আপডেট :

        ৮ জুলাই ঢাকায় আসছেন তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্পপ্রধান হালুক গরগুন

        জাদুঘরে জুলাই আন্দোলনের স্থিরচিত্র

        আবু সাঈদের রক্তই খুলল আমার কারাগার কেল্লা: রংপুরে এটিএম আজহার

        ‘মব’ সৃষ্টির অভিযোগ

        মোব কালচারে’ নির্বাচনের চেতনা নষ্ট: জামায়াত আমির শফিকুর রহমান

        রেডিয়াল সিদ্ধান্ত: নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগে আইএইএ কর্মকর্তাদের তেহরান ত্যাগ

        রেডিয়াল সিদ্ধান্ত: নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগে আইএইএ কর্মকর্তাদের তেহরান ত্যাগ

        কারা কফি থেকে বিরত থাকবেন, জেনে নিন—

        পশ্চিমা সমর্থন ছাড়া কি ইসরায়েলের অস্তিত্ব টিকবে? বিশ্লেষকদের মতামত

        নারী ও শিশু নির্যাতন মহামারি পর্যায়েঃ শারমীন মুরশিদ

        ‘শ্রাবণ বিদ্রোহ’: জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের তথ্যচিত্র প্রদর্শন ৭ জুলাই

        লিভারপুল ও পর্তুগালের তারকা দিয়াগো জোতা গাড়ি দুর্ঘটনায় নিহত

        জুলাই সনদের দাবিতে অনড় এনসিপি, নির্বাচনে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না: নাহিদ

        প্রধানমন্ত্রী থেকে সংস্কৃতিমন্ত্রী: পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রার নতুন ভূমিকা

        বিটিএস ফিরছে পুরো দমে: ২০২৬-এ নতুন গান ও গ্লোবাল ট্যুরের প্রতিশ্রুতি

        ‘কফি খাচ্ছিলাম, চিল করছিলাম—হঠাৎ দেখি পাঁচ উইকেট নেই’

        দুপুরে আজ জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপি

        পহেলগাম হামলার পর নিষেধাজ্ঞা শিথিল, পাকিস্তানি সেলিব্রিটিদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাক্সেস ফিরল

