আপডেট :

        এআই গবেষণায় পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল

        টিকটককে বাংলাদেশে ডাটা সেন্টার স্থাপন করতে বললো বিটিআরসি

        ‘ইন্ডিয়া আউট’ ক্যাম্পেইন থেকে ক্ষমতায় আসা মুইজ্জু কেন সুর পাল্টালেন?

        বিদ্যুৎ খাতের বকেয়া পরিশোধে ৫ হাজার কোটি টাকার বন্ড দিবে সরকার

        বরখাস্ত হয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম উর্মি, কি বললেন ঊর্মির মা

        পদার্থবিজ্ঞানে নোবেলজয়ীর নাম আজ মঙ্গলবার ঘোষণা করা হবে

        শেখ হাসিনার ভারত ছাড়তে কোনো চাপ নেই

        বাণিজ্য পরিসরে তলানিতে বাংলাদেশ: বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন

        নির্বাচনি রোড ম্যাপ ও সংস্কার প্রশ্নে মতপার্থক্য

        এক বছরে ইসরায়েলে রেকর্ড পরিমাণ সহায়তা পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

        এক বছরে গাজার ৪০ হাজার স্থাপনায় হামলা

        ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হিজবুল্লাহ ও হামাসের

        ইসরায়েলকে ১৭.৯ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে যুক্তরাষ্ট্র

        খুঁটির সঙ্গে বেঁধে মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগ

        ওষুধ ছিটানোর কর্মী পরিচয়ে পাসপোর্ট নিয়েছিলেন কাফী

        তাপস ও তার পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দ

        বেশির ভাগ এলাকায় পয়োবর্জ্য নিষ্কাশনের ব্যবস্থাই নেই

        সুফিউর রহমানকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ পররাষ্ট্র দূত, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অসন্তোষ

        এইচএসসির ফল প্রকাশ করা হবে ১৫ অক্টোবর

        শেয়ারবাজার সংস্কার করতে ৫ সদস্যের টাস্কফোর্স

চট্টগ্রামে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির বর্ণনা দিল আইএসপিআর

চট্টগ্রামে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির বর্ণনা দিল আইএসপিআর

পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির প্রেক্ষাপট তুলে ধরে একটি বিবরণ দিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আইএসপিআর এই বিবরণ দিয়েছে। এতে চলমান উত্তেজনা তিন পার্বত্য জেলায় ভয়াবহ দাঙ্গায় রূপ নিতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে। সেই সঙ্গে করে সেখানে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে সর্বসাধারণের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।


এতে বলা হয়েছে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি জেলা সদরে মোটরসাইকেল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল জনগণের গণপিটুনিতে মো. মামুন (৩০) নামক একজন যুবক নিহত হয়। পরবর্তীতে সদর থানা পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরদিন (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দীঘিনালা কলেজ হতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি দীঘিনালার বোয়ালখালী বাজার অতিক্রম করার সময় ইউপিডিএফ (মূল)-এর কতিপয় সন্ত্রাসী মিছিলের উপর হামলা করে ও ২০-৩০ রাউন্ড গুলি ছড়ে। এ প্রেক্ষিতে বিক্ষুব্ধ জনতা বোয়ালখালী বাজারের কয়েকটি দোকানে অগ্নিসংযোগ করে।


সংঘর্ষ চলাকালে উভয়পক্ষের ৬ জন আহত হলে তাদেরকে চিকিৎসার জন্য দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর টহল দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ফায়ার ব্রিগেড ও স্থানীয় জনসাধারণের সহায়তায় আগুন নেভায়। উপরোক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে খাগড়াছড়ি জেলা সদর, দীঘিনালা, পানছড়ি ও আশেপাশের এলাকাসমূহে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সেই সঙ্গে কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে ক্রমেই পরিস্থিতিকে আরও উত্তেজনাকর করে তুলে।

দ্রুততার সাথে খাগড়াছড়ি জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে জরুরি ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ১৯ সেপ্টেম্বর রাত ১০টা থেকে খাগড়াছড়ি জেলা সদর, দীঘিনালা ও পানছড়িসহ সকল উপজেলায় যৌথভাবে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সমন্বয়ে টহল দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পাশাপাশি বিভিন্ন কমিউনিটি লিডারদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে সকল পক্ষকে সহিংস কার্যকলাপ হতে বিরত থাকার পরামর্শ প্রদান করতে বলা হয়।


একই রাতে (১৯ সেপ্টেম্বর) খাগড়াছড়ি জোনের একটি টহলদল রাত সাড়ে ১০টায় একজন মুমূর্ষ রোগীকে স্থানান্তরের সময় খাগড়াছড়ি শহরের স্বনির্ভর এলাকায় পৌঁছালে অবস্থানরত উত্তেজিত জনসাধারণ ইউপিডিএফ (মূল)-এর নেতৃত্বে বাধা সৃষ্টি করে। এক সময় ইউপিডিএফ (মূল)-এর সন্ত্রাসীরা সেনাবাহিনীর টহলদলের সদস্যদের ওপর গুলি করে এবং আত্মরক্ষার্থে সেনাবাহিনী পাল্টা গুলি চালায়। এ গোলাগুলির ঘটনায় ৩ জন নিহত এবং কয়েকজন আহত হয় বলে জানা যায়।

একই ঘটনার ধারাবাহিকতায় খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়িতে স্থানীয় উচ্ছৃঙ্খল জনসাধারণ কয়েকজন যুবকের মোটরসাইকেল থামিয়ে তাদের উপর হামলা ও লাঠিপেটা করে। সেই সঙ্গে উত্তেজিত জনসাধারণ ইউপিডিএফ (মূল)-এর নেতৃত্বে ফায়ার ব্রিগেডের অফিসে ভাঙচুর করে।

আজ শুক্রবার সকালে পিসিজেএসএস সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ কর্তৃক রাঙ্গামাটি জেলা সদরে 'সংঘাত ও বৈষম্য বিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলন'-এর ব্যানারে স্থানীয় জনসাধারণ রাঙ্গামাটি জিমনেশিয়াম এলাকায় সমবেত হয়। এ সময় ৮০০-১০০০ জন উত্তেজিত জনসাধারণ একটি মিছিল বের করে বনরুপা এলাকার দিকে অগ্রসর হয় এবং বনরুপা বাজার মসজিদ, অগ্রণী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, সিএনজি-অটোরিকশা, মোটরসাইকেল এবং বেশকিছু দোকানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এতে উভয়পক্ষের বেশকিছু লোকজন আহত হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে রাঙামাটি জেলা সদরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে চলমান উত্তেজনা তিন পার্বত্য জেলায় ভয়াবহ দাঙ্গায় রূপ নিতে পারে বলে সতর্ক করেছে আইএসপিআর। বলা হয়েছে, অনতিবিলম্বে নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গকে চলমান উত্তেজনা প্রশমনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তা করার জন্য অনুরোধ জানানো যাচ্ছে। যথাযথ তদন্ত কার্যক্রম সম্পাদনের মাধ্যমে প্রকৃত দোষী ব্যক্তিদের সনাক্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিন পার্বত্য জেলায় শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে সর্বসাধারণকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।

এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত