আপডেট :

        চাঁদের উদ্দেশে যাত্রা পাকিস্তানের স্যাটেলাইট

        এজলাস কক্ষে এসি স্থাপন সময়ের দাবি

        জিম্বাবুয়ের দেওয়া ১২৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করছে বাংলাদেশ

        জিম্বাবুয়ের দেওয়া ১২৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করছে বাংলাদেশ

        ট্রেনে গুনতে হবে বাড়তি ভাড়া

        রাজশাহীর গোদাগাড়ির ছেলে রাফায়েল টুডু ১২ গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতা

        রাজশাহীর গোদাগাড়ির ছেলে রাফায়েল টুডু ১২ গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতা

        স্বাধীন সাংবাদিকতাকে নিরুদ্দেশ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব

        কেজরিওয়াল ও রাহুলকে ঘিরে চড়ছে ভোটের পার

        রাজধানী ঢাকায় ঝুম বৃষ্টির সম্ভাবনা

        এক টেবিলে গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা দিলেন ১৮ জন!

        এক টেবিলে গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা দিলেন ১৮ জন!

        ‘বাংলাদেশ-ভারত নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে’

        স্বজনদের প্রার্থীতার বিষয়টি নিয়ে ব্যাখ্যা করলেন ওবায়দুল কাদের

        প্রথমবার আমেথিতে নেই গান্ধী পরিবারের

        প্রথমবার আমেথিতে নেই গান্ধী পরিবারের

        ব্যাটিং বিপর্যয়ে জিম্বাবুয়ে, বোলিং এ বাংলাদেশ

        শনিবার খুলছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

        বৃষ্টি কামনায় ব্যাঙের বিয়ে নিয়ে প্রচলিত আছে নানা গল্পকথা

        ১৯৩ জন নারী ও কন্যা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ

বিশ্বে প্রতি চার শরণার্থীর একজন সিরিয়ার

বিশ্বে প্রতি চার শরণার্থীর একজন সিরিয়ার

বিশ্বে এখন সিরীয়রাই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক শরণার্থী। গত বছরের মাঝামাঝি পর্যন্ত অন্তত ৩০ লাখ সিরীয় ভয়াবহ গৃহযুদ্ধ এড়াতে দেশ ছেড়েছেন। তারা বিশ্বের ১০০টিরও বেশি দেশে আশ্রয় নিয়েছেন। গত বছর বিশ্বজুড়ে অন্তত ৫৫ লাখ লোক বাস্তুচ্যুত হতে বাধ্য হয়েছেন। এদের মধ্যে ১৪ লাখ লোক অন্য দেশে আশ্রয় নিয়েছেন। গতকাল বুধবার জাতিসংঘ এ তথ্য জানিয়েছে। খবর :রয়টার্স, এনডিটিভি ও আলজাজিরা অনলাইন।বিশ্বজুড়ে বর্তমানে শরণার্থীর সংখ্যা কমপক্ষে এক কোটি ৩০ লাখ। তাদের মধ্যে সংখ্যায় সবচেয়ে বেশি ফিলিস্তিনিরা। অন্তত ৫০ লাখ ফিলিস্তিনি জাতিসংঘের একটি সংস্থা ইউএনআরডবি্লউএর অধীনে শরণার্থী হিসেবে রয়েছেন। তাদের পরেই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যাটি এখন সিরীয়দের। গড়ে মোট বৈশ্বিক শরণার্থীর প্রতি চারজনের একজন সিরীয় নাগরিক। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার হিসেবে ১৯৯৬ সালের বতর্মানে শরণার্থী সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এক বিবৃতিতে জাতিংসঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) অ্যান্টনিও গুটেরেস বলেন, বিশ্বসম্প্রদায় যতদিন চলমান সংঘাতগুলোর রাজনৈতিক সমাধান খুঁজে পেতে এবং নতুন সংঘাত শুরু হওয়া ঠেকাতে ব্যর্থ হবে, ততদিনই আমাদের এ নাটকীয় মানবিক বিপর্যয় মোকাবেলা করতে হবে। প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের মার্চে বিদ্রোহ শুরু করে সিরিয়াবিরোধী রাজনৈতিক দল ও গোষ্ঠীগুলো। একপর্যায়ে তা গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়। এ পর্যন্ত সে সংঘাতে অন্তত দুই লাখ লোক প্রাণ হারিয়েছেন। অর্ধেকের বেশি সিরীয় বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ইউএনএইচসিআরের হিসেবে, গত বছরের প্রথম ছয় মাসে বিশ্বজুড়ে অন্তত ৫৫ লাখ লোক ঘরবাড়ি ছাড়া হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৪ লাখ পাড়ি জমিয়েছেন অন্য কোনো দেশে। এ সময়ে মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা শরণার্থীদের প্রধান উৎসস্থলে পরিণত হয়েছে। তার আগে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে শরণার্থী সৃষ্টির মূল কেন্দ্র ছিল এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল। ফিলিস্তিনিদের বাদ দিলে গত তিন দশক ধরে শরণার্থীদের সংখ্যায় শীর্ষে ছিল আফগানরা। এবার তারা দ্বিতীয় স্থানে নেমে এসেছে। আফগানিস্তানের ২৬ লাখ লোক পাকিস্তান ও ইরানে আশ্রয় নিয়ে বসবাস করছে। তৃতীয় স্থানে রয়েছে সোমালিরা, ১১ লাখ। ইউএনএইচসিআরের হিসেবে, সিরীয় শরণার্থীরা আশ্রয় নিয়েছে প্রতিবেশী লেবানন, ইরাক, জর্ডান ও তুরস্কে। লেবাননের প্রতি এক হাজার বাসিন্দার বিপরীতে রয়েছে ২৫৭ জন সিরীয় শরণার্থী। যুদ্ধতাড়িত সিরীয়দের দ্বিতীয় আশ্রয়দাতা দেশ হচ্ছে জর্ডান। ইউএনএইচসিআর জানায়, গত বছর বিভিন্ন দেশে সবচেয়ে বেশি আশ্রয়ের আবেদনকারীও ছিলেন সিরীয়রা। ২০১৪ সালের প্রথম ছয় মাসে অন্তত ৫৯ হাজার ৬০০ সিরীয় আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেছেন। এসব আবেদনের ৪০ শতাংশই পেয়েছে জার্মানি ও সুইডেন। আশ্রয়ের আবেদনকারীদের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইরাকিরা। তারা করেছে প্রায় ২৯ হাজার আবেদন। গত বছর ইউরোপে পাড়ি জমাতে গিয়ে ভূমধ্যসাগরে জীবন দিতে হয়েছে অন্তত সাড়ে তিন হাজার মানুষকে।

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত