৮ জুলাই ঢাকায় আসছেন তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্পপ্রধান হালুক গরগুন
ইস্তাম্বুল এয়ারপাোর্টে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় নিহত ৩৬
তুরস্কের ইস্তামবুল শহরের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বন্দুক ও আত্মঘাতী হামলায় অন্তত ৩৬ জন প্রাণ হারিয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ৬০ জনের বেশি। গত মঙ্গলবার রাতে এই হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা প্রথমে গুলিবর্ষণ করে বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। ইস্তাম্বুলের আতাতুর্ক বিমানবন্দরে এই হামলা হয়।
তাৎক্ষণিক এ হামলার দায় স্বীকার করেনি কোনো জঙ্গি বা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী।
ঘটনার পরপরই বিমানবন্দরে সব ধরনের বিমান চলাচল বন্ধ রেখেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
বিমানবন্দরের দু’টি ভিন্ন জায়গা লক্ষ্য করে জঙ্গিরা হামলা চালায় বলেই প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে।
তুরস্কের সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, গভীর রাতে চার জন সশস্ত্র জঙ্গি বিমানবন্দরের ভিতরে ঢুকে পড়ে। গুলির শব্দও শুনতে পেয়েছেন কেউ কেউ। আইএস বা কুর্দি জঙ্গিরা এই হামলা করে থাকতে পারে বলে ধারণা তুরস্কের।
ইউরোপের শীর্ষ তিনটি ব্যস্ত শহরের একটি আতাতুর্ক বিমানবন্দর। লন্ডনের হির্থো ও ফ্রান্সের চার্লস দ্য গলের পরই ব্যস্ত বিমানবন্দর এটি। গত বছর জার্মানির ফ্রাঙ্কফুট বিমানবন্দরকে পেছনে ফেলে শীর্ষ তিনে উঠে আসে আতাতুর্ক বিমানবন্দর। ২০১৫ সালে ৬১ লাখ যাত্রী এই বিমানবন্দরে উঠা-নামা করেছেন।
তুরস্কের এক সরকারি কর্মকর্তা বলেন, হামলাকারীরা বিমানবন্দরের প্রবেশমুখের একটি চেক পয়েন্টে পৌঁছালে তাদের আটকাতে গুলি চালায় পুলিশ। কালাশনিকভ বন্দুক দিয়ে গুলিবর্ষণ করে সন্ত্রাসীরা এবং তারপর বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিজেকে উড়িয়ে দেয় আত্মঘাতী হামলাকারী।
হামলায় প্রায় ৬০ জন আহত হয়েছেন জানিয়েছে তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদলু বলছে।
এ বছর তুরস্কে বেশ কয়েক দফায় বোমা হামলা হয়েছে। এর মধ্যে ইস্তামবুলের পর্যটন এলাকায় দুই দফা আত্মঘাতী হামলা হয়, যার জন্য আইএসকে দায়ী করা হয়। এছাড়া রাজধানী আঙ্কারায় দুটি গাড়ি বোমা হামলা হয়, যার দায় করে একটি কুর্দি জঙ্গি গ্রুপ।
সময়টা ভাল যাচ্ছে না তুরস্কের। দফায় দফায় বোমা হামলা জর্জরিত দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সেই সঙ্গে একটি যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করার ঘটনায় প্রতিবেশী রাশিয়ার সঙ্গে খারাপ সম্পর্কের জেরে ব্যবসা-বাণিজ্যে জেরবার অবস্থা। অবস্থা বেগতিক দেখে সোমবার রাশিয়ার কাছে দুঃখপ্রকাশ করেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেব এরদোগান।
শেয়ার করুন