আপডেট :

        ভারতে ভোটারদের আগ্রহ বাড়াতে বিনামূল্যে খাবার

        থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির আশা প্রধানমন্ত্রীর

        বাজারে বেড়েই চলছে অস্থিরতা

        ইংরেজ গায়ক, গীতিকার ও সঙ্গীতজ্ঞ জন লেননের গিটার

        ইংরেজ গায়ক, গীতিকার ও সঙ্গীতজ্ঞ জন লেননের গিটার

        ভারতে আজ চলছে ৭ দফা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফা

        উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল

        মানবাধিকারের উল্লেখযোগ্য উন্নতি

        প্রচণ্ড এই গরম থেকে মুক্তি পেতে বৃষ্টির জন্য বিভিন্ন জায়গায় নামাজ পড়ে দোয়া

        যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ, শতাধিক শিক্ষার্থী গ্রেফতার

        এফডিসিতে মারামারি: যৌথ বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হলো

        মার্কিন বিমান আটকে দিলো ‘যুদ্ধবিরোধী’ কুমির!

        চিতাবাঘের আক্রমণে আহত জিম্বাবুয়ের সাবেক ক্রিকেটার হুইটাল

        যুক্তরাষ্ট্রে গরুর দুধেও বার্ড ফ্লু শনাক্ত

        পবিত্র হজ পালনের অনুমতি দেওয়া শুরু করেছে সৌদি আরব

        গোপনে ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

        পার্লামেন্টে জুতা চুরি, খালি পায়ে ঘরে ফিরলেন পাকিস্তানের এমপিরা

        অনির্দিষ্টকালের জন্য চুয়েট বন্ধ ঘোষণা

        কুড়িগ্রামে হিটস্ট্রোকে মৃত্যু

        চীন সফর করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন

আজ বন্ধুত্বের দিন

আজ বন্ধুত্বের দিন

ছোট একটি শব্দ বন্ধু কিন্তু এর গভীরতা অনেক বেশি। একে অন্যের সুখে-দুঃখে পাশে থাকা, মুখ দেখেই মনের কথা বুঝতে পারাটাই হচ্ছে বন্ধুত্ব। একজন ভালো বন্ধু শুধু বন্ধুই নয়, ভালো অভিভাবকও।  বন্ধু আর বন্ধন একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। বন্ধুর জন্য বন্ধু জীবন পর্যন্ত বাজি রাখতে পারে।

বন্ধুত্বের কোনো বয়স নেই। কখন কীভাবে কার সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়ে যায় তা বলা মুশকিল। ছেলেবেলা থেকে শুরু করে সব বয়সেই কোনো না কোনোভাবে আমরা কারো সঙ্গে বন্ধুত্ব করছি। ব্যস্ততার কারণে কিংবা অন্য কারণে হয়তো অনেকেই হারিয়ে যায় কিংবা যোগাযোগ করা হয় না। তার মাঝেও কিছু বন্ধু থাকে, যারা কখনো হারিয়ে যায় না। তবে হ্যাঁ, বয়সের ব্যবধানের কারণে ছোটদের প্রতি স্নেহ আর বড়দের প্রতি সম্মান থাকা জরুরি। বন্ধুত্বের মধ্যে যেটি থাকা প্রয়োজন তা হল ‘ভালোবাসা’।

মানুষ যুগ যুগ ধরে এই বন্ধুত্বকে উদ্‌যাপন করছে। যে কথা বাবা-মা, ভাই-বোন কিংবা স্বামী-স্ত্রীকে বলা যায় না, সে কথা অনায়াসে বন্ধুকে বলা যায়। অনেক সময় কষ্টের কথা বন্ধুর কাছে বলে হালকা হওয়া যায়। ভালো পরামর্শ নেওয়া যায় বন্ধুর কাছ থেকে। অবশ্য জীবনে ভালো বন্ধু পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। ভালো বন্ধু পাওয়া যেমন কঠিন, এর চেয়েও বেশি কঠিন এ সম্পর্ককে রক্ষা করা।

রোববার বিশ্ব বন্ধু দিবস। প্রতি বছর আগস্টের প্রথম রোববার বিশ্বজুড়ে পালিত হয় এ দিবস। বন্ধুত্বের জন্য যদিও আলাদা কোনো দিনের প্রয়োজন হয় না, তবুও এই একটি দিন কাছের কিংবা দূরের সব বন্ধুর সঙ্গে আড্ডা দিতে পারেন। তাদের ফেসবুকে কিংবা মুঠোফোনে অথবা কার্ডে শুভেচ্ছা পাঠাতে পারেন।

