আপডেট :

        আবারও একবার টিভি পর্দায় ফিরে এলো ডকুড্রামা ‘হাসিনা

        এশিয়ার ফুটবলে নতুন করে বর্ষপঞ্জি সাজিয়েছে এএফসি

        যারা একবেলা খেতে পারতো না, তারা এখন চারবেলা খায়ঃ শেখ হাসিনা

        এশিয়ার ফুটবলে নতুন করে বর্ষপঞ্জি সাজিয়েছে এএফসি

        দরজায় কড়া নাড়ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর

        ১০ হাজার বাংলাদেশি অভিবাসীদের ফেরত পাঠাচ্ছে ব্রিটেন

        সহজেই কিছু ফেসপ্যাক বানানোর টিপস

        অন্ততপক্ষে ২০ এমবিপিএসেক আমরা সর্বনিম্ন ব্রডব্যান্ড হিসেবে ঘোষণা করবঃ পলক

        সবজির বাজারে লাফিয়ে বাড়লো কাঁচা মরিচের দাম

        ঝুঁকি বিবেচনায় এআই আইন করা হবে

        গুগল ট্রান্সলেটরে মুখের কথা অন্য ভাষায় অনুবাদ করার পদ্ধতি

        বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ তাই দুই মাস পর পর ঋতু পরিবর্তন

        বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ তাই দুই মাস পর পর ঋতু পরিবর্তন

        বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের রহস্যজনক নিষ্ক্রিয়তায় ছাত্রলীগ হলগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে বলে অভিযোগ

        বাংলাদেশে আসতে চলেছেণ তুর্কি সুপারস্টার অভিনেতা বুরাক ঔজচিভিত

        পিরামিড তৈরির রহস্য সমাধানের আশা গবেষকদের

        সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ঋষি সুনাকের

        সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ঋষি সুনাকের

        ছোট ভাইয়ের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় সঙ্গে ছিলেন পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি

        ছোট ভাইয়ের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় সঙ্গে ছিলেন পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি

আওয়ামী লীগে ব্যাপক প্রস্তুতি

আওয়ামী লীগে ব্যাপক প্রস্তুতি

৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রথম বর্ষপূর্তির দিনটিকে ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে আওয়ামী লীগে। ওই দিনটিকে 'গণতন্ত্রের বিজয় দিবস' হিসেবে পালনের লক্ষ্য নিয়ে দেশজুড়ে বিজয় র‌্যালি, আনন্দ শোভাযাত্রা এবং সভা-সমাবেশের মাধ্যমে সারাদেশের রাজপথ দখলে রাখার পরিকল্পনা নিয়েছে ক্ষমতাসীন দলটি। ১৪ দল এবং সব সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম ও সমমনা সংগঠনগুলোকেও এসব কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত করা হবে। এর বাইরে ১৪ দল থেকেও নেওয়া হয়েছে আলাদা কর্মসূচি। ৫ জানুয়ারি বিএনপি যেন রাজপথ দখলে নিতে না পারে সে লক্ষ্য নিয়েই মাঠে সক্রিয় থাকবেন সরকার সমর্থক নেতাকর্মীরা।
বহুল আলোচিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে 'গণতন্ত্র রক্ষার নির্বাচন' হিসেবে মনে করছে আওয়ামী লীগ। এ জন্য আগেই ৫ জানুয়ারি ওই নির্বাচনের বর্ষপূর্তির দিনটিকে 'গণতন্ত্রের বিজয় দিবস' হিসেবে পালনের ঘোষণা দিয়ে রেখেছিল ক্ষমতাসীন দল। তবে বিএনপি দিনটিকে 'গণতন্ত্র হত্যা দিবস' হিসেবে আখ্যা দিয়ে পাল্টা সভা-সমাবেশ করার ঘোষণা দেওয়ায় রাজপথে সহিংসতার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ থেকে দিনটিকে ঘিরে নতুন করে পরিকল্পনা নেওয়া হয়। কর্মসূচি ঠিক করতে দফায় দফায় বৈঠকের পাশাপাশি শরিক দল এবং সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন নেতাদের নিয়ে একাধিক যৌথসভাও করেছে দলটি।
৫ জানুয়ারির কর্মসূচি হিসেবে আওয়ামী লীগ থেকে ইতিমধ্যেই দেশের সব মহানগর, জেলা, উপজেলা, থানা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে একযোগে দুপুর আড়াইটায় বিজয় র‌্যালি, শোভাযাত্রা ও সভা-সমাবেশ করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচি হিসেবে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ ঢাকা মহানগরীর ১৬টি নির্বাচনী এলাকার ১৬টি স্পটে দুপুর আড়াইটায় বর্ণাঢ্য বিজয় শোভাযাত্রা ও সমাবেশ হবে। দলের কেন্দ্রীয় নেতারা ভাগ হয়ে এ সব সমাবেশে যোগ দেবেন। ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেও আলাদা জনসভা হবে। ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাসদসহ ১৪ দলের কয়েকটি শরিক দলও আলাদাভাবে কর্মসূচি পালন করবে। আর পরদিন ৬ জানুয়ারি বিকেল ৩টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ১৪ দলের পক্ষে সমাবেশ করা হবে। কয়েকদিন আগেই আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করার জন্য ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া হয়।
দলীয় সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, ইতিমধ্যে দলের পক্ষে সারাদেশে বিশেষ নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। রাজনীতির প্রাণকেন্দ্র ঢাকা মহানগরীর রাজপথ দখলে রাখতে ৫ জানুয়ারি সকাল থেকেই দিনভর সব পর্যায়ের নেতাকর্মীকে রাজধানীর প্রতিটি মোড়ে মোড়ে সতর্ক অবস্থান নিতে বলা হয়েছে। আর বিকেলে পুরো ঢাকা মহানগরীকেই মিছিলের নগরীতে পরিণত করে রাজপথ দখলে রাখার পরিকল্পনা নিয়েছেন তারা। স্ব স্ব এলাকাগুলোর র‌্যালি ও সমাবেশের কর্মসূচিতে ব্যাপক জনসমাগম নিশ্চিত করতে মহানগরীর সরকারদলীয় এমপিদের দেওয়া হয়েছে বিশেষ নির্দেশনা। আর যেসব এলাকায় দলীয় এমপি নেই, সেসব এলাকায় সংশ্লিষ্ট থানা নেতাদের কর্মসূচি সমন্বয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ সমকালকে বলেছেন, ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্রের বিজয় দিবস পালনে ঢাকার পাশাপাশি সারাদেশেই রাজপথে থাকবে আওয়ামী লীগ। সারাদেশেই বিজয় র‌্যালি, সভা-সমাবেশ হবে। তবে ওইদিন বিএনপি-জামায়াত কোনো ধরনের সংঘাত বা সহিংসতার চেষ্টা করলে শক্তহাতে তা দমন করা হবে।
রাজধানীর যে ১৬ স্পটে সমাবেশ :৫ জানুয়ারি ঢাকা মহানগরীতে ১৬টি স্পটে র‌্যালি ও সমাবেশ করা হবে। এগুলো হচ্ছে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, কারওয়ানবাজারের পূরবী সিনেমা হল, শ্যামপুর-জুরাইন রেলগেট, ডেমরা-যাত্রাবাড়ী মাঠ, বাড্ডা-রামপুরা পেট্রোল পাম্প, ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর রোড, মিরপুর-১ নম্বর গোলচত্বর, লালবাগ, গুলশান, সূত্রাপুর, তেজগাঁও, সবুজবাগ-খিলগাঁও, উত্তরা, কামরাঙ্গীরচর, মোহাম্মদপুর এবং কাফরুল।কাগুজে বাঘদের ৫ জানুয়ারি খুঁজেও পাওয়া যাবে না: হানিফ
৫ জানুয়ারি 'গণতন্ত্রের বিজয় দিবস' ও ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের কর্মসূচি সফল করতে গতকাল শুক্রবার দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে যৌথসভা করেছে আওয়ামী লীগ। সভা শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, ৫ জানুয়ারি কোনো সংঘাত হবে না। বিএনপির যেসব কাগুজে বাঘরা উত্তাপ ছড়াচ্ছে সেই দিন তাদের খুঁজেও পাওয়া যাবে না।এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের দল। যে কোনো ধরনের সহিংসতা প্রতিহত করতে তাদের প্রস্তুতির প্রয়োজন নেই।
হানিফ জানান, গণতন্ত্রের বিজয় দিবস উপলক্ষে ৫ জানুয়ারি সকাল থেকে সারাদেশের সব ওয়ার্ড, থানা, জেলা-উপজেলায় জাতির পিতার ভাষণ চলবে। দুপুর আড়াইটায় রাজধানীর ১৬টি স্পটসহ দেশব্যাপী বিজয় র‌্যালি ও সমাবেশ করা হবে। ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করা হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা।এর আগে মাহবুবউল আলম হানিফের সভাপতিত্বে যৌথসভায় দলের কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা ছাড়াও নগরীর সরকারদলীয় এমপিরা যোগ দেন। উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান খান, ড. আবদুর রাজ্জাক, ডা. বদিউজ্জামান ভূঁইয়া ডাবলু, ক্যাপ্টেন এবি তাজুল ইসলাম, ফরিদুন্নাহার লাইলী, ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরা, হাবিবুর রহমান সিরাজ, ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, একেএম রহমত উল্লাহ, অ্যাডভোকেট মমতাজ উদ্দিন মেহেদী, সুজিত রায় নন্দী, একেএম এনামুল হক শামীম, এমএ আজিজ, ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, হাবিবুর রহমান মোল্লা, ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ, আসাদুজ্জামান খান কামাল, অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম প্রমুখ।

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত