এলএ বাংলার সমীক্ষাঃ করোনায় লস এঞ্জেলেস বাংলাদেশীদের সচেতনতা নিয়ে
ছবিঃ এলএ বাংলা টাইমস
কমিউনিটির ৩৯ শতাংশ বাংলাদেশি এখনো ভাইরাসটি সম্পর্কে তেমন স্পষ্ট ধারণা রাখেন না
প্রিয় পাঠক, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস নিয়ে লস এঞ্জেলেস কাউন্টিতে বসবাসকারী বাংলাদেশি কমিউনিটি কতটুকু সচেতন তাই নিয়ে আমাদের আজকের আয়োজন। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ও ভাইরাসটি প্রতিরোধে কিছু করণীয় দিক নিয়ে কথা হয় লস এঞ্জেলেসের বাংলাদেশী কমিউনিটি কয়েকজনের সাথে।
‘লিটল বাংলাদেশ’ এলাকার বাঙালি পাড়া ও কমিউনিটির অন্তত ১৭ জনকে নিয়ে এই সমীক্ষাটি করে এলএ বাংলা টাইমস। এই ১৭ জনের মধ্যে ২ জন বাংলাদেশি আমেরিকান শিশু, ২ জন নারী, ৫ জন শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশাজীবীকে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়।
কাউকে ছোট বা খাটো করতে নয়। কমিউনিটির প্রতি আমাদের সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে এলএ বাংলার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও নিরাপত্তার স্বার্থে সমীক্ষাটি করতে গিয়ে নমুনায়ন হিসেবে কথা বলা ব্যক্তিদের নাম, পরিচয় প্রকাশ করা হচ্ছে না। দৈবচয়নের ভিত্তিতে করা এই সমীক্ষার ফলাফলে আমরা বিস্মিত।
মৌখিক সাক্ষাৎকারে প্রাপ্ত উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা যায়। কমিউনিটির ৩৯ শতাংশ বাংলাদেশি এখনো করোনাভাইরাসের করণীয় দিক সম্পর্কে তেমন স্পষ্ট ধারণা রাখেন না। নতুন এই ভাইরাসটি সম্পর্কে প্রায় ৮ শতাংশ লোকের ধারণা বিভ্রান্তিকর। তবে প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা যায়, শতকরা প্রায় ৯০ জন লোক নির্বাহী আদেশ মেনে ঘরে থাকছেন। তবে ‘লিটল বাংলাদেশ’ এলাকার বাঙালি পাড়ার কিছু রেস্টুরেন্টে ‘সামাজিক দুরত্ব’ মানতে দেখা যায়নি।
আর প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ও ভাইরাসটি প্রতিরোধে করণীয় দিক সম্পর্কে বেশ সচেতনতা লক্ষ্য করা গেছে কমিউনিটির শতকরা ৬১ জন বাংলাদেশির মধ্যে। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ভাইরাসটি প্রতিরোধে করণীয় দিক সম্পর্কে অনলাইনে থাকা বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা ও সিডিসির গাইডলাইনগুলো পড়েছে বলে জানান।
তবে অনেকটাই অসচেতন এমন কয়েকজন ভাইরাসটি সম্পর্কে এমন কিছু তথ্য দিলেন যা সত্যিই চমৎকার। মহামারীর এই দুর্দিনেও ভিতর থেকে হাসি আসার উপক্রম হচ্ছিল। এই সমস্ত তথ্যগুলো কে গুজব বা বানোয়াট বললেও ভুল বলা হবে। মনে হয়েছে ভাইরাসটি নিয়ে ওহি পাওয়া কোন পয়গম্বরের সাথে কথা বললাম।
তবে এই সমীক্ষা করতে গিয়ে শুধু একটা জিনিসই বারবার মনে হয়েছে, এই দুর্যোগে কি করছে লস এঞ্জেলেসে থাকা বাংলাদেশি কমিউনিটি সংগঠনগুলো। নতুন এই ভাইরাসটি নিয়ে কমিউনিটির মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে তারা কি কোন ভূমিকা রাখতে পারে না?
উল্লেখ্য, এলএ কাউন্টি ও স্বাস্থ্য বিভাগের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, প্রাণঘাতী কভিড-১৯ (করোনা ভাইরাসে) লস এঞ্জেলেস কাউন্টিতে মারা যায় ৩২ জন। তাছাড়া, প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটিতে এখনো পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৮০৪ জন। লস এঞ্জেলেস কাউন্টিতে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা প্রতিদিন জ্যামিতিক হারে বেড়ে চলছে।
বি.দ্র. এটা কোন একাডেমিক সমীক্ষা বা গবেষণা নয়। সংবাদের প্রয়োজনে খুব স্বল্প পরিসরের নমুনা নিয়ে করা একটি সমীক্ষা। তাছাড়া, এখানে অনেক সীমাবদ্ধতার পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক গবেষণা কাজের অনেক পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়নি। তাই এর কোন প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি নেই।
শেয়ার করুন