আপডেট :

        আবারও একবার টিভি পর্দায় ফিরে এলো ডকুড্রামা ‘হাসিনা

        এশিয়ার ফুটবলে নতুন করে বর্ষপঞ্জি সাজিয়েছে এএফসি

        যারা একবেলা খেতে পারতো না, তারা এখন চারবেলা খায়ঃ শেখ হাসিনা

        এশিয়ার ফুটবলে নতুন করে বর্ষপঞ্জি সাজিয়েছে এএফসি

        দরজায় কড়া নাড়ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর

        ১০ হাজার বাংলাদেশি অভিবাসীদের ফেরত পাঠাচ্ছে ব্রিটেন

        সহজেই কিছু ফেসপ্যাক বানানোর টিপস

        অন্ততপক্ষে ২০ এমবিপিএসেক আমরা সর্বনিম্ন ব্রডব্যান্ড হিসেবে ঘোষণা করবঃ পলক

        সবজির বাজারে লাফিয়ে বাড়লো কাঁচা মরিচের দাম

        ঝুঁকি বিবেচনায় এআই আইন করা হবে

        গুগল ট্রান্সলেটরে মুখের কথা অন্য ভাষায় অনুবাদ করার পদ্ধতি

        বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ তাই দুই মাস পর পর ঋতু পরিবর্তন

        বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ তাই দুই মাস পর পর ঋতু পরিবর্তন

        বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের রহস্যজনক নিষ্ক্রিয়তায় ছাত্রলীগ হলগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে বলে অভিযোগ

        বাংলাদেশে আসতে চলেছেণ তুর্কি সুপারস্টার অভিনেতা বুরাক ঔজচিভিত

        পিরামিড তৈরির রহস্য সমাধানের আশা গবেষকদের

        সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ঋষি সুনাকের

        সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ঋষি সুনাকের

        ছোট ভাইয়ের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় সঙ্গে ছিলেন পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি

        ছোট ভাইয়ের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় সঙ্গে ছিলেন পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি

পিছু হটবে না বিএনপি?

পিছু হটবে না বিএনপি?