কিন্তু আগস্টের প্রথম রোববার যে বন্ধু দিবস সেটি এলো কী করে? যতদূর জানা যায়, ১৯৩৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে এ দিবস পালনের প্রথা চালু হয়। ওই বছর যুক্তরাষ্ট্র সরকার এক ব্যক্তিকে হত্যা করে। সে দিনটি ছিল আগস্টের প্রথম শনিবার। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে পরদিন ওই ব্যক্তির এক বন্ধু আত্মহত্যা করেন। সে সময় বিষয়টি ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। এর পর থেকে বন্ধুত্বের অবদান আর তাদের প্রতি সম্মান জানানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেস ১৯৩৫ সালে আগস্ট মাসের প্রথম রোববারকে বন্ধু দিবস ঘোষণা করে। সেই থেকে আগস্ট মাসের প্রথম রোববার বন্ধু দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

আর এক মতে সম্পূর্ণ ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে এর প্রচলন শুরু হয়েছিল। ১৯৩০ সালে এই কাজ করেছিলেন বিশ্বখ্যাত উপহারসামগ্রী ও কার্ড বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান হলমার্কের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা জয়েস হল। তিনি প্রতিবছর ২ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধুত্ব দিবস উদ্‌যাপনের বিষয়টি সামনে আনেন। এদিন কার্ড আদান-প্রদানের মাধ্যমে বন্ধু দিবস পালন করার চল শুরু হয়। তবে তার সে প্রচেষ্টা সফল হয়নি। মানুষ বুঝতে পারে, এটা কোনো মহৎ উদ্দেশ্য নয়, বরং হলমার্কের কার্ড ব্যবসা বাড়ানোর ফন্দি। ফলে বছর দশেক পরে এটি একরকম বন্ধ হয়ে যায়।

অবশ্য সে সময় ইউরোপ-এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে বন্ধু দিবস উদ্‌যাপনের রেওয়াজ। তবে এই দিবস উদ্‌যাপনের ক্ষেত্রে মোড় ঘুরিয়ে দেন প্যারাগুয়ের চিকিৎসক ড. আর্টেমিও ব্রাকো। তিনি ১৯৫৮ সালের ২০ জুলাই বিশ্বব্যাপী বন্ধু দিবস পালনের প্রস্তাব দেন। প্যারাগুয়ের রাজধানী থেকে ২০০ মাইল দূরের পূয়ের্তো পিনাস্কো শহরে বন্ধুদের নিয়ে আয়োজিত সাদামাটা এক ডিনার পার্টিতে বিশেষ এই প্রস্তাব রেখেছিলেন ড. ব্রাকো। এরপর বিশ্বব্যাপী ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বন্ধুত্ব, ঐক্য ও ভালোবাসা ছড়িয়ে দিতে গঠন করা হয় ওয়ার্ল্ড ফ্রেন্ডশিপ ক্রুসেডের।

তবে ওয়ার্ল্ড ফ্রেন্ডশিপ ক্রুসেডের দাবির প্রায় পাঁচ যুগ পর ২০১১ সালের ২৭ জুলাই জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ৩০ জুলাইকে বিশ্ব বন্ধু দিবস হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। জাতিসংঘের প্রাক্তন মহাসচিব কোফি আনান ৩০ জুলাইকে বন্ধু দিবস ঘোষণা করেন। তবে এখনো বাংলাদেশ-ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আগস্টের প্রথম রোববারই বন্ধু দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

আধুনিক যুগে বন্ধুত্ব ছড়িয়ে পড়েছে দেশের সীমানা ছাড়িয়ে দূর দূরান্তরে। প্রযুক্তির কল্যাণে এখন গোটা বিশ্ব বলতে গেলে হাতের মুঠোয়। ফলে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে বসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমরা যোগাযোগ করতে পারছি বন্ধুর সঙ্গে। মুঠোফোন, ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামসহ নানা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একে অন্যকে শুভেচ্ছা জানাবে।

এলএবাংলাটাইমস/এলএস/এলআরটি

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত

এ বিভাগের আরো খবর