আপডেট :

        প্রাইজবন্ডে প্রথম পুরস্কার

        পাউবোর ৩৭০ বজ্র নিরোধক দণ্ড স্থাপন

        সিলেট বিভাগের বেশিরভাগ জায়গায় বিদ্যুৎহীন

        সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা সন্ধ্যায়

        সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা সন্ধ্যায়

        ভিসা অব্যাহতি ও বাণিজ্য সম্প্রসারণ

        সুন্দরবনে সন্ধ্যায়ও বিক্ষিপ্তভাবে অর্ধশতাধিক স্থানে আগুন জ্বলতে দেখা যায়

        সুন্দরবনে সন্ধ্যায়ও বিক্ষিপ্তভাবে অর্ধশতাধিক স্থানে আগুন জ্বলতে দেখা যায়

        উচ্চশিক্ষাকে ডিজিটালাইজেশনে আওতায় আনার সিদ্ধান্ত

        কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ওপরে ড্রোন, পাহারায় পুলিশ’

        বাংলাদেশের গণমাধ্যম শুধু মুক্ত নয় বরং উন্মুক্ত

        বাংলাদেশের গণমাধ্যম শুধু মুক্ত নয় বরং উন্মুক্ত

        দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছয় দিন ধরে হতে পারে ঝড়-বৃষ্টি

        দীর্ঘ সময় পর ঢাকা-জয়দেবপুরে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

        জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পারফর্ম বিবেচনা করে বিশ্বকাপ ভুল সিদ্ধান্ত হতে পারে

        জবিতে আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাড মেকিং প্রতিযোগিতা

        মিয়ানমারের আরও ৪০ সীমান্তরক্ষী টেকনাফে

        রাজউকের প্লট-ফ্ল্যাট বরাদ্দ এলো নতুন বিধিমালা

        সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু

        চুক্তিতে যেতে আগ্রহ নন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন

নার্সের করোনা অভিজ্ঞতা: ‘এই যন্ত্রণার কথা বলে বোঝানো সম্ভব না’

নার্সের করোনা অভিজ্ঞতা: ‘এই যন্ত্রণার কথা বলে বোঝানো সম্ভব না’

‘একটু শ্বাস নেওয়ার জন্য কি ভীষণ যন্ত্রণা সইতে হয় এটা কেউ কখনো কল্পনাও করতে পারবে না।.... এই কষ্টের কথা বলে বোঝানো সম্ভব না। আমার মনে হচ্ছে, আমি মৃত্যুর দ্বারপ্রান্ত থেকে ফিরে এসেছি।’

এভাবেই করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একজন সিনিয়র স্টাফ নার্স। করোনা শনাক্তের পর সেরে উঠতে তাকে এক কঠিন লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এই যন্ত্রণার কথা যদি সবাই জানতে পারত তাহলে কেউই এই মুহূর্তে বাসা থেকে বের হতে চাইত না। সবাই চাইত তার পরিবার যেন এই ভাইরাস থেকে নিরাপদে থাকে।’

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি মাথায় রেখেই নিয়মিত হাসপাতালে রোগীদের সেবা দিচ্ছিলেন ৩২ বছরের এই নার্স। গত ২১ মার্চ হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে আসার পর ঠিকঠাক কথা বলতে পারছিলেন না। একসময় শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। সারারাত তিনি যন্ত্রণায় কাতরান।

এর পরের দুইদিন তিনি স্বামী ও দুই সন্তানের কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রাখেন। তার দুই সন্তানের একজনের বয়স ছয়, অন্যজনের বয়স মাত্র দুই বছর।

শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে আইইডিসিআর থেকে নমুনা সংগ্রহের পর তার দেহে করোনা শনাক্ত হয়। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে। সেখানে এক সপ্তাহ চিকিৎসা নেওয়ার পর গত ৩১ মার্চ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিনি।

হাসপাতালে অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘একেকটা দিন আমার কাছে এক বছরের মতো দীর্ঘ মনে হচ্ছিল। আমার মেয়েরা আমাকে ফোন করত। কখন আমি বাড়ি ফিরব জানতে চাইত। পরিবার থেকে এভাবে দূরে থাকাটা ভীষণ যন্ত্রণার। মাঝে মাঝে আমি কাঁদতাম। ভাবতাম, আবার কখন মেয়েদের জড়িয়ে ধরতে পারব, একটু আদর করতে পারব!’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার বয়স কম। শ্বাসকষ্টের কোনো রোগও নেই। তবুও আমি ভীষণ কষ্ট পেয়েছি। একবার ভেবে দেখুন, যাদের বয়স বেশি, শ্বাসকষ্ট আছে তাদেরকে কী পরিমাণ যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়।’

শারীরিকভাবে এখনও কিছুটা দুর্বলতা অনুভব করায় তিনি এখন বাড়িতে বিশ্রাম নিচ্ছেন।

তিনি বলেন, ‘সুস্থ হয়ে ওঠার পর আমি শিগগিরই হাসপাতালে কাজে ফিরে যাব। রোগীদের, বিশেষত শ্বাসকষ্টজনিত রোগীদের সেবা করব। এখন আমি তাদের কষ্ট বুঝতে পারছি।’

এই সংকটের সময়ে পাশে থাকার জন্য পরিবারের সদস্য, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিনসহ সকল সহকর্মী ও অ্যাম্বুলেন্স চালক প্রদীপের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা জানান।

বাংলাদেশে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩০ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১১৭, মারা গেছেন ১৩ জন।-ডেইলি স্টার

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত