বছর পর আজও এই ভাষণ আমাদেরকে দেশপ্রেমের চেতনা জোগায়। 
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু আওয়ামীলীগের নয় তিনি ১৬ কোটি মানুষের নেতা। জাতির জনক। 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পর্কে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বর্তমানে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে সরে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ  এবং পথ ও মতে চলার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান। 
লস এঞ্জেলেস আওয়ামীলীগের সবাইকে গ্রুপিং না করে এক কাতারে আসার আহ্বান জানান। লস এঞ্জেলেসে সবাই মিলে একটি বঙ্গবন্ধু পরিষদ গঠনেরও আহবান জানান। 
এসময় শর্ট নোটিশে এবং সপ্তাহের প্রথম দিন হওয়া সত্ত্বেও যারা সভায় উপস্থিত হয়েছেন তিন সবার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। 


আওয়ামীলীগ নেতা ও সাহিত্যিক ইউনুস জামান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন। তিনি বলেন, আমার কয়েকবার বঙ্গবন্ধুর সাথে সরাসরি দেখা সাক্ষাতের সৌভাগ্য হয়েছিল। তার মতো এত কোমল হৃদয়ের মানুষ আমি দ্বিতীয়টি দেখিনি। মানুষকে যে তিনি এত ভালোবাসতেন তা আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি। আবার তিনি অন্যায়ের ব্যাপারে ছিলেন একেবোরে অবিচল ও আপোসহীন। 

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জসিম আশরাফী তার বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু মানে স্বাধীনতা, বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অনিবার্য নাম শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি আমাদের জাত সত্ত্বার চেতনার প্রতীক। তাই নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর জীবনী ও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা আমাদের দায়িত্ব। 
তিনি আরও বলেন, ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর গ্রেপ্তারের ব্যাপারে অনেকে অপপ্রচার করে। কেউ বলে, শেখ মুজিব স্বেচ্ছায় পাকিস্তানী বহিনীর কাছে আত্মসমর্পন করেছিলেন। তিনি ৭ কোটি মানুষকে ফেলে পাকিস্তানে পাড়ি দিয়েছিলেন। এগুলো সব আসলে মিথ্য ও অপপ্রচার। বাস্তবতা হচ্ছে, ৭ই  মার্চ বঙ্গবন্ধু যদি স্বাধীনতার ডাক না দিতেন তাহলে মুক্তিযুদ্ধ হতো না। তার সেই সাহসী ভাষণেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার গোড়াপত্তন হয় । এই ইতিহাসগুলো আমাদের জানা দরকার চর্চা করা দরকার।  আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নেবারহুড সিটি কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ সমিতির সভাপতি আক্তার হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা আলী হোসেন, প্রবাসে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু হানিফা, ইকবাল হোসেন, স্বপন বাহার, বাবুল হোসেন প্রমূখ।

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত