৮ জুলাই ঢাকায় আসছেন তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্পপ্রধান হালুক গরগুন
উ. কোরিয়ার রাজধানী গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দ. কোরিয়ার
উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ং গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে দেশটির প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়া। কিছুদিন আগে উত্তর কোরিয়ার চালানো শক্তিশালী পারমাণবিক বোমার পরীক্ষার প্রতিক্রিয়ায় দক্ষিণ কোরিয়ান কর্মকর্তারা এমন এক পরিকল্পনার কথা প্রকাশ করেছেন যা দিয়ে পিয়ংইয়ং সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়া সম্ভব হবে।
তারা বলছেন, যদি এমন ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক আক্রমণ চালাতে পারে তাহলে সঙ্গে সঙ্গেই ক্ষেপণাস্ত্র ও উচ্চ মাত্রার বিস্ফোরক ব্যবহার করে পিয়ংইয়ং-এর প্রতিটি এলাকা ধ্বংস করে দেওয়া হতে পারে।
গত কয়েক দিনে এশিয়ার বৈরীভাবাপন্ন দেশ দুটির মধ্যে বাকযুদ্ধের মাত্রা ক্রমশই উর্ধ্বমুখী হচ্ছে।
সরকারি অর্থে পরিচালিত এবং সরকারের খুবই ঘনিষ্ঠ দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানতম বার্তা সংস্থা ইয়োনহেপ-এর বরাত দিয়ে বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে রবিবার ১১ সেপ্টেম্বর) রাতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ানরা বলছে, এই পরিকল্পনার নাম দেওয়া হয়েছে কোরিয়ার প্রচণ্ড শাস্তি এবং পাল্টা ব্যবস্থা।
বিবিসির সংবাদদাতা স্টিভ ইভান্স বলছেন, শুক্রবার উত্তর কোরিয়া একটি পরীক্ষামূলক পারমাণবিক বিস্ফোরণ ঘটানোর পর থেকে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে বাকযুদ্ধ চলছে।
দুটি দেশেরেই গতানুগতিক অ-পারমাণবিক অস্ত্রের বিশাল মজুত রয়েছে। এতে আছে শত শত বড় আকারের কামান-সমৃদ্ধ আর্টিলারি ব্যাটালিয়ান।
উভয় পক্ষেরই ক্ষমতা আছে প্রতিপক্ষের রাজধানী সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেবার।
দক্ষিণ কোরিয়ার একজন সরকারি কর্মকর্তা বলেছেন, উত্তর কোরিয়া পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে এমন কোনো ইঙ্গিত পাওয়ার সাথে সাথেই পিয়ংইয়ং-এর প্রতিটি এলাকা ক্ষেপণাস্ত্র ও উচ্চশক্তিসম্পন্ন বিস্ফোরক-ভর্তি কামানের গোলা দিয়ে পুরোপুরি ধ্বংস করে দেওয়া হবে।
কারণ উত্তর কোরিয়ার শাসকরা হয়তো পিয়ংইয়ং-এর কোনো এলাকাতেই লুকিয়ে আছে।
অন্যদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর কোরিয়া বিষয়ক বিশেষ দূত সুং কিম বলছেন, শুক্রবারের পরমাণু বোমা পরীক্ষার পর ওয়াশিংটন এখন পিয়ংইয়ংকে শাস্তি দেবার জন্য একতরফা পদক্ষেপ নেবার কথা বিবেচনা করছে।
তিনি বলছেন, উত্তর কোরিয়া ক্রমাগতভাবে ওই অঞ্চলের প্রতি, আমাদের প্রতি এবং আমাদের মিত্রদের প্রতি হুমকি হয়ে উঠছে। আমরা এই ক্রমবর্ধমান হুমকি ঠেকানোর জন্য সব কিছুই করব। ‘জাতিসংঘের পদক্ষেপসমূহ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া মিলে, যে কোনো ধরনের একতরফা বা দ্বিপাক্ষিক অথবা ত্রিপাক্ষিক ব্যবস্থা নেওয়া যায় কিনা তা দেখব, বলেন তিনি।
উত্তর কোরিয়া যখন পারমাণবিক শক্তিতে পরিণত হবার পথে এগিয়ে চলেছে তখন দক্ষিণ কোরিয়া তাদেরকে আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করে ফেলার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তাতেও উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং আনকে নিরস্ত করা যায় নি।
উত্তর কোরিয়ার দিক থেকে এখন দক্ষিণ কোরিয়াকে লক্ষ্য করে রক্ত হিম করা সব হুমকি দেওয়া হচ্ছে, যার পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে এখন দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউল থেকেও কড়া কড়া জবাব দেওয়া হচ্ছে।
এলএবাংলাটাইমস/আই/এলআরটি
শেয়ার করুন