আপডেট :

        দেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে

        দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে উপজেলায় থাকবেন একজন করে বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট

        বার্সেলোনার সঙ্গে লিওনেল মেসির চুক্তির গল্পটা সবারই জানা

        সেকেন্ড হ্যান্ড পণ্য কেনার প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়তে শুরু করেছে

        চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের বিলুপ্ত

        চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের বিলুপ্ত

        চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের বিলুপ্ত

        উন্নয়নশীল দেশগুলোতে অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা

        উন্নয়নশীল দেশগুলোতে অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা

        ডিবি অফিস থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন মামুনুল হক

        ডিবি অফিস থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন মামুনুল হক

        নদীতে গোসল করতে নেমে শিশুসহ দুইজনের মৃত্যু!

        কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ধান কাটা বিরোধের জের ধরে খুন

        ভারতের জনপ্রিয় গায়িকা ও অভিনেত্রী মোনালি ঠাকুর মা কে হারালেন

        পাকিস্তানে দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের একটি মেয়েদের স্কুলের বোমা হামলা

        স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের মূল্যবৃদ্ধি

        কিরগিজস্তানের বিশকেকে বিদেশি শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করা হামলার ঘটনা

        দমে যাবেন না পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো

        নিজের ৪০তম জন্মদিনে একটু ভিন্নভাবে সেজেছেন মার্ক জাকারবার্গ

        ক্রিকেটার তাসকিনের বদলে যাওয়ার গল্প

৭ মার্চের ভাষণের ঐতিহাসিক স্বীকৃতিতে মিলানে আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত

৭ মার্চের ভাষণের ঐতিহাসিক স্বীকৃতিতে মিলানে আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত

১০ ডিসেম্বর বিকাল ৩:০০ ঘটিকায় প্রবল তুষারপাত আর কনকনে শীত উপেক্ষা করে শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছে মিলান লোম্বাদিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীরা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ ইউনেস্কোর ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টার’এ অর্ন্তভুক্তি এবং বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্যের স্বীকৃতি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ কন্স্যুলেট জেনারেল মিলান ইতালীর আয়োজনে শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলান এর কনসাল জেনারেল মিজ রেজিনা আহমেদ এর নেতৃত্বে আনন্দ শোভাযাত্রায়  কনস্যুলেট জেনারেলের কর্মকর্তাবৃন্দ-এবং মিলান লোম্বারদিয়া আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ সহ  শত শত প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন কন্সাল জেনারেল মিজ রেজিনা আহমেদ। এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ প্রদর্শন করা হয়।
কন্সাল জেনারেল মিজ রেজিনা আহমেদ তাঁর বক্তব্যে বলেন, এই ভাষণটির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আমাদের দেশ গড়ার কাজে স্পৃহা যোগাবে। তিনি এ অজর্নের জন্য প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়  ও ইউনেস্কোতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
অনুষ্ঠানে ইতালিয়ান সিনদাকোর নেতৃবৃন্দ উপস্হিত ছিলেন, দিয়ানা দি মারকে এই শোভাযাত্রায় অংশ গ্রহন করে আনন্দিত হয়ে তাঁর বক্তব্যে ৭ মার্চের ভাষণকে বাঙ্গালী জাতির মুক্তির সনদ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।এছাড়া ইতালিয়ান সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্হিত ছিলেন।
গত ৩০ অক্টোবর ইউনাইটেড নেশন এডুকেশন, সায়েন্টিফিক এন্ড কালচারাল অর্গানাইজেশন (ইউনেস্কো) ৭ই মার্চে বঙ্গবন্ধুর ভাষণকে (ওয়াল্ড ডকুমেন্টারি হেরিটেজ) বিশ্বে প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। প্যারিসে ইউনেস্কোর প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক ইরিনা বুকোভা এই ঘোষণা দেন।
সেই সিদ্ধান্তের ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ বিশ্বের আন্তর্জাতিক রেজিস্ট্রার স্মৃতিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এটি বিশ্বের বিভিন্ন ঐতিহ্যগত তাৎপর্যপূর্ণ প্রামাণ্য দলিল সমূহের আন্তর্জাতিকভাবে রেজিস্ট্রার্ড একটি তালিকা। আন্তর্জাতিকভাবে রেজিস্ট্রাকৃত এই তালিকা তৈরির উদ্দেশ্য হলো, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ঐতিহ্যগত প্রামাণ্য দলিলসমূহের সংরক্ষণ ও ব্যবহার নিশ্চিত করা।
ইন্টারন্যাশনাল এডভাইজারি কমিটি (আইএসি) কোনো প্রামাণ্য দলিল বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে রেজিস্ট্রার হবে কিনা বা যোগ্য কিনা তা বিচার বিশ্লেষণ করে থাকে। এই কমিটি এবছর ২৪ থেকে ২৭ অক্টোবর আয়োজিত সংগঠনটির বৈঠকে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণকে বিশ্বে আন্তর্জাতিক রেজিস্ট্রার্ড মেমোরি হিসেবে মনোনীত করে।
বর্তমানে ম্যামোরি অফ ওয়াল্ড রেজিস্ট্রারে সব মহাদেশগুলো থেকে ৪২৭টি প্রামাণ্য দলিল ও সংগ্রহ তালিকাভুক্ত রয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ স্বাধীনতাকামী বাঙালি জাতির অনুপ্রেরণা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ভাষণটি স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রস্তুতির দিকে ঝুঁকে পড়তেও উৎসাহিত করে। এটি মুক্তিবাহিনীতে যোগদানকারী মুক্তিযোদ্ধাদের অংশগ্রহণের অন্যতম প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছিল।

বঙ্গবন্ধুর ভাষণ দেশের বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠান চলাকালে প্রচারে বাঙালী জাতির হৃদয় ও মনকে উৎসাহিত করে। এই ভাষণ এদেশের মানুষকে এবং পরবর্তী প্রজন্মগুলোকে অনুপ্রাণিত করছে।
এই অর্জনকে বিশ্বের প্রতি বাঙ্গালীর ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে।আগামী প্রজন্মের শিশুদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে ৭ মার্চের ভাষণ কি,কেন বিশ্ব প্রামাদিক ঐতিহ্য স্বীকৃত পেলো?শুধু নিজেদের মধ্যই নয় বিদেশীদের মাঝে পৌঁঁছে দেয়ার জনই মেমরি অব দ্যা ইন্টারন্যাশনাল রেজিষ্টারে অন্তর্ভূত করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয় এবং বাস্তবায়িত হয়।
এই আনন্দ প্রবাসী বাংলাদেশী ও বিদেশীদের মধ্য ছড়িয়ে দেয়ার জন্য বাংলাদেশ কন্স্যুলেট জেনারেল আনন্দ শোভা যাত্রার আয়োজন করে এবং সার্বিকভাবে সহযোগীতা করেন,লোম্বারদিয়া আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আ: মান্নান মালিথা,সাধারণ সম্পাদক নাজমুল কবির জামান,রাজনৈতিক ও কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব আকরাম হোসেন,যুগ্নসম্পাদক মোহাম্মদ হানিফ শিপন,যুগ্নসম্পাদক জামিল আহমেদ,যুগ্নসম্পাদক তুহিন মাহামুদ,প্রচার সম্পাদক জাকির হোসেন মামুন,স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি তোফায়েল আহমেদ খান তপু প্রমূখ নেতৃবৃন্দ।

শোভাযাত্রার অগ্রভাগে ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম,গাফ্ফার, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী নেছার উদ্দিন, গা্লারাত আওয়ামী লীগ সভাপতি সিরাজুল ইসলাম,সুলতান শরীফ সহ লোম্বারদিয়ার বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
শোভাযাত্রাটি মিলানের প্রাণকেন্দ্র পিয়াচ্ছা সানবাবিলা এসে সমাপ্ত হয়। এবং সেখানে আয়োজক ও নেতৃবৃন্দ সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান করেন। 


এলএবাংলাটাইমস/এএল/এলআরটি

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত