আপডেট :

        শনিবার খুলছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

        বৃষ্টি কামনায় ব্যাঙের বিয়ে নিয়ে প্রচলিত আছে নানা গল্পকথা

        ১৯৩ জন নারী ও কন্যা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ

        কংগ্রেসকে পাকিস্তানের ‘মুরিদ’ বলে অভিযুক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

        নোবেল জয়ী বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস

        নাফ নদীতে মাছ শিকাররত ১০জন বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণ

        টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে বিশ্বকাপের উদ্দেশে যাত্রা করবে টাইগাররা

        রাজধানীতে সন্ধ্যার মধ্যে বৃষ্টির পূর্বাভাস

        রাঙ্গামাটিতে স্বস্তির বৃষ্টি নামলেও এসময় বজ্রপাতে ৩জন নিহত

        কেউ কেউ আন্দোলন করে যাচ্ছে ফিজিক্যালি এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে, আমরা কাউকে বাধা দিচ্ছি না

        কেউ কেউ আন্দোলন করে যাচ্ছে ফিজিক্যালি এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে, আমরা কাউকে বাধা দিচ্ছি না

        অতি বামদের কাছে আমার প্রশ্ন, তারা আমাকে উৎখাত করে কাকে ক্ষমতায় আনবে?

        মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী

        শ্রম অধিকার রক্ষায় বাংলাদেশের অগ্রগতির পর্যায়

        কক্সবাজারের পেকুয়ায় বজ্রপাতে নিহত হলেন দিদারুল ইসলাম

        ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে

        ফিরছে নিহত আট বাংলাদেশির কফিনবন্দি লাশ

        বন্যহাতির আক্রমণে কিশোরের মৃত্যু হলো

        চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় গুয়াংডং প্রদেশে একটি মহাসড়কের অংশ ধস

        চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় গুয়াংডং প্রদেশে একটি মহাসড়কের অংশ ধস

সারা বাংলাদেশকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা

সারা বাংলাদেশকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ত্রাস করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বাংলাদেশ। যদিও বিষয়টি অনেকেই স্বাভাবিকভাবে দেখছিলেন, কিন্তু এবার সমগ্র বাংলাদেশকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

সংক্রমণ রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৬১ নম্বর আইন) এর ১১ (১) ধারার ক্ষমতা বলে এ ঘোষণা করা হয়েছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে যে বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস মহামারি আকার বিস্তার লাভ করায় লাখ লাখ লোক আক্রান্ত হয়েছে এবং লক্ষাধিক লোক মৃত্যুবরণ করেছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটছে।  হাঁচি কাশি ও পরস্পরের মেলামেশার কারণে এ রোগের বিস্তার ঘটে। এখন পর্যন্ত বিশ্বে এ রোগে কোন প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী এই রোগের একমাত্র প্রতিষেধক হল পরস্পর পরস্পর থেকে নির্দিষ্ট দূরত্বে অবস্থান করা এবং যেহেতু জনসাধারণের একে অপরের সাথে মেলামেশা নিষিদ্ধ করা ছাড়া সংক্রমণের প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়।

এই ঘোষণার কারণ হিসেবে জানা যায়, বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় এই রোগের সংক্রমণ ঘটেছে, এজন্য সংক্রমণ রোধে (প্রতিরোধ নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল )  আইন ২০১৮ এর ১১ (১)  ধারার ক্ষমতা বলে সমগ্র বাংলাদেশকে সংক্রমণের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে।

সংক্রমিত এলাকার জনসাধারণের জন্যও একটি নির্দেশাবলী জানানো হয়েছে।

নির্দেশনাগুলো হলো-
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রশমনে জনগণকে অবস্থান করতে হবে। অতীব জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত ঘরের বাইরে বের হওয়া যাবে না।এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হলো।সন্ধ্যা ৬ টা থেকে সকাল ৬ টা পর্যন্ত কেউ ঘরের বাইরে যেতে পারবে না।আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে উপরে বর্ণিত আইনে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রশাসন ও কর্তৃপক্ষের সহায়তা নিয়ে আইনের সংশ্লিষ্ট অন্য ধারাগুলো প্রয়োগ করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করবে।অন্যদিকে আজ বৃহস্পতিবার একদিনে দেশে করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সর্বোচ্চ রেকর্ড হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৩৪১ জন। মারা গেছেন আরও ১০ জন।
গত কয়েকদিনের দিনের আক্রান্তের সংখ্যা হিসেবে দেখা যায়, ৯ এপ্রিল দুপুর পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয় ১১২ জন, মারা যান ১জন। ১০ এপ্রিল আক্রান্ত হন ৯৪ জন, মারা যান ৬জন। ১১ এপ্রিল শনাক্ত হয় ৫৮ জনের দেহে, মারা যান ৩ জন। ১২ এপ্রিল ১৩৯ জনের দেহে করোনার উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়, মারা যান ৪ জন। ১৩ এপ্রিল আক্রান্ত হন ১৮২, মারা যান ৫। ১৪ এপ্রিল আক্রান্ত হন ২০৯ জন, মারা যান ৭ জন। ১৫ এপ্রিল এই সংখ্যা ঠেকে ২১৯ জনে, মারা যান ৪জন। আর আজ ১৬ এপ্রিল আক্রান্ত হলেন ৩৪১ জন। এখন পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় এটি সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা।

গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর প্রথম দিকে কয়েকজন করে নতুন আক্রান্ত রোগীর খবর মিললেও গত ক’দিনে সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে।

এলএবাংলাটাইমস/এলআরটি/এন

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত