এশিয়ান কাপের ইতিহাস গড়ে নারী ফুটবল দলকে মধ্যরাতে বাফুফের সংবর্ধনা
পাকিস্তান টু যুক্তরাজ্যে হেরোইন পাচারের নিরাপদ ট্রানজিট সিলেট বিমানবন্দর
পাকিস্তান থেকে যুক্তরাজ্যে হেরোইন পাচারের নিরাপদ
ট্রানজিট হিসেবে সিলেটকে বেছে নিয়েছেআন্তর্জাতিক মাদক চোরাকারবারীরা। সিলেটথেকে যুক্তরাজ্যে যাতায়াতকারী যাত্রীর সংখ্যাবেশি হওয়ায় পাকিস্তানী মাদক ব্যবসায়ীরাট্রানজিট রুট হিসেবে সিলেটকে ব্যবহার বেশিনিরাপদ মনে করছে। পাকিস্তান থেকে আসাহেরোইনের দুইটি চালান সিলেটে ধরা পড়ার পরপুলিশ ও গোয়েন্দাদের তদন্তে এমন তথ্য বেরিয়েএসেছে।মাদক ছাড়াও বৈদেশিক মূদ্রা ও সিগারেটপাচারেও ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে সিলেটওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। সর্বশেষ গত২২ মার্চ সন্ধ্যায় পাকিস্তান থেকে সিলেটে আসাএকটি পার্সেল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় দুইকোটি টাকার হেরোইনের চালান। এর আগেএকইভাবে পাকিস্তান থেকে আসা ৮ কোটি টাকারহেরোইনের চালান উদ্ধার করেছিল কাস্টমসবিভাগ।অনুসন্ধানে জানা গেছে- পাকিস্তান, হেরোইনচোরাচালানে পাকিস্তান, সিলেট ও যুক্তরাজ্যেরমাদক ব্যবসায়ীদের সমন্বয়ে সক্রিয় রয়েছেএকাধিক সিন্ডিকেট। পাকিস্তান থেকেডাকবিভাগের মাধ্যমে বিভিন্ন জিনিসপত্রেরভেতরে লুকিয়ে পার্শ্বেল করে ভূয়া ঠিকানায়সিলেটে পাঠানো হয় হেরোইনের চালান। পরেসিলেটের ডাক বিভাগের বৈদেশিক শাখা থেকেএখানকার স্থানীয় এজেন্টরা ছাড়িয়ে নেনপার্শেলটি। এরপর ওই সিন্ডিকেটের সদস্যরাসিলেট থেকে আবারও ডাক, আন্তর্জাতিক কুরিয়ারসার্ভিস ও যাত্রীদের (সিন্ডিকেটের সদস্য)মাধ্যমে হেরোইনের চালান পাঠান যুক্তরাজ্যে।এতোদিন মাদক ব্যবসার এই আন্তর্জাতিক রুটটি ছিলস্থানীয় প্রশাসনের অগোচরে। হেরোইনচোরাচালানের এই রুটটি প্রথম ধরা পড়ে গতবছরের ৯ মার্চ। ওইদিন বৈদেশিক ডাক বিভাগেরমাধ্যমে পাকিস্তান থেকে আসা প্রায় ৮ কেজিওজনের একটি চালান আটকের পর তদন্তে নামেপুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন। তদন্তে তারামাদক চোরাচালানীর আন্তর্জাতিক রুট হিসেবেসিলেটকে ব্যবহারের চাঞ্চল্যকর তথ্য পান।হেরোইনের ওই চালানের ঘটনায় পুলিশ সিলেটেরবিয়ানীবাজার থেকে হোসেন আহমদ মানিক ও বাবুলনামের দুইব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদুইজন হেরোইন চোরাচালানের সাথে নিজেদেরসম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে জানিয়েছিল গতবছরের ৯ মার্চ আটককৃত ৮ কেজি হেরোইনের মূলমালিক যুক্তরাজ্যে বসবাস করেন। তারা সিলেটেরএজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন।ওই ঘটনার একবছর পার হতে না হতেই গত রবিবারপাকিস্তান থেকে আসা ২ কেজি ৮ গ্রাম ওজনেরহেরোইনের আরেকটি চালান ধরা পড়ে সিলেটে।ফেঞ্চুগঞ্জের আশু ঘোষাই নামের একব্যক্তিরঠিকানায় এ চালানটি এসেছিল। পুলিশ ও কাস্টমসকর্তৃপক্ষ ওই ঠিকানা যাচাই-বাছাই করে দেখছে।একাধিক সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়-পাকিস্তান থেকে আসা হেরোইনের চালান সিলেটেআসার পর মূল এজেন্টরা দালালদের মাধ্যমে তাডাক বিভাগ থেকে ছাড়িয়ে নেন। এরপর ওইহেরোইন আবারও ডাকযোগে ও আন্তর্জাতিক কুরিয়ারসার্ভিসের মাধ্যমে অন্যান্য মালামালের সাথেছোট ছোট প্যাকেট করে যুক্তরাজ্যে পাঠানো হয়।স্ক্যানিংয়ে ধরা না পড়ার জন্য হেরোইনেরপ্যাকেটটি বিশেষজাতের কার্বন কাগজ দিয়েমুড়িয়ে দেয়া হয় বলে সূত্র জানায়।এছাড়া চোরাচালান চক্রের সদস্যরা সিলেট থেকেযাওয়ার সময় সাথে করে যুক্তরাজ্যে হেরোইনেরচালান নিয়ে যান। এক্ষেত্রে তারা কাস্টমস ওপুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে হাতে বহনকরা ব্যাগ,শার্টের কলার, পায়ের জুতা ব্যবহার করে থাকে।সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেদায়িত্বরত কাস্টমসের সহকারী কমিশনার প্রভাতকুমার সিংহ সিলেটভিউ২৪ডটকমকে বলেন-পাকিস্তান থেকে কোন পার্সেল আসলে তা সতর্কতারসাথে চেক করা হয়। শুধু পার্সেল নয়, পাকিস্তানীপাসপোর্টধারী কোন যাত্রী আসলেও তাদেরকেতল্লাশি করা হয়ে থাকে। গত একবছরে পাকিস্তানথেকে আসা হেরোইনের দুইটি চালান আটক করাহয়েছে। এছাড়া পাকিস্তানী এক নাগরিকের কাছথেকে ১ কোটি ১৫ লাখ রূপি ও আরেক নাগরিকেরকাছ থেকে বিপুল পরিমাণ সিগারেট উদ্ধার করাহয়েছে।
শেয়ার করুন