আপডেট :

        রিশাদের ব্যাটে বাংলাদেশের সিরিজ জয়

        কণ্ঠশিল্পী খালিদ মারা গেছেন

        বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ

        গুণী প্রধান শিক্ষকদের সম্মাননা প্রদান

        বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃ‌তিতে আইরিশ মন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন

        ইসলামবিদ্বেষ ঠেকাতে জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস

        বাংলাদেশ-বৃটেন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫১ বছর: বৃটিশ হাইকমিশনার

        ঢাকায় সুইডিশ রাজকন্যা

        ইরাকের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচিতে সহায়তা করবে আইএইএ

        বিস্ফোরক মামলায় যুবদল-ছাত্রদলের ৪ নেতা কারাগারে

        জিএসপি সুবিধার মেয়াদ ২০৩২ সাল পর্যন্ত বাড়াতে আয়ারল্যান্ডের সমর্থন চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

        ট্রাম্প মানসিকভাবে অসুস্থ: জো বাইডেন

        জৈন্তাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬

        বিএনপি ইফতার পার্টিতে আল্লাহ-রাসুলের নাম না নিয়ে আওয়ামী লীগের গীবত গায়: প্রধানমন্ত্রী

        মার্কিন গণতন্ত্রকে কটাক্ষ পুতিনের

        শাল্লায় বিল শুকিয়ে মৎস্য আহরণ

        দেশে যুক্তরাষ্ট্রের পাপেট সরকার ক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত সব নির্বাচন ত্রুটিপূর্ণ: সজীব ওয়াজেদ জয়

        সিএনজি-লেগুনা’র দখলে রাস্তা

        তিন বিভাগে ৩ দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা

        এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম

হারাম উপার্জন সন্তানের ওপর প্রভাব ফেলে

হারাম উপার্জন সন্তানের ওপর প্রভাব ফেলে

ইসলাম ধর্মমতে সব ধরনের ইবাদত-বন্দেগি কবুল হওয়ার জন্য রিজিক হালাল হওয়া জরুরি। হালাল রিজিকের প্রভাব শুধু নিজের দুনিয়া ও আখেরাতের সৌভাগ্যের জন্যই যে জরুরি তা নয়, নিজের সন্তানের ওপরও এর প্রভাব থাকে। রুজি-রোজগারে খুব সামান্য, এমনকি বিন্দু পরিমাণ হারামের প্রভাব সন্তানের মাঝে প্রকাশ পায়। মানুষ হিসেবে আমরা ভুল-ক্রুটির ঊর্ধ্বে নই। ইচ্ছায়-অনিচ্ছায়, জেনে না জেনে আমাদের থেকে ভুল আচরণ প্রকাশ পেতেই পারে।

আমাদের জীবনে যদি এ জাতীয় ঘটনা ঘটে থাকে। অর্থাৎ আমরা যদি অন্যের কোনো কিছু ভোগ করে থাকি বিনা অনুমতিতে এবং এ জন্য পরে মালিকের সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা না করি- তাহলে অবিলম্বে ক্ষমা বা তার সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্যোগ নেওয়া উচিত। যদি মালিক মারা গিয়ে থাকেন তাহলে তার সন্তানদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। আর যদি তাদের কাউকেই পাওয়া সম্ভব না হয় তাহলে ওই পরিমাণ সম্পদ তাদের নামে সদকা দেয়া উচিত। সেই সঙ্গে তওবাও করতে হবে, ভবিষ্যতে এ কাজ আর না করার।

বস্তুত আল্লাহর প্রতি দৃঢ়-বিশ্বাস ও ভরসা করাই হচ্ছে খাঁটি মুমিনের বৈশিষ্ট্য। এ বিষয়ে পবিত্র কোরআনে কারিমে বলা হয়েছে, ‘তোমরা মন-ভাঙ্গা হয়ো না, হীনবল হয়ো না, তোমরাই বিজয়ী হবে যদি তোমরা মুমিন হও।’ আল্লাহতায়ালা সূরা ইবরাহিমে আরও বলেছেন, ‘যদি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করো, তবে তোমাদেরকে আরও দেব এবং যদি অকৃতজ্ঞ হও তবে নিশ্চয়ই আমার শাস্তি হবে কঠোর।’

তাই সর্বাগ্রে আল্লাহর প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে। আমাদের প্রচেষ্টা যদি আন্তরিক হয়, আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার উদ্দেশ্যে আমাদের কার্যক্রম পরিচালিত হয়- তাহলে আশা করা যায়, আল্লাহতায়ালা আমাদের সমস্ত বৈধ বাসনা পূরণ করবেন, আমাদের দোয়াসমূহ কবুল করবেন। আল্লাহতায়ালা আমাদের সব সমস্যার সমাধান দিতে পারেন এই দৃঢ়-বিশ্বাস আমাদের রাখা উচিত। আন্তরিকভাবে আল্লাহর কাছে পথ-নির্দেশনা কামনা করলে, আল্লাহ অবশ্যই তা কবুল করবেন।

আল্লাহর মর্জি হলে, যা ঘটা আপাতদৃষ্টিতে অসাধ্য বলে মনে হয় তাও সাধন সম্ভব। অনেক খোদাভীরু ব্যক্তির কথা জানা যায়, যারা ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ বলে নদীর পানির ওপর দিয়ে এমনভাবে হেঁটে নদী পার হয়েছেন যেভাবে আমরা পার হই মাটির রাস্তা। আল্লাহর প্রিয়পাত্রদের জন্য এসব খুবই সাধারণ ঘটনা। তার মানে এটা নয় যে, সবাইকে পানির ওপর দিয়ে হেঁটে যেতে হবে। বিষয়টি শুধু শিক্ষা অর্জনের জন্য উল্লেখ করা হলো।

আমাদের সন্তানরা ভালো থাকুক, এটা সবারই কাম্য। কিন্তু তাদের ভালো রাখতে যেয়ে, শান্তি নিশ্চিত করতে তাদের মুখে হারাম খাবার, গায়ে হারাম পোষাক দেওয়া ঠিক হবে না। এটা তাদের ভবিষ্যতকে ধ্বংস করারই নামান্তর। তথ্যসূত্র: অনলাইন থেকে সংগৃহীত।

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত

এ বিভাগের আরো খবর