আপডেট :

        প্রাইজবন্ডে প্রথম পুরস্কার

        পাউবোর ৩৭০ বজ্র নিরোধক দণ্ড স্থাপন

        সিলেট বিভাগের বেশিরভাগ জায়গায় বিদ্যুৎহীন

        সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা সন্ধ্যায়

        সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা সন্ধ্যায়

        ভিসা অব্যাহতি ও বাণিজ্য সম্প্রসারণ

        সুন্দরবনে সন্ধ্যায়ও বিক্ষিপ্তভাবে অর্ধশতাধিক স্থানে আগুন জ্বলতে দেখা যায়

        সুন্দরবনে সন্ধ্যায়ও বিক্ষিপ্তভাবে অর্ধশতাধিক স্থানে আগুন জ্বলতে দেখা যায়

        উচ্চশিক্ষাকে ডিজিটালাইজেশনে আওতায় আনার সিদ্ধান্ত

        কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ওপরে ড্রোন, পাহারায় পুলিশ’

        বাংলাদেশের গণমাধ্যম শুধু মুক্ত নয় বরং উন্মুক্ত

        বাংলাদেশের গণমাধ্যম শুধু মুক্ত নয় বরং উন্মুক্ত

        দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছয় দিন ধরে হতে পারে ঝড়-বৃষ্টি

        দীর্ঘ সময় পর ঢাকা-জয়দেবপুরে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

        জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পারফর্ম বিবেচনা করে বিশ্বকাপ ভুল সিদ্ধান্ত হতে পারে

        জবিতে আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাড মেকিং প্রতিযোগিতা

        মিয়ানমারের আরও ৪০ সীমান্তরক্ষী টেকনাফে

        রাজউকের প্লট-ফ্ল্যাট বরাদ্দ এলো নতুন বিধিমালা

        সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু

        চুক্তিতে যেতে আগ্রহ নন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন

ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগে সাত পুলিশ বরখাস্ত

ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগে সাত পুলিশ বরখাস্ত


এক ব্যবসায়ীকে পথ থেকে তুলে নিয়ে ক্রসফায়ার ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগে ঢাকা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাত সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

সোহেল নামের একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় গতকাল ওই পুলিশ সদস্যদের বরখাস্ত করা হয়। তারা হলেন- উপপরিদর্শক (এসআই) সৈয়দ মাহমুদুল হাসান, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ফরহাদ আলী, কনস্টেবল মোজাম্মেল হক, আবদুল জব্বার, সুমন মিয়া, রাজীব চন্দ্র সরকার ও আবু রাসেল।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার মো. সোহেল ঢাকা জেলার পুলিশ সুপারের কাছে ওই সাত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের নাজিরাবাগ এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকেন ফুটপাতে লুঙ্গির ব্যবসায়ী সোহেল।

পুলিশ সুপারের কাছে দেওয়া লিখিত অভিযোগে সোহেল বলেন, গত বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে সদরঘাট থেকে বাসায় ফেরছিলেন তিনি। পথে লালকুঠির নৌকাঘাটে পাঁচ-ছয়জন লোক তাকে ঘিরে ধরেন। তারা নিজেদের কেরানীগঞ্জের ডিবি পুলিশের সদস্য পরিচয় দিয়ে তাকে হাতকড়া পরান। এরপর নৌকায় করে ওপারে কেরানীগঞ্জের আলম মার্কেটের সামনে নিয়ে যান। সেখানে একটি সাদা রঙের মাইক্রোবাসে তুলে তাকে নিয়ে যান অজ্ঞাত স্থানে।

সোহেল আরও জানান, তাকে নির্যাতন ও মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে ক্রসফায়ারের ভয় ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তার কাছে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করা হয়। এবং পরিবারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে টাকা নিয়ে আসতে বলেন।

ওই বক্তিদের নির্দেশনামতো সোহেলের স্ত্রী, বোন ও পুত্রবধূ সাড়ে চার লাখ টাকা নিয়ে মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ মোড় এলাকায় যান। সেখান থেকে তাদের বছিলা ব্রিজে নিয়ে মাইক্রোবাসে তোলা হয়।  রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিভিন্ন কাগজে সই নিয়ে সতর্ক করা হয়, এ ঘটনা কাউকে জানালে সোহেল ও তার পরিবারকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হবে, না হয় ধরে নিয়ে হত্যা করা হবে।

ঢাকা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (দক্ষিণ) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ব্যবসায়ীর লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ সুপার ওই দিনই তাকে ঘটনাটি তদন্তের নির্দেশ দেন। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।  তদন্তে পুলিশ সদর দপ্তরের একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার একজন সহকারী পুলিশ সুপারও ছিলেন বলে জানান  ওসি।

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত