আপডেট :

        প্রাইজবন্ডে প্রথম পুরস্কার

        পাউবোর ৩৭০ বজ্র নিরোধক দণ্ড স্থাপন

        সিলেট বিভাগের বেশিরভাগ জায়গায় বিদ্যুৎহীন

        সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা সন্ধ্যায়

        সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা সন্ধ্যায়

        ভিসা অব্যাহতি ও বাণিজ্য সম্প্রসারণ

        সুন্দরবনে সন্ধ্যায়ও বিক্ষিপ্তভাবে অর্ধশতাধিক স্থানে আগুন জ্বলতে দেখা যায়

        সুন্দরবনে সন্ধ্যায়ও বিক্ষিপ্তভাবে অর্ধশতাধিক স্থানে আগুন জ্বলতে দেখা যায়

        উচ্চশিক্ষাকে ডিজিটালাইজেশনে আওতায় আনার সিদ্ধান্ত

        কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ওপরে ড্রোন, পাহারায় পুলিশ’

        বাংলাদেশের গণমাধ্যম শুধু মুক্ত নয় বরং উন্মুক্ত

        বাংলাদেশের গণমাধ্যম শুধু মুক্ত নয় বরং উন্মুক্ত

        দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছয় দিন ধরে হতে পারে ঝড়-বৃষ্টি

        দীর্ঘ সময় পর ঢাকা-জয়দেবপুরে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

        জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পারফর্ম বিবেচনা করে বিশ্বকাপ ভুল সিদ্ধান্ত হতে পারে

        জবিতে আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাড মেকিং প্রতিযোগিতা

        মিয়ানমারের আরও ৪০ সীমান্তরক্ষী টেকনাফে

        রাজউকের প্লট-ফ্ল্যাট বরাদ্দ এলো নতুন বিধিমালা

        সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু

        চুক্তিতে যেতে আগ্রহ নন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন

করোনা আক্রান্তদের জন্য কয়েকটি টিপস

করোনা আক্রান্তদের জন্য কয়েকটি টিপস

ছবি : সংগৃহীত

করোনাভাইরাস দিনকে দিন বিশ্বে ভয়ংকর রূপ নিচ্ছে। এ রোগের কারণে একে একে মৃত্যুর দুয়ারে গেছেন ১১ হাজারের বেশি মানুষ। মহামারি এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই। দেখা যাচ্ছে, এ রোগে দ্রুত আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধদের মধ্যেই বেশি। চীন থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বৃদ্ধদের, বিশেষ করে যাঁরা দীর্ঘস্থায়ী চিকিৎসা নিচ্ছেন, তাঁদের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। এরই মধ্যে করোনায় সবচেয়ে বেশি মারা গেছেন বয়স্ক ব্যক্তিরাই।

বয়স্কদের মধ্যে দুর্বল প্রতিরোধক্ষমতা ও স্বাস্থ্যের অবনতির কারণে কোভিড–১৯ সহজেই তাঁদের আক্রান্ত করে। বৃদ্ধদের মধ্যে কোভিড-১৯ আক্রান্তের ঝুঁকিও বেশি। কেন বৃদ্ধরা এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন, এর সঠিক কারণ কেউই এখন পর্যন্ত বলতে পারছেন না। এটা হতে পারে বয়সজনিত কারণে। কারণ, এ সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা অনেকটাই কমে যায়। এ জন্য তাঁরা কোনো রোগ বা জীবাণুর সঙ্গে লড়তে পারেন না।

৬৫ বছর বা এর ঊর্ধ্বে যাঁদের বয়স, তাঁদের ঝুঁকি বেশি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা বলছেন, ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, হার্টের সমস্যা, ক্যানসার, হাঁপানির মতো সমস্যা থাকলে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রেও একইভাবে বিপজ্জনক করোনাভাইরাস।

সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অনেক দেশেই বলা হয়েছে, ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সের ব্যক্তিরা, যাঁদের দৈহিক বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে, তাঁরা যেন জনসমাগম এলাকা এড়িয়ে চলেন। তাঁরা যেন বাড়িতে থাকেন। বয়স্কদের সাবধানে কীভাবে রাখবেন, এর জন্য কয়েকটি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে—

ওষুধসহ প্রয়োজনীয় জিনিস মজুত রাখা
দরকারি ওষুধ ও প্রয়োজনীয় জিনিস আগে থেকে কিনে বাসায় রাখতে হবে। বাসার বৃদ্ধরা দুর্বল ও দীর্ঘদিন অসুস্থ হলে আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) সুপারিশ করেছে, বেশ কিছু সপ্তাহের ওষুধ ও অন্যান্য জিনিস বাড়িতেই যেন রাখা হয়। সিডিসি তাদের নাগরিকদের বলেছে, প্রয়োজনীয় খাদ্য, ওষুধ এবং অন্যান্য চিকিৎসা পণ্যের সরবরাহগুলো আগে থেকে মজুত করে রাখুন। প্রিয়জনদের কী কী ওষুধ প্রয়োজন, তার খেয়াল পরিবার যেন রাখে। বাসার বয়স্কদের দিকে একটু সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিন।

পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। ২০ সেকেন্ড ধরে নিজেদের হাত সাবান–পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই পরামর্শ করোনাভাইরাস সচেতনতার জন্য সবাই দিচ্ছেন। যদি হ্যান্ডওয়াশ-পানি না থাকে, সে ক্ষেত্রে স্যানিটাইজার দিয়েও হাত ভালোভাবে ঘষে নিতে হবে। বাড়ি ও কর্মক্ষেত্রের জায়গাও যেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে, এ বিষয়ে নিশ্চিত থাকতে হবে। নিয়মিত বাড়ি ও কাজের জায়গা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করুন। এমনকি ইলেকট্রনিকসের জিনিসগুলোও নিয়মিত পরিষ্কার করুন।

কোনো জিনিস শেয়ার নয়

যৌথ পরিবারে সবাই একসঙ্গে থাকেন। একেকজনের ঝুঁকি একেক ধরনের হতে পারে। এ রকম অবস্থায় সবারই ঝুঁকি রয়েছে বলেই ধরে নিতে হবে। একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো, একই পরিবারে বৃদ্ধ ও শিশুরা থাকে। তাদের এই সময়ে বা মাঝেমধ্যে সর্দি-কাশি হয়। সে ক্ষেত্রে পরিবারের উচিত ব্যক্তিগত সব জিনিস এই মুহূর্তে আলাদা ব্যবহার করা। যেমন খাবার, পানির বোতল, বাসন-কোসন। প্রয়োজন হলে বাড়ির একটি আলাদা ঘরে অসুস্থ সদস্যকে রেখে দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে আলাদা শৌচাগারের ব্যবস্থাও করলে আরও ভালো হয়।

অনেক বৃদ্ধই আছেন, যাঁরা একা একা থাকেন। সে ক্ষেত্রে কীভাবে তাঁরা নিজেদের যত্ন নেবেন, সে বিষয়ে আগে থেকে পরিকল্পনা করে নিতে হবে। ফোন বা ই–মেইল কীভাবে ব্যবহার করবেন, জরুরি ফোন নম্বর, চিকিৎসকের নম্বর সব যেন হাতের কাছে থাকে।

আতঙ্ক নয়, আলোচনা করুন

অযথা আতঙ্কিত না হয়ে কোভিড-১৯ সম্পর্কে প্রতিবেশী, পরিবার-স্বজনদের সঙ্গে নিয়ে আলোচনা করতে হবে। কেউ আক্রান্ত হলে আগাম প্রস্তুতি কী হবে, তা নিয়ে পরিকল্পনা করে রাখুন। কোভিড-১৯ সম্পর্কে যতটা সম্ভব সচেতনতা বাড়াতে হবে, বিশেষ করে বয়স্কদের ক্ষেত্রে এটা আরও প্রয়োজন। তাঁরা যাতে কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে না বের হন, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বৃদ্ধদের আশ্বস্ত করুন যে এ রোগে ভয়ের কিছু নেই।

চিকিৎসকদের পরামর্শ মানুন

করোনা নিয়ে আতঙ্ক না বাড়িয়ে চিকিৎসক-বিশেষজ্ঞদের নির্দেশ মেনে চলাই শ্রেয়। কিছুদিন বৃদ্ধদের বাড়ির বাইরে বের হতে না দিয়ে বাড়িতেই রাখতে হবে। বিভিন্ন ধরনের ফিট থাকার শরীরচর্চা এই সময় তাঁরা করতে পারেন। স্বাস্থ্যকর খাবার এ সময় খুব প্রয়োজন। সর্দি-কাশি হলে তা এড়িয়ে না গিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

করোনার ভয়ে বিশ্ববাসী রীতিমতো একঘরে হয়ে রয়েছেন। বিশ্বের অনেক দেশ তাদের শহরগুলো লকডাউন করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) নিজেদের ওয়েবসাইটে কোভিড-১৯ নিয়ে বিস্তারিত জানাচ্ছে। সেখানে এ রোগের বিষয়ে সব তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।

এলএবাংলাটাইমস/এম/এইচ/টি

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত