এশিয়ান কাপের ইতিহাস গড়ে নারী ফুটবল দলকে মধ্যরাতে বাফুফের সংবর্ধনা
সিলেটের সৌখিন মাহফুজের হেলিকপ্টার তৈরি চলছে : মে মাসে পরীক্ষামূলক ফ্লাইট
বাড়ির আঙিনায় হেলিকপ্টার
তৈরিতে ব্যস্ত সিলেটের জকিগঞ্জের উত্তর কসনকপুর গ্রামেরসৌখিন মাহফুজুল আলম। তিনি কালিগঞ্জ বাজারেবিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নানের পুত্র ওব্যবসায়ী মরহুম রেজান আলীর নাতি। সিলেটেরনর্থইষ্ট মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস পরীক্ষায়উত্তীর্ণ মাহফুজুল আলম এ বছরের ২৯জানুয়ারিহেলিকপ্টার তৈরির কাজ শুরু করেন। গাড়ির ইঞ্জিনও প্রয়োজনীয় উপকরণ ইতোমধ্যে কেনেছেন তিনি।অনেক দূর এগিয়েও নিয়েছেন।মাহফুজুল আলম বলেন, আগামী মে মাসে হেলিকপ্টারতেরির সব কাজ সম্পন্ন হবে। হেলিকপ্টার চালুহলে সময় বাঁচবে, কষ্ট কমবে এবং দেশের মর্যাদাবাড়বে। ভিয়েতনামের একটি কিশোর হেলিকপ্টারতৈরি করে। পাইলট নিয়ে হেলিকপ্টারটি আকাশেউড়ায়। সেই ভিডিও দেখে হেলিকপ্টার তৈরিরভাবনা আমার মাঝে আসে । হেলিকপ্টার তৈরিরকরতে ওয়েবসাইট নিয়ে প্রায় ৩০০ঘন্টাঘাটাঘাটি শুরু করি। পেয়ে যাই অনেক তথ্য।যোগাযোগ করি বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশনসংশ্লিষ্টদের সাথে। এর পরই হেলিকপ্টার তৈরিরকাজ নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় শুরু করি। কামরুলইসলাম ও বাপ্পা চন্দ্র দাস দুই ওয়ার্কশপ কর্মীকেসাথে নিয়ে হেলিকপ্টার তৈরীর কাজ চলছে।মূলত ২০১১ সালে ডিসকভারী চ্যানেলে একটাবিমান দুর্ঘটনার দৃশ্য দেখার পর থেকেইঅনুসন্ধানে আগ্রহ সৃষ্টি হয়। ভিয়েতনামের সেইছেলেটির সাহস বিমান তৈরীতে আমাকে উদ্দীপ্তকরে। হেলিকপ্টার সম্পূর্ণ তেরি হতে খরচ হবেসাত থেকে আট লাখ টাকা। তবে সকল উপকরণ দিয়েকাজটি করতে ১৮-২০লাখ টাকা লাগবে।হেলিকপ্টারটিতে থাকবে এয়ারস্পিড মিটার(গতিমাপার যন্ত্র), ভার্টিকেল স্পিড মিটার(উড্ডয়ন-আবতরণ গতি মাপক যন্ত্র), অল্টিমিটার(যা দিয়েউচ্চতা বুঝা যাবে), কম্পাস(দিক নির্ণয় যন্ত্র),ইনক্লাইনোমিটার(ডান/বামে কাত হওয়ার মাত্রানির্ণায়ক) এবং অটো ইঞ্জিন। গাড়ীর ইঞ্জিনকেএয়ারক্রাপ্ট ইঞ্জিনে রূপান্তর করা হবে।হেলিকপ্টারটি সিএনজি গ্যাস দিয়ে চলবে। শেষহলে অকটেন ব্যবহার করা যেতে পারে।হেলিকপ্টারটি ৮-৯ হাজার ফুট উচ্চতায় একটানাতিনঘন্টা পর্যন্ত উড়তে পারবে। তিন ঘন্টায় প্রায়৪০০কি.মি. অতিক্রম করতে পাবরে। এর গতি হবে১২০-১৫০ নটিক্যাল মাইল। সব মিলিয়েহেলিকপ্টারটির ওজন হবে ৩০০ কেজি। এর মধ্যেইঞ্জিনের ওজন হবে ১০০ কেজি এবং গ্যাসসেলেন্ডারের ওজন হবে ৬০ কেজি।প্রথমে আমি বিমান তৈরীর বিষয়ে অধ্যয়ন করি।পর্যায়ক্রমে হেলিকপ্টারটির ড্রয়িং এঁকেঅবকাঠামো তৈরী শুরু করি। লোহার পাত দিয়েএয়ারফ্রেম বা বিমানের বডি তৈরী করা হয়েছে।বহিরাংশে প্লেন শিট ব্যবহার করা হবে। ইঞ্জিনও যন্ত্রপাতি স্থাপনের পর ভেলেঞ্চার(দুটিডানায়), ও প্রপেলার(ফ্যান-যা ইঞ্জিনের শক্তিযোগাবে) লাগানোর পর মাঠে পাওয়ার টেস্ট করাহবে। সিভিল এভিয়েশনের অনুমতি নিয়েপরীক্ষামূলক উড্ডয়ন করবে হেলিকপ্টারটি।পাইলটসহ একজন যাত্রীও যাতায়াত করতে পারবে।১০০-১২০ মিটার খালি জায়গা থাকলে সহজেইবিমানটি অবতরণ করতে পারবে যে কোনো জায়গায়।আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, চীন, শ্রীলঙ্কা,রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়াসহ পৃথিবীর অনেক দেশেইএমন হেলিকপ্টার রয়েছে। এটিকে এয়ারক্রাপ্ট/এরোপ্লেন বা স্পোর্টস এয়ারক্রাপ্ট বলা হয়।৫০-৬০ লক্ষ টাকায় যে কেউ কিনতে পারেন।মাহফুজের পিতা আব্দুল মান্নান বলেন, আমারছেলের শখের জন্য যা যা করা প্রয়োজন সব কিছুইকরব। তার এ উদ্যোগ সফল ও স্বার্থক হউক এটাইমহান প্রভূর দরবারে আমার মিনতি।মাহফুজুল আলম নর্থইষ্ট মেডিকেল কলেজের ছাত্রথাকা অবস্থায় সিলেটের শিবগঞ্জে “আল-আমিনট্রেডার্স” নামে গাড়ির ব্যবসা শুরু করেন এবংপরবর্তীতে তিনি ব্যবসায়িক কাজে বেশ কয়েকটিদেশে সফর করেন।
শেয়ার করুন