বহুমুখী উন্নয়ন আওয়ামী লীগের
স্বাধীনতার পর দেশ পুনর্গঠনে যেভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তারই কন্যা শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হয়ে সেই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ফিরিয়ে আনেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে দেশকে সম্ভাবনার নতুন ক্ষেত্রে রূপান্তর করেন শেখ হাসিনা। এই বছরও সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত ছিল।
ক্ষমতায় এসেই পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ একাধিক মেগা প্রকল্প হাতে নেয় বর্তমান সরকার। এর মধ্যে কোনো কোনোটার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কোনোটা আবার শেষের পথে। ২০২৩ সালে যেসব প্রকল্প উদ্বোধন করা হয়, সেগুলো হলো-
১৬ জানুয়ারি
দ্বিতীয় পর্যায়ে দেশে অর্ধশত মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এটির উদ্বোধন করেন তিনি। এ সময় প্রধানমন্ত্রী জানান, ইসলামের সঠিক চর্চা যাতে হয়, সমাজ থেকে অশিক্ষা-কুশিক্ষা যেন দূর হয় সে কারণেই এসব মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। এর আগে ২০২১ সালের ১০ জুন প্রথম ধাপে মডেল মসজিদ উদ্বোধন করা হয়।
১৭ জানুয়ারি
১৩ জেলার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আরও ৪৫ কমিউনিটি ভিশন সেন্টার উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় রাজশাহী নগরীর সিএন্ডবি ক্রসিং সংলগ্ন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সবচেয়ে বড় ম্যুরাল নির্মাণ করা হয়।
২৭ জানুয়ারি
রাজশাহীতে ১ হাজার ৩১৬ কোটি টাকার ৩১ প্রকল্প উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২৯ জানুয়ারি
রাজশাহী সিটির ৩২ উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় উপস্থিত থেকে এসব প্রকল্প উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি।
২ ফেব্রুয়ারি
দেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাতাল মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ শেষ হলে ২৫ পাতাল রেল চলবে। একেকটি ট্রেনে আটটি করে কোচ থাকবে। দিনের মূল সময়ে আড়াই থেকে সাড়ে ৩ মিনিট পর পর ট্রেন চলবে।
৯ ফেব্রুয়ারি
এদিন নতুন ৩ গুরুত্বপূর্ণ রেলপথ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব রেলপথ উদ্বোধন করেন তিনি।
১৯ ফেব্রুয়ারি
কালশী ফ্লাইওভার ও ৬ লেনের সড়ক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কালশী ফ্লাইওভার নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ১২ কোটি ১৭ লাখ টাকা।
২৫ ফেব্রুয়ারি
গোপালগঞ্জে ৪৮ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া ৪৪ নবনির্মিত উন্নয়ন প্রকল্প ও চারটি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তরও উদ্বোধন করেন তিনি।
১১ মার্চ
ময়মনসিংহে ১০৩টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১৬ মার্চ
তৃতীয় ধাপে অর্ধশত মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২২ মার্চ
৭ জেলা ও ১৫৯ উপজেলাকে গৃহহীন-ভূমিহীনমুক্ত ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে প্রথম ধাপে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মধ্যে ৬৩ হাজার ৯৯৯টি, দ্বিতীয় ধাপে ৫৩ হাজার ৩৩০ এবং তৃতীয় ধাপে ৫৯ হাজার ১৩৩টি ঘর বিতরণ করা হয়েছে।
আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় আরও ৩৯ হাজার ৩৬৫টি বাড়ি বিতরণের ফলে মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১৫ হাজার ৮২৭।
১৭ এপ্রিল
চতুর্থ ধাপে আরও অর্ধশত মডেল মসজিদ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০২১ সালের ১০ জুন, চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি ও ১৬ জুন তিন ধাপে ১৫০ মসজিদ উদ্বোধন করেন।
২৫ এপ্রিল
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনাল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১৩ জুলাই
এদিন দাশেরকান্দি পয়ঃশোধনাগার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় নারায়ণগঞ্জের পাগলা পয়ঃশোধনাগারের পুনর্নির্মাণ ও সম্প্রসারণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি।
৩০ জুলাই
পঞ্চম ধাপে আরও অর্ধশত মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব মসজিদ উদ্বোধন করেন তিনি।
২ আগস্ট
রংপুরে ২৭ উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে ৫ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি।
১৭ আগস্ট
সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের ১৮ বছরের বেশি বয়সের সব নাগরিককে পেনশন সুবিধার আওতায় আনার লক্ষ্যে প্রকল্পটি চালু করা হয়।
২ সেপ্টেম্বর
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে কাওলা থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত অংশ উদ্বোধন করেন তিনি।
৯ অক্টোবর
পদ্মায় ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১৭ অক্টোবর
রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় জয়িতা টাওয়ার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জয়িতা আইকনিক টাওয়ারে চাইল্ড ডে-কেয়ার সেন্টার, ডিজাইন সেন্টার, বিউটি পারলার, নারীদের জন্য জিমনেসিয়াম, নারী ও শিশুদের জন্য সুইমিং পুল, মাল্টিপারপাস হল, সেমিনার হল, ব্যাংক, ফুড কোর্ট ও ক্যাফে রয়েছে।
১৮ অক্টোবর
২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশে’ রূপান্তরের লক্ষ্যে নতুন ১০ প্রকল্প উদ্বোধন ও ৭ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১৯ অক্টোবর
দেশের ৮ বিভাগের ৩৯ জেলায় একদিনে রেকর্ড ১৫০ সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসক সেতুর মধ্যে ময়মনসিংহ বিভাগে ৪০টি, ঢাকায় ৩২, চট্টগ্রামে ২৭, রাজশাহীতে ২২, খুলনায় ১২, বরিশাল ও রংপুরে আটটি করে ও সিলেটে একটি সেতু রয়েছে।
3
বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন। ছবি: সংগৃহীত
২৮ অক্টোবর
কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের উদ্বোধন ও নামফলক উন্মোচন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধন শেষে গাড়ি বহর নিয়ে নিজ হাতে টোল দিয়ে বঙ্গবন্ধু টানেল ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রী।
২৯ অক্টোবর
ষষ্ঠ ধাপে আরও অর্ধশত মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
৩১ অক্টোবর
৫২ হাজার ৬১২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৭ প্রকল্প অনুমোদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১ নভেম্বর
বাংলাদেশের প্রথম স্থানীয় মুদ্রা কার্ড, ‘টাকা পে’ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর লক্ষ্য ভিসা, মাস্টারকার্ডও অ্যামেক্সের মতো আন্তর্জাতিক কার্ডের ওপর নির্ভরতা কমানোর পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করা। একই দিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে যৌথভাবে আখাউড়া-আগরতলা আন্তঃসীমান্ত রেল সংযোগসহ ৩ প্রকল্প উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা।
৪ নভেম্বর
আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের মেট্রোরেল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি নর্দান রুটে এমআরটি লাইন-৫ এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি।
৭ নভেম্বর
খুলনায় ২৪ উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১০ নভেম্বর
‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’ নামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১১ নভেম্বর
মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই দিন দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনসহ কক্সবাজার রেল লাইন ছাড়াও ১৬ প্রকল্প উদ্বোধন করেন তিনি।
১২ নভেম্বর
প্রধানমন্ত্রীর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম সার কারখানা উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১৩ নভেম্বর
খুলনায় ২৪ উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১৪ নভেম্বর
দুই হাজার ২৩টি সরকারি প্রাথমিক স্কুল ভবনসহ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বিভিন্ন সরকারি স্থাপনা উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন