ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির আভাস
সান ডিয়েগো নৌ ঘাঁটিতে অগ্নিকাণ্ডের তদন্ত চলছে
এলএ বাংলা টাইমস
সান ডিয়েগো নৌ ঘাঁটির একটি জাহাজে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে একুশ জন আহত হয়েছেন। ন্যাভাল সারফেইস ফোর্সের মুখপাত্র মাইক রেনি বলেন, সকাল নয়টার একটু আগে ইউএসএস বোনাম রিচার্ড জাহাজে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। আহতদের মধ্যে সতেরো জন নেভি সদস্য ও চার জন অসামরিক মানুষ। তারা আশাঙ্কামুক্ত। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডের কারণ তদন্ত করা হচ্ছে। তৎক্ষণাৎভাবে এটা জানা যায়নি যে ঠিক কোথায় ৮৪০ ফুট এমপিবিয়াস এসাল্ট ভ্যাসেল বিস্ফোরিত হয়ে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এক্সপিডেশনারি স্ট্রাইক গ্রুপ-৩ এর কমান্ডার রেয়ার এডমিরাল ফিলিপ সোব্যাক বলেন, ‘নেভিরা মনে করেছিলেন নিচের কোনো কার্গো থেকে আগুন লেগেছে। যেখানে মেরিন উপকরণ ও যন্ত্রপাতি রাখা ছিলো। জ্বালিনি তেল, বিপজ্জনক দ্রব্য বা ইলেকট্রনিক কোনো কারণে আগুন লাগেনি। এটা কাগজ, কাপড় বা অন্য কোনো দ্রব্য থেকে ছড়িয়েছে।’ তিনি বলেন, বাতাসে বিষাক্ত কোনো দ্রব্য ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে তিনি উদ্বিগ্ন না। এখানে লক্ষ লক্ষ গ্যালন জ্বালানি তেল ছিলো। কিন্তু ওই গুলো সব ঠিক আছে। বিস্ফোরণ সম্ভবত বায়ু পরিবর্তনের কারণে হয়ে থাকতে পারে।’
সান ডিয়েগো হলো বোনাম রিচার্ড জাহাজের নিজস্ব ঘাঁটি। অগ্নিকাণ্ডের সময় এর রুটিন মেরামত কাজ চলছিলো। ১৬০ জন নেভি বোর্ডে ছিলো। ডিউটি চলাকালে হাজারের মতো জাহাজে ছিলো। ন্যাভাল অপারেশনের প্রধান মাইক গিলডে বলেন, ‘সকল নাবিককে এর জন্য জবাদিহি করতে হবে। স্থানীয়, ঘাঁটি, শিফবোর্ড ফায়ারফাইটারদের দ্রুত সাড়া প্রদানের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।’
ফোর্ডহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এডমিরেল্টি এন্ড ইন্টারন্যাশেনাল ম্যারিটাইম ল বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক লরেন্স বি. ব্রেনেন বলেন, ‘জাহাজটি তেইশ বছরের পুরানো। এতে হেলিকপ্টার, ছোট নৌকা ও উভচর যান অবতরণ করতে পারে। এর বয়সের জন্য যেকোনো অগ্নিকাণ্ড ধ্বংসাত্মক হতে পারে। বিশেষ করে এটা যদি ইঞ্জিন রুম পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে।’
এলএ বাংলা টাইমস/এস/আর
শেয়ার করুন