২০১৫ সালের মামলা থেকে মুক্তি পেলেন খালেদা জিয়া, কুমিল্লায় আদালতের রায়
রাশিয়ার পরিবহনমন্ত্রীকে অপসারণ করলেন পুতিন
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সোমবার তার পরিবহনমন্ত্রীকে বরখাস্ত করেছেন। ইউক্রেনের সঙ্গে চার বছর ধরে চলা যুদ্ধে পরিবহন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য বাঁধা আসার পর এই অপ্রত্যাশিত পদক্ষেপ নিলেন রাশিয়ার নেতা।
এক বছর ধরে দায়িত্বে থাকা রোমান স্টারোভোয়েটকে সরানোর ব্যাপারে কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি ক্রেমলিন। ইউক্রেন সীমান্তবর্তী কুরস্ক অঞ্চলে পাঁচ বছর গভর্নরের দায়ীত্ব পালনের পর ২০২৪ সালের মে মাসে এই দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি।
স্টারোভোয়েটকে বরখাস্তের পর নভগোরদ অঞ্চলের সাবেক গভর্নর আনদ্রেই নিকিতিনকে ভারপ্রাপ্ত পরিবহনমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে পুতিনের সঙ্গে তার করমর্দনের ছবি প্রকাশ করেছে ক্রেমলিন।
স্টারোভোয়েটের হঠাৎ বিদায় সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানান, ‘প্রেসিডেন্টের মতে, আনদ্রেই নিকিতিনের পেশাগত গুণাবলী ও অভিজ্ঞতা এই সংস্থায় সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখবে। যেটি এই মুহুর্তে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বলে তিনি মনে করেন।’
পরিবহন বিভাগ সংশ্লিষ্ট দুজন নাম না প্রকাশের শর্তে জানান, সেন্ট পিটার্সবার্গে গত মাসে অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল ইকনোমিক ফোরামের আগে থেকেই স্টারোভোয়েটকে সরিয়ে নিকিতিনকে নিয়োগের পরিকল্পনা চলছে।
কিন্তু এই তথ্য অস্বীকার করেছে পরিবহন মন্ত্রণালয়।
পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে পণ্য পরিবহনে বাধা কমানো ও পণ্যের আন্ত সীমান্ত প্রবাহ মসৃণ করতে রাশিয়ার পরিবহন শিল্পকে আধুনীকায়ন করার বিশাল পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করার কথা বলেছিলেন নিকিতিন।
এইদিকে স্টারোভোয়েট কুরস্ক অঞ্চলের গভর্নর পদ থেকে সরে আসার পর ওই অঞ্চলে বিশালসংখ্যক ইউক্রেনীয় সেনা প্রবেশ করে, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর রাশিয়ার ভূখণ্ডে প্রবেশ করা ইউক্রেনীয় সেনাদের সর্বোচ্চ সংখ্যা। তবে এ বছরের শুরুর দিকে এই অঞ্চল থেকে তাদের সরাতে সক্ষম হয় রাশিয়া।
পরবর্তীতে কুরস্কের কিছু আঞ্চলিক কর্মকর্তাকে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এ বছর এপ্রিলে স্টারোভোয়েটের পর দায়িত্বপ্রাপ্ত গভর্নর আলেক্সি স্মিরনভের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষার উদ্দেশ্যে বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছিল।
পরিবহণ বিভাগ সংশ্লিষ্ট অন্য আরেকটি সূত্র দাবি করেছে, স্টারোভোয়েটের পদটি মাসখানেক থেকেই প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। শুধু পরিবহন বিভাগের জন্য নয়, কুরস্কে ঘটা কেলেঙ্কারির জন্যও তিনি প্রশ্নবিদ্ধ ছিলেন। তবে দাবিটির সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এই ব্যাপারে পেসকভ অবশ্য বলেছেন, যদি আস্থা হারানোর কোনো ব্যাপার থাকতো তাহলে এটি উল্লেখ করা হতো। ক্রেমলিনের ডিক্রিতে এমন কোনো শব্দের উল্লেখ নেই।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন