ক্যালিফোর্নিয়ার 'সাংচুয়ারি' শহর ও কাউন্টিগুলোর বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসনের কড়া পদক্ষেপ
ছবিঃ এলএবাংলাটাইমস
ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতিতে কঠোরতা আরোপের অংশ হিসেবে ক্যালিফোর্নিয়াসহ বিভিন্ন রাজ্যের 'সাংচুয়ারি' শহর ও কাউন্টিগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে, প্রশাসন ৫০০টিরও বেশি শহর ও কাউন্টিকে 'সাংচুয়ারি জারিসডিকশন' হিসেবে চিহ্নিত করেছে, যারা ফেডারেল অভিবাসন আইন প্রয়োগে সহযোগিতা করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
'সাংচুয়ারি' শহর বা কাউন্টি এমন স্থান যেখানে স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো ফেডারেল অভিবাসন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সীমিত সহযোগিতা করে। এই নীতির উদ্দেশ্য হলো অবৈধ অভিবাসীদের নিরাপত্তা প্রদান এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে বিশ্বাস বজায় রাখা। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের মতে, এই নীতিগুলো আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় বাধা সৃষ্টি করে এবং নাগরিকদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে ফেলে।
এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে, প্রশাসন একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেছে, যার মাধ্যমে 'সাংচুয়ারি' জারিসডিকশনগুলোকে ফেডারেল তহবিল থেকে বঞ্চিত করার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এই আদেশ অনুযায়ী, যেসব শহর ও কাউন্টি ফেডারেল অভিবাসন আইন প্রয়োগে সহযোগিতা করতে ব্যর্থ হয়েছে, তাদের তহবিল কেটে নেওয়া হতে পারে।
ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম এই উদ্যোগের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, "এই তালিকা একটি রাজনৈতিক কৌশল মাত্র। ক্যালিফোর্নিয়া আইন ফেডারেল সরকারের অভিবাসন আইন প্রয়োগে বাধা সৃষ্টি করে না।" তিনি আরও বলেন, "আমাদের রাজ্যের অভিবাসীরা কঠোর পরিশ্রমী এবং আমাদের সম্প্রদায়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ।"
তবে, এই তালিকায় কিছু ভুলও রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, হান্টিংটন বিচ শহর নিজেকে 'সাংচুয়ারি' শহর হিসেবে ঘোষণা না করলেও, তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এছাড়াও, কিছু রিপাবলিকান-সমর্থিত কাউন্টিও তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, যা নিয়ে স্থানীয় কর্মকর্তারা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
এই পদক্ষেপের ফলে, যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন নীতি নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক আরও তীব্র হয়েছে। কিছু শহর ও রাজ্য ফেডারেল সরকারের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বিবেচনা করছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের উদ্যোগ যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ও স্থানীয় সরকারের মধ্যে সম্পর্ককে আরও জটিল করে তুলতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে, অভিবাসন নীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে এবং অনেক অভিবাসী পরিবার উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
শেয়ার করুন