আপডেট :

        ভালোবাসার শহরে গড়ে উঠছে লৌহকঙ্কাল—নতুন নির্মাণে বদলে যাচ্ছে চেহারা

        শুল্ক আরোপ নিয়ে প্রেস সচিব যা বললেন

        আকুর দায় মেটানোর পর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩০ বিলিয়নের নিচে

        ব্যক্তিগত সহকারীসহ ডিপজলের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা

        বাংলাদেশি পণ্য আমেরিকায় উৎপাদন হলে শুল্ক মুক্তির আশ্বাস ট্রাম্পের

        চাঁদা প্রসঙ্গে ইলিয়াস: ‘কারা নিচ্ছেন বলবো না, সাবধানে নিয়েন’

        বিশ্বকাপে খেলতে মুখিয়ে আফঈদা, আস্থার বার্তা ঋতুপর্ণার

        হিমছড়িতে সাগরে ভেসে গেলেন চবির ৩ ছাত্র, একজনের লাশ উদ্ধার

        যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক আলোচনা শুরু হচ্ছে বুধবার: জানালেন বাণিজ্য উপদেষ্টা

        চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো দুই জিকা রোগী শনাক্ত

        ২০১৫ সালের মামলা থেকে মুক্তি পেলেন খালেদা জিয়া, কুমিল্লায় আদালতের রায়

        রাশিয়ার পরিবহনমন্ত্রীকে অপসারণ করলেন পুতিন

        ঐতিহাসিক মুহূর্ত: জেনিফার সাইমনস সুরিনামের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে মনোনীত

        শ্রীলঙ্কার ওয়ানডে সিরিজের দল ঘোষণা: দুই মালিঙ্গার জোড়া হুমকি

        মালয়েশিয়ার আকাশে অদ্ভুত পরীর আবির্ভাব: রহস্যের জালে ঘেরা গল্প

        ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস, ৭ অঞ্চলে পাহাড়ধসের সম্ভাবনা

        শিক্ষা উপদেষ্টার পরামর্শ: কারিগরি শিক্ষায় জোর দিন

        ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত ও হেফাজত আমিরের বৈঠক: শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি

        বিশ্ব বাণিজ্যে ট্রাম্পের নতুন পদক্ষেপ: কমছে স্বর্ণের দাম

        ফলের রস না স্মুদি: কোনটি আপনার সকালকে করবে আরও স্বাস্থ্যকর?

‘আমার বিরুদ্ধে লিখলে কিছুই হবে না’

‘আমার বিরুদ্ধে লিখলে কিছুই হবে না’

সীমাহীন দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

ওই হাসপাতালের জন্য বরাদ্দ সরকারি ওষুধ অহরহ পাচার হচ্ছে বলে খবর।

অথচ এ পাচার চক্রের মূল হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে।

আর এ কারণে বিনামূল্যের ওষুধ অতিরিক্ত মূল্য দিয়ে কিনতে হচ্ছে রোগীদের।

সূত্রের খবর, প্রতিষ্ঠান না থাকলেও হাসপাতালের ঠিকাদারি কাজ পাচ্ছেন স্থানীয় ব্যক্তিরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, এবারের শীতে হাসপাতালের মেঝেতে অবস্থান নেয়া রোগীদের অনেকে কম্বল, বালিশ ও মশারী পাচ্ছেন না।

যারা পেয়েছেন তারা এসব সামগ্রি নিজেরা সঙ্গে নিয়ে এসেছেন নয়তো হাসপাতালের কর্মচারীদের থেকে চড়া দামে কিনে নিতে হয়েছে।

অথচ হাসপাতালের পক্ষ থেকেই কোনো চার্জ ছাড়া কম্বল, চাদর ও বালিশের কাভার দেয়ার নিয়ম রয়েছে।

এভাবেই সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে শীতে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা প্রতিদিন।

জানা গেছে, এসব দুনীর্তির পেছনে যিনি কলকাঠি নাড়ছেন তিনি ওই হাসপাতালের হিসাবরক্ষক আশরাফ মজিদ।

সূত্রের খবর, মানিক লন্ড্রি এবং সাদেক লন্ড্রি নামের দুই নাম সর্বস্ব প্রতিষ্ঠানকে হাসপাতালের ঠিকাদারি কাজ পাইয়ে দেন এই আশরাফ মজিদ।

আর সে বাবদ ওই দুই প্রতিষ্ঠান থেকে তার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে মাসোয়ারা।

জানা গেছে, ওই হিসাবরক্ষকের সহযোগিতায় প্রতি মাসে হাসপাতালের কাপড়, কাঁথা, কম্বল এবং লেপ-তোশক ইত্যাদি ধোয়ার কাজের জন্য মোটা অঙ্কের বিল উত্তোলন করছে মানিক লন্ড্রি এবং সাদেক লন্ড্রি।

হাসপাতালের বিল সিট অনুযায়ী, কাপড়-চোপড় ধোয়ার কাজে শীত ও গ্রীষ্মকালীন প্রতি মাসে গড়ে ঠিকাদার প্রায় দেড় লাখ টাকা করে উত্তোলন করছে।

এভাবে হাসপাতালের বিভিন্ন কাজে দুর্নীতি করে কোটি কোটি টাকার পাহাড় গড়ে কুড়িগ্রাম পৌর শহরের গস্তিপাড়ায় প্রায় ৬০ লাখ টাকা দিয়ে দুটি জমি কিনেছেন আশরাফ মজিদ।

এর একটিতে দুই কোটি টাকা মূল্যের পাঁচতলা ভবন নির্মাণ করেছেন।

এছাড়াও গ্রামের বাড়িতে প্রায় ২০ লাখ টাকা মূল্যের ৮০ শতক জমি রয়েছে তার।

হঠাৎ করেই আশরাফ মজিদের আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি চোখে পড়েছে স্থানীয়দের।

হলোখানা ইউনিয়নের এক বাসিন্দা বলেন, আশরাফ মজিদ একজন অবসরপ্রাপ্ত প্রাইমারি শিক্ষকের ছেলে। তার ছয় ভাই-বোন। এর আগে তাদের এতো বিত্ত-বৈভব দেখা যায়নি।

কিন্তু হঠাৎ করে আশরাফ মজিদ শহরে জায়গা কিনে বাড়ি করায় অবাক হয়েছেন তারা।

দুই ঠিকাদার মানিক লন্ড্রি এবং সাদেক লন্ড্রির বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাস্তবে দুই প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব নেই।

এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম শহরের লন্ড্রি ব্যবসায়ী সালাম বলেন, আমি আট বছর ধরে এখানে লন্ড্রির ব্যবসা করছি। এখানে মানিক লন্ড্রি এবং সাদেক লন্ড্রি নামে কোনো প্রতিষ্ঠান নেই, আর ছিলও না।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে কোনো তথ্য দিতে বাধ্য নই জানিয়ে হাসপাতালের হিসাবরক্ষক আশরাফ মজিদ বলেন, কুড়িগ্রামের ৪০০ সাংবাদিকের সঙ্গে আমার পরিচয় আছে। আমার বিরুদ্ধে লিখলে কিছুই হবে না।

কুড়িগ্রাম শহরে দুটি জমি ও বাড়ির প্রসঙ্গে তিনি জানান, এসব সম্পদ তিনি বেসরকারি ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে ২৩ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে করেছেন।


শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত