ইরানের প্রেসিডেন্ট-পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারের সব আরোহী নিহত
চাকরিতে কাজের ধরন যেভাবে বদলে দেবে দাবদাহ
এলএবাংলাটাইমস
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পৃথিবীতে দাবদাহ বাড়ছে। দাবদাহের জেরে তাপমাত্রার পারদ ভাঙছে রেকর্ড। চলমান তাপপ্রবাহে নাকাল ইউরোপের জীবন। একই অবস্থা যুক্তরাষ্ট্র, এশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও অন্যান্য অঞ্চলেও। চলতি মাসের শুরুতে ইতিহাসের সবচেয়ে উষ্ণতম দিন রেকর্ড করা হয়েছে। চলতি বছরের জুলাই সবচেয়ে উষ্ণ মাস হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট থমাস স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ের তাপবিজ্ঞানের অধ্যাপক জন পি আব্রাহাম বলেছেন, পৃথিবী উষ্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষ এই উষ্ণ আবহাওয়ায় দীর্ঘ সময়ের জন্য ‘আটকে’ যাচ্ছে। আগে এমন তাপপ্রবাহ এক থেকে দুই দিন থাকত; কিন্তু তা এখন তিন থেকে টানা পাঁচ দিন স্থায়ী হচ্ছে। যাঁরা এই দাবদাহে টানা এক থেকে দুই দিন কাজ করছেন, তাঁদের দীর্ঘ মেয়াদে নানা সমস্যা হতে পারে।
বিজ্ঞানীরা পূর্বাভাস দিয়েছেন, চলমান জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে এবং এই অতিরিক্ত তাপপ্রবাহ স্বাভাবিক হবে। এতে মানুষের জীবনযাত্রার ধরনও পরিবর্তন হচ্ছে। মানুষের কাজ করার পদ্ধতিও পরিবর্তন হয়ে যাবে। তাই কর্মীদের জানতে হবে, এতে তাঁরা কী ধরনের সমস্যায় পড়বেন। আর কর্মীদের রক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকেও চেষ্টা করতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দাবদাহের জেরে কর্মক্ষেত্রের পরিবর্তন সাধারণত দুটি বিভাগে বিভক্ত হবে। এর প্রথমটি হলো অফিসের বাইরের কাজ, যেখানকার পরিবেশ বেশ গরম। যেমন কৃষি বা উৎপাদন খাত, যেখানে উচ্চ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা হয় না।
২০২২ সালে মাদ্রিদে একজন সড়ক পরিচ্ছন্নতাকর্মীর প্রচণ্ড দাবদাহে কাজ করার পর হিটস্ট্রোকে মৃত্যু হয়। শিক্ষাবিদেরা বলছেন, কর্মীদের সুরক্ষার জন্য এ ধরনের কাজের পরিবেশে সম্ভবত কিছু বড় পরিবর্তন ঘটবে।
আব্রাহামের ধারণা, শীতাতপনিয়ন্ত্রিত কুলিং সেন্টারগুলো আরও সাধারণ হয়ে উঠবে। আর কর্মীদের শরীরের তাপমাত্রা কমিয়ে এনে আবারও কাজ করানোর জন্য তাঁদের বিরতি দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে নিয়োগকর্তাদের।
যেসব কর্মী অফিসের ভেতর বা শীতল পরিবেশে কাজ করেন, তাঁরা চরম তাপমাত্রার সংস্পর্শ থেকে তুলনামূলকভাবে নিরাপদ। তবে তাঁদের কাজের সময়সূচিতেও পরিবর্তন আসা উচিত।
এলএবাংলাটাইমস/এজেড
শেয়ার করুন