মালয়েশিয়া ‘জঙ্গি’ সন্দেহে ৩৬ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার; ঢাকা দিচ্ছে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি
কিনব্রিজ সংস্কারের নির্দেশনা থাকলেও শুরু হয়নি কাজ
সিলেট নগরকে দু’ভাগে বিভক্ত করে রেখেছে সুরমা নদী। আর এই বিভক্তিকে ব্রিটিশ ঐতিহ্যে এ অঞ্চলের প্রথম সেতু কিনব্রিজ তৈরি করেছে যোগাযোগের সেতুবন্ধন। নির্মাণে রয়েছে ঐতিহাসিক পটভূমি। সিলেটে এই ব্রিটিশ স্থাপত্যের সৌন্দর্য এখন রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ম্লান হতে বসেছে। তবে সম্প্রতি ঘোষণা দেওয়া হয়েছিলো শুরু হচ্ছে সংস্কার কাজ। এজন্য দুমাস যান চলাচল বন্ধ থাকবে ব্রিজে। তবে ঘোষণা দিলেও শুরু হয়নি সংস্কার কাজ। যথারীতি যান চলাচল সচল রয়েছে ব্রিজে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের পুর্বাঞ্চলের সেতু প্রকৌশলী জীষাণ দত্ত স্বাক্ষরিত এক নোটিশে বলা হয়, মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) থেকে দুই মাসের জন্য (২৫ জুলাই থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত) কিনব্রিজ সংস্কার কাজের জন্য যান চলাচল বন্ধ থাকবে। সংস্কার কাজের দায়িত্বে থাকা রেলওয়ের সেতু বিভাগের এমন নির্দেশনা থাকলেও এখনও পর্যন্ত শুরুই হয়নি কাজ।
বুহস্পতিবার (২৭ জুলাই) সকাল সাড়ে দশটার দিকে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, আগের মতোই চলছে যানবাহন। পথচারীরাও হেঁটে পারাপার হচ্ছেন সেতু দিয়ে। এ ব্যাপারে কিনব্রিজের তদারককারি প্রতিষ্ঠান সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, গত মঙ্গলবার থেকে সংস্কার কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিলো। তবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এখনো প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারেনি। আগামী শনিবার আমাদের মিটিং আছে। তখন সিদ্ধন্ত হবে কবে থেকে কাজ শুরু হবে। আপাদত যান চলাচলা করতে কোন বাঁধা নেই।
প্রসঙ্গত- আসামের সঙ্গে সিলেট অঞ্চলের সড়ক যোগাযোগের পথ সুগম করতে সুরমা নদীতে ব্রিজ স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। এর অংশ হিসেবে রেলওয়ে বিভাগ ১৯৩৩ সালে সুরমা নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। তারপর ১৯৩৬ সালে ব্রিজটি আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেয়া হয়। ব্রিজের নামকরণ হয় গভর্নর মাইকেল কিনের নামে। ব্রিজের প্রধান কাঠামো লোহা দিয়ে নির্মিত। এর আকৃতি অনেকটা ধনুকের মতো বাঁকানো। ব্রিজটির দৈঘ্য ১১৫০ ফুট ও প্রস্থ ১৮ ফুট। এ ব্রিজটি নির্মাণে তখনকার দিনেই ব্যয় হয়েছিল প্রায় ৫৬ লাখ টাকা।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন