মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহারে দেশে পুরুষের চেয়ে নারীরা অনেকে পিছিয়ে
শ্রীলংকায় মুসলমান-বৌদ্ধ দাঙ্গায় মদদ ছিল পুলিশ ও রাজনীতিকদের
শ্রীলংকার ক্যান্ডি জেলায় সম্প্রতি মুসলমানদের সঙ্গে চরমপন্থি বৌদ্ধদের দাঙ্গায় মদদ জুগিয়েছেন পুলিশ ও রাজনীতিবিদরা। আর তাদের সমর্থন দিয়েছেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসে। প্রত্যক্ষদর্শী ও কর্মকর্তাদের বরাত এবং সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স রোববার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
চলতি মাসের প্রথম দিকে চরমপন্থি বৌদ্ধরা ক্যান্ডি জেলায় অসংখ্য মসজিদ, মুসলমানদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। অবস্থার গুরুত্ব বিবেচনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার ওই এলাকায় জরুরি অবস্থা জারি করতে বাধ্য হয়। এমনকি এক সপ্তাহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো ব্লক করে দেওয়া হয়।
দাঙ্গায় পুলিশ ও বেশ কয়েকজন বৌদ্ধ রাজনীতিবিদ যে ভূমিকা পালন করেছেন, তাতে দেখা গেছে শ্রীলংকা সরকার নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা হারিয়েছে এবং দাঙ্গা ছিল স্বতর্স্ফুতার চেয়েও বেশি যা চরমপন্থি বৌদ্ধ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিদ্বেষমূলক পোস্টের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।
মাহিন্দা রাজাপাকসে অবশ্য তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার দাবি, তিনি অথবা তার দলের কোনো নেতা এই দাঙ্গার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন না। পুলিশ জানিয়েছে, দাঙ্গায় রাজনীতিবিদ ও পুলিশ সদস্যদের সম্পৃক্ততার যে অভিযোগ উঠেছে সেটি তারা তদন্ত করছেন।
হামলার শিকার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা যে তথ্য দিয়েছেন তার সঙ্গে সিসিটিভি ফুটেজের কিছুটা মিল পাওয়া গেছে। এতে দেখা গেছে, পুলিশের আধাসামরিক ইউনিট এসটিএফের সদস্যরা মসজিদের ইমাম ও নেতাদের ওপর হামলা চালাচ্ছে।
একটি মসজিদের ইমাম এ এইচ রামিজ বলেন, ‘ওরা হামলা চালাতে এসেছিল। তারা চিৎকার করছিল। তাদের ভাষা ছিল নোংরা। তারা বলছিল, সব সমস্যার মূলে আমরা, আমরা জঙ্গিদের মতোই।’
পুলিশের মুখপাত্র রুয়ান গুনাসেকেরা বলেছেন, ‘পুলিশের বিরুদ্ধে এই অসাদাচারণের অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে।’
শ্রীলংকার আইনমন্ত্রী রঞ্জিত মাদুমা বানদারা জানিয়েছেন, ক্যান্ডির ঘটনাটি ছিল সুসংগঠিত। তিনি এর জন্য রাজপাকসের রাজনৈতিক দল এসএলপিপির দিকে অভিযোগের আঙ্গুল উঠিয়েছেন।
এলএবাংলাটাইমস/আই/এলআরটি
শেয়ার করুন