ডেডলাইন ৫ জানুয়ারি

গাজীপুরে পিছু হটা, সংবাদ সম্মেলনে বড় ধরনের কর্মসূচি প্রদান থেকে বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরত থাকায় দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে সৃষ্ট হতাশার প্রেক্ষাপটে বিএনপি আগামী ৫ জানুয়ারি 'যে কোনো মূল্যে' রাজধানীতে জনসভা করার ঘোষণা দিয়েছে।
গাজীপুরে পিছু হটা, সংবাদ সম্মেলনে বড় ধরনের কর্মসূচি প্রদান থেকে বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরত থাকায় দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে সৃষ্ট হতাশার প্রেক্ষাপটে বিএনপি আগামী ৫ জানুয়ারি 'যে কোনো মূল্যে' রাজধানীতে জনসভা করার ঘোষণা দিয়েছে। বিএনপির একাধিক নেতা গতকাল শুক্রবার বলেছেন, এবার বিএনপি পিছু হটবে না। 'গণতন্ত্র হত্যা দিবসে' তারা রাজপথে সর্বশক্তি প্রদর্শন করবেই। এদিকে বিএনপির হুমকিকে আমলে না নিয়ে আওয়ামী লীগ বলেছে, ওইদিন 'কাগুজে বাঘ'দের খুঁজেও পাওয়া যাবে না।গতকাল শুক্রবার বিকেলে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে ঢাকায় সরকার সমাবেশের অনুমতি না দিলেও 'যে কোনো মূল্যে' কালো পতাকা হাতে জনসভা করার ঘোষণা দিয়েছে দলটি। দলের নেতাকর্মীদের চারটি অঞ্চল থেকে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমবেত হওয়ার 'গোপন নির্দেশনা' পাঠিয়েছে বিএনপি। পূর্ব ও পশ্চিম দিক থেকে ছাত্রদল, উত্তর থেকে যুবদল, দক্ষিণ থেকে স্বেচ্ছাসেবক দল সমাবেশস্থলে যোগ দেবে। পাশাপাশি তাদের সঙ্গে থাকবেন বিএনপিসহ ২০ দলের কেন্দ্রীয় ও মহানগর সিনিয়র নেতাদের নেতৃত্বে অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং দল-সমর্থিত পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিরাও। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ বলেছেন, আমরা সমাবেশ করবই। প্রশাসন অনুমতি না দিলেও বিএনপি রাজধানীতে ৫ জানুয়ারির সমাবেশ করবে বলে জানিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। একই দিন 'সংবিধান ও গণতন্ত্র রক্ষা দিবস' হিসেবে রাজধানীতে কর্মর্সূচি পালন করবে আওয়ামী লীগ। বিশৃঙ্খলা-নাশকতার আশঙ্কায় সমাবেশের অনুমতি নাও দিতে পারে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। গতকাল স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দিলে সংঘাতের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। কাজেই নাশকতার আশঙ্কা থাকলে অনুমতি দেওয়া হবে না। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফও গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ৫ জানুয়ারি 'কাগুজে বাঘ'দের খুঁজে পাওয়া যাবে না। দুই দলের এই পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণায় দেখা দিয়েছে সংঘাত ও সংঘর্ষের আশঙ্কা।বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গতকাল রাতে দলের ঢাকা মহানগরের কয়েকজন শীর্ষ নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে মহানগর আহ্বায়ক মির্জা আব্বাস, যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল আউয়াল মিন্টু, বিএনপি নেতা মোহাম্মদ শাহজাহান, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে খালেদা জিয়া যে কোনো মূল্যে রাজপথে থেকে ৫ জানুয়ারির 'গণতন্ত্র হত্যা দিবস' পালনের নির্দেশ দিয়েছেন।বৈঠক সূত্র জানায়, খালেদা জিয়া নেতাদের বলেছেন, সরকার ৫ জানুয়ারি একতরফা নির্বাচন করে জাতির সঙ্গে প্রতারণা করেছে। জোর করে এক বছর ক্ষমতায় ঠিকে আছে। এখন আবার এক বছর পূর্তিতে আনন্দ র‌্যালি করবে_ এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। বিএনপিকে রাজপথে থেকেই আওয়ামী লীগের এই নির্লজ্জ কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানাতে হবে। অন্যথায় জনগণ বিএনপিকে ভুল বুঝবে।
গত বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া ৫ জানুয়ারিকে 'গণতন্ত্র হত্যা দিবস' ঘোষণা দিয়ে দিবসটি পালনের কর্মসূচি দেন। প্রশাসনের কাছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, নয়াপল্টন বিএনপি কার্যালয় এবং শাপলা চত্বরের অনুমতি চেয়েছে দলটি। বৃহস্পতিবার বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল ডিএমপিতে গেলেও কমিশনারের সাক্ষাৎ পাননি। গতকাল রাত পর্যন্ত সমাবেশ করতে পুলিশের কোনো অনুমতি পায়নি বিএনপি।বিএনপির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এবার তারা অনুমতির অপেক্ষায় বসে নেই। ঢাকায় এবার সহজে পিছু হটবে না তারা। সরকারি দল যদি ৫ জানুয়ারি রাজধানীতে সমাবেশ করার অনুমতি পায়, তাহলে বিএনপিকেও অনুমতি দিতে হবে। অন্যথায় অনুমতি ছাড়াই তারা নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমবেত হবেন। সকাল ১০টা থেকে চারদিক থেকে নেতাকর্মীরা সমবেত হতে থাকবেন। যেখানে পুলিশ বাধা দেবে সেখানে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মির্জা আব্বাস সমকালকে বলেছেন, বিএনপি শান্তিপূর্ণ সমাবেশের মাধ্যমে 'গণতন্ত্র হত্যা দিবস' পালন করতে চায়। সরকার আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিতে চায়। এবার শত বাধা উপেক্ষা করে আমরা সমাবেশ করতে বদ্ধপরিকর।
বিএনপির কয়েকজন নেতা সমকালকে জানিয়েছেন, কয়েকদিন ধরে দফায় দফায় মিটিং করে বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ সংগঠনগুলোকে চার ভাগে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে ছাত্রদলকে পূর্ব ও পশ্চিম, যুবদলকে উত্তর এবং স্বেচ্ছাসেবক দলকে দক্ষিণ দিক থেকে নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমবেত হতে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নির্দেশ দিয়েছেন। সম্প্রতি এ সংগঠনগুলোর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বিএনপি নেত্রী এ নির্দেশ দেন। খালেদা জিয়ার নির্দেশনা অনুযায়ী ইতিমধ্যে তারা প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বাধা বা হামলা করলেও তা অতিক্রম করে এগিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন খালেদা জিয়া। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ওইদিন গুলশানের বাসভবন থেকে বের হবেন কি-না তা নির্ভর করছে পরিস্থিতির ওপর।
যে কোনো মূল্যে সমাবেশ_ রিজভী আহমেদ :'যে কোনো মূল্যে' ৫ জানুয়ারি ঢাকায় জনসভা করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে দলের এই অবস্থানের কথা জানান যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, আমরা বারবার অঙ্গীকার করছি, ৫ জানুয়ারি ২০ দলীয় জোটের জনসভা হবে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। আমরা এ জনসভায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সার্বিক সহযোগিতা চাই। তিনি বলেন, আমরা একই সঙ্গে দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে চাই, ৫ জানুয়ারিতে আমরা এ কর্মসূচি পালন করবই। সরকার ওই কর্মসূচি পালনের অনুমতি না দিলে ২০ দলীয় জোট কী করবে, জানতে চাইলে রিজভী বলেন, 'অনুমতি না দিলে সে ক্ষেত্রে আমাদের কর্মসূচি দিতেই হবে। এজন্য সরকারকেই দায় নিতে হবে।'
ড. মঈন খান :প্রশাসন অনুমতি না দিলেও বিএনপি রাজধানীতে ৫ জানুয়ারির সমাবেশ করবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। ছাত্রদলের ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি এ কথা বলেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'অনুমতি দেবে কি-না, তা সরকারের বিষয়। আমাদের যা করণীয়, তা আমরা করব। বিএনপি রাজপথে থাকবে।'এদিকে ৫ জানুয়ারি থেকে শেষ খেলা শুরু হবে বলে সরকারকে হুমকি দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। একইসঙ্গে তিনি দ্রুত বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় বসতে সরকারের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন। শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।অনুমতি দিলে সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে :স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীস্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দিলে সংঘাতের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। ৫ জানুয়ারি 'সংবিধান ও গণতন্ত্র রক্ষা দিবস' হিসেবে রাজধানীতে কর্মর্সূচি পালন করবে আওয়ামী লীগ। একই দিন বিএনপি ঢাকায় সমাবেশ করতে চায়। নাশকতার আশঙ্কা থাকলে একই দিন ঢাকায় বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। তবে এখনও অনুমতি দেওয়া না দেওয়ার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। গতকাল সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সমকালকে এসব কথা বলেন।
এর আগে শুক্রবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) আয়োজনে অষ্টম হজ ও ওমরা মেলা উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। সমাবেশ ঘিরে কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে কি-না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশের অনুমতি না পেলেও বিএনপির জনসভা করার ঘোষণার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) সমাবেশ করলে করবে। তবে সব কিছু আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দেখছে। মাত্র ২ জানুয়ারি। সময় তো আরও আছে।

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত