৮ জুলাই ঢাকায় আসছেন তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্পপ্রধান হালুক গরগুন
‘সবচেয়ে বড়’ পারমাণবিক পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়ার
পঞ্চমবার ‘সবচেয়ে বড়’ পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা সফল হওয়ায় দাবি করেছে উত্তর কোরিয়া।
বিবিসির খবরে বলা হয়, এর আগে স্থানীয় সময় শুক্রবার সকালে পানজি-রি পারমাণবিক স্থাপনার কাছে ৫ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার পর দক্ষিণ কোরিয়া জানিয়েছিল, এ ভূমিকম্পটি ছিল কৃত্রিম। উত্তর কোরিয়া পঞ্চমবারের মতো পারমাণবিক পরীক্ষা চালিয়ে থাকতে পারে।
দেশটির পক্ষ থেকে বলা হয়, এবারই প্রথম উত্তর কোরিয়া সবচেয়ে বড় আকারের পরীক্ষা চালিয়েছে। তাদের আশঙ্কা, এরফলে উত্তর পরমাণু পরীক্ষায় বাস্তবেই একধাপ এগিয়ে গেল।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট পার্ক গিউন হাই উত্তরের জন্য একে আত্মঘাতি এবং অদূরদর্শী পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেছেন। এরফলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গভীর চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হলো।
এর কয়েক ঘণ্টা পর উত্তর কোরিয়া সফল পরীক্ষার কথা জানিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে।
শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার ৬৮তম স্বাধীনতা দিবস। এ উপলক্ষে রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে পারমাণবিক পরীক্ষা সফল হওয়ার খবরে উল্লাস প্রকাশ করা হয়।
উত্তর কোরিয়ার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা একটি নতুন নিউক্লিয়ার ওয়ারহেডের পরীক্ষা চালিয়েছে। ফলে এখন থেকে তারা ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে পারমাণবিক বোমা ছুড়তে পারবে।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে একজন উপস্থাপক বলেন, পরীক্ষা সফল হওয়ায় উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন ওয়ার্কাস পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি পরমাণু বিজ্ঞানীদের উষ্ণ অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছে।
এরআগে গত ৬ জানুয়ারি চতুর্থ পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা চালিয়েছিল উত্তর কোরিয়া।
দেশটি ২০০৬, ২০০৯ ও ২০১৩ সালেও পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছিল।
এদিকে পারমাণবিক পরীক্ষার ঘটনায় উত্তর কোরিয়াকে পরিণতি ভোগ করার ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার ভূমিকায় দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপান গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমি মনে করি চীন, রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ সবাই উদ্বিগ্ন।
তিনি আরও জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এই পারমাণবিক পরীক্ষার বিষয়ে শিগগির ভাষণ দেবেন এবং আমরা এ বিষয়ে জাতিসংঘের ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে আলোচনা করব।
এছাড়া উত্তর কোরিয়ার এ পরীক্ষার নিন্দা জানিয়েছে দেশটির মিত্র চীন। তারা বলছে, আমরা দৃঢ়ভাবে এ ধরনের পরীক্ষার বিরোধিতা করে আসছি।
যুক্তরাষ্ট্রের মিডলবুরি ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের উত্তর কোরিয়া বিশ্লেষক জেফরি লুইস বলেন, ধরণ দেখে বোঝা যায়, অন্তত ২০ থেকে ৩০ কিলোটন বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়ে থাকতে পারে।
উত্তর কোরিয়ার এ পারমাণবিক বোমা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের হিরোশিমায় আমেরিকার ফেলা বোমার চেয়েও শক্তিশালী বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এলএবাংলাটাইমস/আই/এলআরটি
শেয়ার করুন