স্কুলে যাচ্ছেন বৃদ্ধারা
তাদের সবার গায়ে স্কুলের লাল-সাদা পোশাক। মুখে চওড়া হাসি। স্কুল বাসে বসে সবাই উচ্ছল স্বরে গল্প করে চলছেন। মনে হচ্ছে, কতদিন পর দেখা!
এই উচ্ছল শিক্ষার্থীদের সবারই বয়স ৬০ বা তার বেশি এবং তারা সবাই নারী। প্রতি বুধবার তারা দল বেধে থাইল্যান্ডের আয়ুথায়া প্রদেশের চিয়াং রাক নই উপজেলার স্কুলে যান পড়তে। মুলত বৃদ্ধ নিঃসঙ্গ নারীদের একাকীত্ব লাঘবে থাইল্যান্ড সরকার একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এর আওতায়ই বৃদ্ধ নারীদের জন্য এই সাপ্তাহিক স্কুলে চালু করা হয়েছে।
সমজিট টিরারোজ নামে ৭৭ বছরের এক নারী বলেন, ‘আমি প্রতিটি বুধবারের জন্য অপেক্ষায় থাকি। ওই দিন আমি স্কুলের ছাত্রীদের মতো জামা পরে স্কুলে যাই ও বন্ধুদের সঙ্গে মিলিত হই। আমরা একসঙ্গে কথা বলি, হাসাহাসি করি।’
৪০ বছর বয়সে স্বামীকে হারান সমজিট। সন্তানরা এখন বড় হয়ে দূরে চলে গেছে। মাঝে মাঝে তারা দেখতে আসে। এই স্কুলের বদৌলতে তার নিঃসঙ্গ অনুভূতি কিছুটা কমেছে।
থাইল্যান্ডে ৬৫ ও তদুর্ধ্ব জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ৭৫ লাখ। ২০৪০ সাল নাগাদ এই সংখ্যা বেড়ে ১ কোটি ৭০ লাখে দাঁড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ঐতিহ্যগতভাবে থাইল্যান্ডের বৃদ্ধরা পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গেই বাস করেন। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে চাকরির সুবাদে সন্তানরা রাজধানী বা দূরের কোনো জেলায় চলে গেলে নিঃসঙ্গ বাস করতে হয় বৃদ্ধ বাবা-মাকে। আর এ্ই সংখ্যাটা প্রতিনিয়তই বাড়ছে। তাদের এই নিঃসঙ্গতা কিছুটা হ্রাস করতে রাজধানী ব্যাংকক থেকে ৮০ কিলোমিটার উত্তরে আয়ুথায়ায় বৃদ্ধদের জন্য স্কুল গড়ে তোলা হয়েছে।
এলএবাংলাটাইমস/আই/এলআরটি
শেয়ার করুন