        করোনার টিকা নিরাপদ, আকস্মিক মৃত্যুর গুজবে জবাব দিল গবেষণা

        জুলাই বিপ্লবের গুরুত্ব বুঝতে ব্যর্থ কিছু মানুষঃ বাঁধনের আক্ষেপ

পিতার লেখা শব্দগুলো এখনো প্রেসিডেন্ট ওবামার অপেক্ষায়

পিতার লেখা শব্দগুলো এখনো প্রেসিডেন্ট ওবামার অপেক্ষায়

বহুদিন আগে বারাক ওবামা সিনিয়রের লেখা একটি চিঠি সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের গতি-প্রকৃতি বদলে দেওয়া উচ্চাভিলাষী কেনিয়ান বালকটির উপর নতুন করে আলোকপাত করেছে। তবে এতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের পুরোনো বেদনাও ফের জেগে উঠতে পারে।
হার্লেমের স্কুমবার্গ সেন্টার ফর রিসার্চ ইন ব্ল্যাক কালচার এর একটি বাক্সে পাওয়া গেছে প্রায় অর্ধ শতাব্দী আগে লেখা একটি চিঠি। চিঠিটিতে কেনিয়ার এক যুবকের স্বপ্ন ও সংগ্রামের কালানুক্রমিক বিবরণ রয়েছে। তার নাম ছিল বারাক হোসেন ওবামা।
তিনি ছিলেন উচ্চাভিলাষী এবং দুর্দমণীয়, ২২ বছর বয়সী এক কেরানি যিনি মিনিটে ৭৫ শব্দ টাইপ করতে পারতেন এবং ইংরেজি থেকে সোয়াহিলি ভাষায় অনুবাদ করতে জানতেন। কিন্তু কলেজে পড়ার খরচ যোগানোর মতো টাকা তার ছিল না। ১৯৫৮ সালের দিকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পড়ার জন্য স্কলারশীপ পান। অবশেষে কেনিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান তিনি। সেখানেই তিনি ওবামা নামের ছেলে সন্তানের বাবা হন। অবশ্য জন্মের মাত্র কয়েকবছর পরই ওবামার বাবা তার জীবন থেকে হাওয়া হয়ে যান। ওবামার বাবার লেখা ওই চিঠিতেও বাবা ও সন্তানের এই ভেঙ্গে যাওয়া সম্পর্ক নিয়ে ইঙ্গিত রয়েছে।
চিঠিটি সম্পর্কে স্কোমবুর্গ সেন্টারের পরিচালক, খলিল জিবরান মোহাম্মদ বলেন, ‘চিঠিটি খুবই তথ্যসমমৃদ্ধ। এতে একজন গতানুগতিক ও নিজেই নিজেকে তৈরিকারী এক মানুষের বেড়ে ওঠার মোহময়ী ও হৃদয় বিদারক গল্প বর্ণিত হয়েছে।’
প্রেসিডেন্ট ওবামাও বারবার তার বাবা তার জীবনে যে শুন্যতা সৃষ্টি করে গেছেন সে সম্পর্কে বলেছেন। ১৯৬৪ সালে ওবামার বাবা কেনিয়ার বাড়িতে চলে যান। এরপর মাত্র একবার একমাসের জন্য যুক্তরাষ্ট্র এসেছিলেন তিনি। সেসময় ওবামার বয়স ছিল মাত্র ১০।
গত মাসে নিউইয়র্ক টাইমসের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ওবামা বলেন, ‘তার বাবার অনুপস্থিতি তাকে কিশোর বয়সে পুরুষ হওয়ার মানে কী এই বিষয়টি বুঝতে কঠিন সংগ্রামের মধ্যে ফেলে দিয়েছিল।’
ওবামা বলেন, ‘আমি আসলে আমার বাবা ঠিক কেমন মানুষ ছিলেন তাও জানি না।’
ওবামার বাবার চিঠিতে ১৯৫৮ থেকে ১৯৬৪ সালের মধ্যকার ঘটনাবলী লিখিত আছে। এ থেকে প্রেসিডেন্ট ওবামার বেড়ে ওঠা সম্পর্কে নতুন কিছু উদঘাটন সম্ভব হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
১৯৬০ সালে হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ওবামার বাবা অ্যান ডানহাম নামের এক শ্বেতাঙ্গ সহপাঠীর প্রেমে পড়েন। অথচ কেনিয়াতে তার এক স্ত্রী ও দুই সন্তান ছিল। এর পরের বছরই তারা বিয়ে করেন। ১৯৬১ সালের ৪ আগস্ট জন্ম হয় ওবামার। কিন্তু ওবামার বাবা কখনোই তার নতুন স্ত্রী ও সন্তানের কথা কোথাও উল্লেখ করেননি।
আত্মীয় স্বজনরা ওবামার বাবাকে একজন জটিল, মেধাবী ও স্বেচ্ছাচারী, কমনীয় ও দুর্বিনীত লোক বলে আখ্যায়িত করেছেন। যার স্বপ্ন ছিল কেনিয়ার একজন প্রধান সরকারি অর্থনীতিবিদ হওয়া। কিন্তু তার ওই স্বপ্ন পূরণ না হওয়ায় তিনি নিয়মিত মদ পানে অভ্যস্থ হয়ে পড়েন এবং পুরো মাত্রার মাতাল হয়ে ওঠেন। এরপর মাত্র ৪৬ বছর বয়সে কোনো স্বপ্ন পূরণ ছাড়াই তিনি এক গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যান।
প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তার জীবনকে প্রায়ই মার্কিন রুপকথা হিসেবে আখ্যায়িত করেন। কানসাসের এক শ্বেতাঙ্গ নারী ও কেনিয়ার এক কৃষ্ণাঙ্গ পুরুষের একমাত্র সন্তানের মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার সংগ্রামের এই কাহিনীকে রুপকথা ছাড়া আর কীইবা বলা যেতে পারে।
তবে ওবামার বাবার জীবন সংগ্রামও রুপকথার চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। ওবামার বাবার ব্যর্থ জীবন সংগ্রামের এই কাহিনী বর্তমানে স্কোমবুর্গের ফেলপস স্টোকস ফান্ড কালেকশনের ২১৪ নম্বর বাক্সে বন্দী আছে। সেন্টারটির পরিচালক বলেছেন প্রেসিডেন্ট ওবামা যখনই চাইবেন তখনি তার কাছে বাক্সটি হস্তান্তর করা হবে। তার বাবার শব্দরা এখনো সেখানে তার অপেক্ষায় আছে।

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত