আমেরিকায় অবৈধভাবে ঢুকে আটকে ৮১ বাংলাদেশি
যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধপথে ঢোকায় কড়াকড়ি থাকলেও বাংলাদেশিদের এই প্রবণতা বেড়ে চলেছে। গত এক মাসে শুধু টেক্সাসেই ধরা পড়েছেন ১২ জন অবৈধ বাংলাদেশি, যাদের কাছে বৈধ কোনো কাগজপত্র পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে দেশটির অভিবাসন কর্তৃপক্ষ।
টেক্সাসের এলপাসো ডিটেনশন সেন্টার থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই সেন্টারে বর্তমানে ৮১ জন বাংলাদেশি আছেন, যাদের মধ্যে কেউ কেউ চার মাসেরও বেশি সময় ধরে আটক আছেন।
রাজ্যের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট কর্মকর্তা জামারিপা লেটিসিয়া
জানিয়েছেন, আটকদের মধ্যে আটজনকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারের চূড়ান্ত আদেশ জারি হয়েছে। বাকিদের অভিবাসন বিচারকের আদালতে শুনানিতে হাজির করার দিন নির্ধারণ হয়েছে।
জামারিপা জানান, আটকরা মেক্সিকো সীমান্ত পেরিয়ে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকার সময় হোমল্যান্ড সিকিউরিটির হাতে ধরা পড়েছেন।
তবে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগাযোগের পরও পাসপোর্ট না মেলায় বহিষ্কারের অপেক্ষায় থাকা আট বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন এই অভিবাসন কর্মকর্তা।
জামারিপা বলেন, “বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে ফেডারেল কর্মকর্তারা যোগাযোগ করেছেন। কিন্তু তাদের পাসপোর্ট এখনও তৈরি না হওয়ায় বহিষ্কারের কার্যক্রম ঝুলে আছে।”
এলপাসো ডিটেনশন সেন্টার থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা গেছে, আটকদের মধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও নোয়াখালীর বাসিন্দা রয়েছেন। এদের অনেকেই রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেছেন।
তবে এ ধরনের আশ্রয় পেতে প্রয়োজনীয় নথিপত্র দেখাতে না পারলে আবেদন মঞ্জুর হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে নিউ ইয়র্কের অভিবাসন বিষয়ক আইনজীবী অশোক কর্মকার জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “(রাজনৈতিক আশ্রয়) আবেদনকারীদের মধ্যে যারা দেশে ফিরলে সত্যিকার অর্থেই বিপদে পড়তে পারেন, তাদের ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিচ্ছেন মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তারা।
“অভিবাসন আদালতে তাদের দেওয়া প্রতিবেদনের ওপরই রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়া, না পাওয়ার বিষয়টি নির্ভর করছে।”
শেয়ার করুন