আপডেট :

        আবারও একবার টিভি পর্দায় ফিরে এলো ডকুড্রামা ‘হাসিনা

        এশিয়ার ফুটবলে নতুন করে বর্ষপঞ্জি সাজিয়েছে এএফসি

        যারা একবেলা খেতে পারতো না, তারা এখন চারবেলা খায়ঃ শেখ হাসিনা

        এশিয়ার ফুটবলে নতুন করে বর্ষপঞ্জি সাজিয়েছে এএফসি

        দরজায় কড়া নাড়ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর

        ১০ হাজার বাংলাদেশি অভিবাসীদের ফেরত পাঠাচ্ছে ব্রিটেন

        সহজেই কিছু ফেসপ্যাক বানানোর টিপস

        অন্ততপক্ষে ২০ এমবিপিএসেক আমরা সর্বনিম্ন ব্রডব্যান্ড হিসেবে ঘোষণা করবঃ পলক

        সবজির বাজারে লাফিয়ে বাড়লো কাঁচা মরিচের দাম

        ঝুঁকি বিবেচনায় এআই আইন করা হবে

        গুগল ট্রান্সলেটরে মুখের কথা অন্য ভাষায় অনুবাদ করার পদ্ধতি

        বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ তাই দুই মাস পর পর ঋতু পরিবর্তন

        বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ তাই দুই মাস পর পর ঋতু পরিবর্তন

        বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের রহস্যজনক নিষ্ক্রিয়তায় ছাত্রলীগ হলগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে বলে অভিযোগ

        বাংলাদেশে আসতে চলেছেণ তুর্কি সুপারস্টার অভিনেতা বুরাক ঔজচিভিত

        পিরামিড তৈরির রহস্য সমাধানের আশা গবেষকদের

        সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ঋষি সুনাকের

        সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ঋষি সুনাকের

        ছোট ভাইয়ের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় সঙ্গে ছিলেন পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি

        ছোট ভাইয়ের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় সঙ্গে ছিলেন পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি

হামলার পর সব ভয় দূর হয়ে যায়

হামলার পর সব ভয় দূর হয়ে যায়

সাক্ষাৎকারে মালালা

নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ের আগে যুক্তরাষ্ট্রের ফোর্বস ম্যাগাজিন আয়োজিত 'দ্য থার্ড অ্যানুয়েল সামিট অন ফিলানথ্রপি' বিষয়ক একটি অনুষ্ঠান হয়েছিল। সেখানে বিশ্বের ২০০ নেতৃস্থানীয় সমাজকর্মীর মধ্যে একজন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানি কিশোরী মালালা ইউসুফজাই। তালেবান হামলা এবং তার পরের নানা বিষয়ে মালালার সঙ্গে কথা বলেন শিক্ষা ও অভিবাসনবিষয়ক কেঁৗসুলি ও অ্যাপলের সহপ্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত স্টিভ জবসের স্ত্রী লরেন্স পাওয়েল জবস হামলার পর সব ভয় দূর হয়ে যায়
লরেন্স :আমার বন্ধুদের অনেকে মজা করে বলে থাকে, তালেবান ভুল মেয়েকে গুলি করেছিল।মালালা :ধন্যবাদ।
লরেন্স :তোমার ছোটবেলা নিয়ে কিছু বলো। সোয়াত উপত্যকার কথাও বলো।মালালা :সোয়াত খুবই মনোরম একটি জায়গা। বড় বড় পাহাড়, নদী, সবুজ ঘাসে ছাওয়া টিলা আর গাছপালা। সারা দুনিয়া থেকে প্রচুর মানুষ প্রতি বছর সোয়াত উপত্যকায় বেড়াতে যায়।আমি প্রতিদিন স্কুলে যেতাম। মা-বাবাকে নিয়ে আমাদের ছোট পরিবার সচ্ছল ছিল না; কিন্তু আমরা কিছু নীতি মেনে চলতাম, কিছু মূল্যবোধে বিশ্বাসী ছিলাম। চরমপন্থি তালেবান এ উপত্যকায় এসে আমাদের জীবনধারাকে পাল্টে দিল। মেয়ে শিশুদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গেল তাদের হুকুমে। ৪শ'রও বেশি স্কুল তুলে দেওয়া হলো। নারীদের জন্য হাটবাজারে যাওয়া নিষিদ্ধ করে দিল তারা।সবচেয়ে খারাপ লাগল আমাদের লেখাপড়া বন্ধ করে দেওয়ায়। আমি সেটা চালিয়ে যেতে চাইলাম; কিন্তু তারা ২০১২ সালের অক্টোবরের ৯ তারিখে গুলি করে আমাকে মেরে ফেলতে চাইল।আসলে সেদিন থেকেই আমার ভেতরের সব ভয় চলে গেল। নিজের মধ্যে অনেক শক্তি অনুভব করলাম।লরেন্স :গুলি করার পরের ঘটনা বলো।
মালালা :গুলি করার পর আমাকে ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে কুইন এলিজাবেথ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলো। ওরা খুব ভালো চিকিৎসা দিল। আমি সুস্থ হয়ে উঠলাম। সেখানে থেকে গেলাম এবং ফের লেখাপড়া শুরু করলাম।লরেন্স :পাকিস্তানে যেতে পার না আর?মালালা :পাকিস্তান যাওয়াটা আমার জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।লরেন্স :তোমাকে তো এখন অনেক বড় বড় রাষ্ট্রনায়কের সঙ্গেও কথা বলতে হয়। আবার নিজের বন্ধুদের সঙ্গেও কথা বলো। দুটোর মধ্যে তাল মেলাও কী করে?মালালা : আমি আমার লেখাপড়া নিয়েই বেশিরভাগ সময় ব্যস্ত থাকি। সপ্তাহের শেষে বন্ধু-বান্ধবদের সময় দিই। ...আর ওটা হয়ে যায়।লরেন্স : মালালা ফান্ড গঠনের পরিকল্পনা কি তোমার স্কুল জীবনেই ছিল?
মালালা : হ্যাঁ। আমাদের দেশে অনেক শিশু আছে যারা পয়সার অভাবে পড়াশোনা করতে পারে না। তারা পেটের দায়ে পরের কাজ করে। আমি তাদের জন্য সামান্য হলেও কিছু করতে চাই। মালালা ফান্ড শিশুদের জন্য লেখাপড়ার সুযোগ সৃষ্টি করা ছাড়াও তাদের অধিকার নিয়ে কাজ করবে। আমরা বিশ্বের সব ধরনের শিশুর কাছে যেতে চাই। তাদের সমস্যার কথা বলতে চাই।লরেন্স : কী কী কাজ শুরু করেছ এর মধ্যে?মালালা : গত কয়েক মাসে আমরা বেশ কিছু কাজ করেছি। প্রথম প্রকল্পটি শুরু করেছি আমার জন্মভূমি সোয়াতে। যারা অর্থের অভাবে স্কুল যেতে পারে না, তাদের পড়াশোনার জন্য আমরা বৃত্তির ব্যবস্থা করেছি। আমরা জর্ডানে সিরীয় শরণার্থীদের নিয়েও কাজ করছি।
লরেন্স :শিক্ষা মন্ত্রণালয় কিংবা সরকারের সঙ্গে কি এসব কাজ করার কথা ভেবেছ?মালালা :এটা ঠিক, এসব কাজে সরকারি সহায়তার গুরুত্ব অনেক বেশি। সরকারগুলো সামরিক বাহিনীর পেছনে অনেক টাকা খরচ করে। শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো দরকার।

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত