৮ জুলাই ঢাকায় আসছেন তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্পপ্রধান হালুক গরগুন
মোদী ও জিনপিংয়ের বৈঠকের দিকে তাকিয়ে পৃথিবী
শেষ মুহূর্তে আরও টানটান এনএসজির লড়াই। পরমাণু সরবরাহকারী গোষ্ঠীর সদস্যপদ পাওয়ার লক্ষ্যে আরও খানিকটা এগিয়ে যেতে সর্বশক্তি প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিলো নয়াদিল্লি। আজ তাসখন্দে চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক প্রায় নির্ধারিত। সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের বৈঠকের ফাঁকে মোদী-জিনপিং-এর ওই বৈঠক হলে এনএসজি-ই যে সেখানে প্রধান আলোচ্য হয়ে উঠতে চলেছে, তা অনেকটা নিশ্চিত। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
অন্য দিকে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব এস জয়শঙ্কর চলে যাচ্ছেন দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে। সেখানে এনএসজি-র প্লেনারি অধিবেশনের সমাপ্তির আগে ভারতের দাবির পক্ষে সমর্থন আরও বাড়ানোর লক্ষ্যেই এই শেষ মুহূর্তের সিউল সফর পররাষ্ট্র সচিবের।
চীনের সুর আগের চেয়ে কিছুটা হলেও নরম। প্রথমে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছিল, এনপিটি সই না করা পর্যন্ত এনএসজিতে ঢুকতে দেওয়া উচিত নয় ভারতকে। কিন্তু আমেরিকা, রাশিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্সের মতো চার বৃহত্ শক্তি এবং এনএসজি-র অধিকাংশ সদস্য দেশ ভারতের এনপিটি স্বাক্ষর নিয়ে মাথা ঘামাতে নারাজ। পরমাণু নিরাপত্তা নিয়ে নয়াদিল্লির দায়িত্বশীল ভূমিকাকে অধিকাংশ দেশই মেনে নিচ্ছে দেখে এনপিটি সই করার ইস্যু থেকে সরে আসে চীন। পাকিস্তানের পরমাণু নিরাপত্তা নীতির প্রশংসা করা হয় চীনের সরকারি মিডিয়ায়। ভারতকে যে সব ছাড় দেওয়া হবে, তা যেন পাকিস্তানও পায় এমনই দাবি তোলা হয় চীনের পক্ষে। পাকিস্তানের হয়ে কথা বলে এই ভাবে চাপ প্রয়োগের কৌশল চীন অবলম্বন করেছিল মঙ্গলবারই। তার পর দিনই চীনের সুর আরও একটু নরম হয়।
চীনের এই অবস্থানকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছে ভারত। কখনও প্রণব মুখোপাধ্যায়, নরেন্দ্র মোদী, কখনও এস জয়শঙ্কর কথা বলে চীনের সঙ্গে বরফ গলাতে কাজে করেছেন বলে নয়াদিল্লি মনে করছে।
শেয়ার করুন