আপডেট :

        নিরাপদে পৃথিবীতে ‘পোলারিস ডন’ মিশনের মহাকাশচারীরা

        দেব-ইয়ান বোথামের রেকর্ডের সামনে সাকিব

        একটি স্বর্ণখনিকে কেন্দ্র করে উপজাতিদের সংঘর্ষ-গোলাগুলি, নিহত ৩০

        একটি স্বর্ণখনিকে কেন্দ্র করে উপজাতিদের সংঘর্ষ-গোলাগুলি, নিহত ৩০

        আবারও ক্ষমতায় ফেরার চেষ্টা বিতাড়িত রাজনৈতিক পরিবারের

        শেখ হাসিনার অবস্থানের বিষয়ে দিল্লির কাছে জানতে চায়নি ঢাকা

        মেট্রোরেলের পিলারে ‘ফাটল’, যা জানাল কর্তৃপক্ষ

        নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালন করবেন সেনাবাহিনী

        ইলিশ না পাঠানোর সিদ্ধান্ত ভালো লাগেনি: ফারুকী

        দীর্ঘ যুদ্ধের প্রস্তুতির কথা জানালো হামাস

        বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক উত্তরণকে সমর্থন করা গুরুত্বপূর্ণ: মার্কিন কূটনীতিক

        বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক উত্তরণকে সমর্থন করা গুরুত্বপূর্ণ: মার্কিন কূটনীতিক

        বাংলাদেশকে প্রায় দুই বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক

        বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক স্থিতিশীল রাখতে চাইঃ জয়শঙ্কর

        বিএনপির গণসমাবেশ চলছে

        ট্রাম্পকে মারতে ১২ ঘণ্টা ওত পেতে ছিলেন বন্দুকধারী

        আমি একজন পেশাদার সাংবাদিকঃ কোনো প্লট নেইনি

        বিশ্বব্যাংক হচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান

        হাত জোড় করে ক্ষমা চাইলেন মোজাম্মেল বাবু

        নেতাকর্মীদের প্রতি দুটি নির্দেশনা আওয়ামী লীগের

‘আমি জিততেই থাকবো, অন্যরা তাকিয়ে থাকবে’

‘আমি জিততেই থাকবো, অন্যরা তাকিয়ে থাকবে’

ছবি: এলএবাংলাটাইমস

যুক্তরাষ্ট্রের স্প্রিন্টার নোয়া লাইলসকে নিয়ে নেটফ্লিকসে কিছু দিন আগে একটা ফিচার তৈরি করা হয়েছিল। লাইস সেখানে জানিয়েছিলেন তিনি অলিম্পিকে শ্রেষ্ঠত্ব দেখাতে চান। তাকে ছাড়িয়ে যাওয়ার কেউ থাকবে না। বেগুনি রঙের ট্র্যাকের রাজা হতেই প্যারিসে যাবেন। ১০০ মিটার স্প্রিন্টে লাইলস দেখালেন, তিনি যা বলেছিলেন সেটাই করে দেখালেন। পরশু রাতে প্যারিসের স্তাদে দি ফ্রান্সে প্রায় ৭০ হাজার দর্শকের সামনে নিজেকে অন্যন্য উচ্চতায় নিয়ে গেলেন। ১০০ মিটারে স্বর্ণ পদক জয় করে দেখিয়ে দিলেন, তিনি যা বলেছিলেন সেটাই করেছেন। ২০ বছর পর যুক্তরাষ্ট্রকে হারানো মুকুট ফিরিয়ে দিলেন লাইলস। ২০০৪ অলিম্পিক গেমসে শেষবার ১০০ মিটার স্প্রিন্টে স্বর্ণ জয় করেছিলেন জাস্টিন গ্যাটলিন।

এরপর আর যুক্তরাষ্ট্রকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। জামাইকান স্প্রিন্টার উসাইন বোল্টের অলিম্পিকের ১০০ মিটার স্প্রিন্টের চেয়ারটা দখল করে রেখেছিলেন। তার সঙ্গে কোনো অলিম্পিয়ান পেরে উঠছিলেন না। সবাইকে ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দিয়েছেন উসাইন বোল্ট। বেইজিং অলিম্পিক, লন্ডন অলিম্পিক এবং রিও অলিম্পিকে বোল্ট সবাইকে উড়িয়ে দিয়েছেন। টোকিও অলিম্পিকে ইতালীয়ান স্প্রিন্টনার মার্সের জ্যাকব অলিম্পিক জয় করেছিলেন, ১০০ মিটারে। তার পরও যুক্তরাষ্ট্রে সাফল্য পায়নি। অবশেষে যুক্তরাষ্ট্রের মাথায় মুকুট এনে দিলেন নতুন অলিম্পিয়ান নোয়া লাইলস। ২০ বছর অপেক্ষার অবসান। এবার ২০০ ও চার গুনিতক ৪০০ মিটার লড়াইয়ে স্বর্ণ চান।

দ্বিতীয় হয়েছেন উসাইন বোলেটর দেশ জামাইকার কিশানে থম্পসন। নোয়া লাইলস এবং কিশানে থম্পসন একই সময় দৌড় শেষ করেছেন। দুই জনের মধ্যে সমান সমান টক্কর হয়েছিল। দুই জনেরই টাইমিং ছিল ৯.৭৯ সেকেন্ড।

কিন্তু বিচারকরা বিজয়ী নির্ধারণের জন ১ সেকেন্ড ভাগ করলেন, সেই হিসাবে নোয়া লাইলসের টাইমিং হয় ৯.৭৮৪ এবং কিশানের টাইমিং ধরা হয় ৯.৭৮৯। দশমিক ০০৫ সেকেন্ড ব্যবধানে স্বর্ণ পদক বিজয়ী ঘোষণা করা হয় নোয়া লাইলসকে।

স্প্রিন্ট শেষ হওয়ার পর ফটো ফিনিশে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এত কম ব্যবধানে অলিম্পিক স্প্রিন্টারে জয় আগে দেখা যায়নি। এই ঘোষণার আগেই স্বর্ণ জয়ের আনন্দে ভাসতে থাকেন ফুর্তিবাজ নোয়া লাইলস। তার শরীরিক ভাষা যেন আগুনের ফুলকি।

পরতে পরতে আত্মবিশ্বাসের ঢেউ জেগে উঠছিল। অলিম্পিক গেমসের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ইভেন্ট ১০০ মিটার স্প্রিন্ট। এই ফাইনাল ইভেন্ট বাংলাদেশ সময় রাত দেড়টায় শুরু হয়। শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ে শেষে সংবাদ সম্মেলনেও লাইলস যেন একই ছবি। প্রশ্নের জবাবগুলো দিয়েছেন হাসতে হাসতে বলছিলেন, 'আমি জানতাম, আমাকে হারানো কঠিন হবে।

আমি এসেছি রেকর্ড গড়তে। আমার আরও যেসব ইভেন্ট রয়েছে সেখানেও আমি জিততেই থাকব। অন্যরা তাকিয়ে দেখবে।'
তবে অবাক করা বিষয় রিও অলিম্পিকে উসাইন বোল্টের সংবাদ সম্মেলনে হল ভর্তি সাংবাদিক ছিলেন। প্রবেশপথে দুয়ারেও দাঁড়িয়ে ছিলেন সাংবাদিকরা। আর লাইলসের সংবাদ সম্মেলনে যে কেউ প্রশ্ন করতে পেরেছেন এবং হলের চার ভাগের তিন ভাগই ফাঁকা ছিল। উসাইন বোল্টের উত্তরাধিকার হতে যাচ্ছেন কিনা, সেই প্রসঙ্গ নিয়ে এখনই কথা বলতে রাজি না লাইলস। এখন তিনি নোয়া লাইলসকে উপভোগ করতে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে লাইলসের ডান পাশে বসা ছিলেন রৌপ্য পদক জয়ী জামাইকার কিশানে থম্পসন আর বাম পাশে ব্রোঞ্জ পাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের ফ্রেড কার্লি, যিনি ব্রোঞ্জ জয় করেছেন ৯.৮১ সেকেন্ডে দৌড় শেষ করে।


এলএবাংলাটাইমস/এজেড

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত