আপডেট :

        নিরাপদে পৃথিবীতে ‘পোলারিস ডন’ মিশনের মহাকাশচারীরা

        দেব-ইয়ান বোথামের রেকর্ডের সামনে সাকিব

        একটি স্বর্ণখনিকে কেন্দ্র করে উপজাতিদের সংঘর্ষ-গোলাগুলি, নিহত ৩০

        একটি স্বর্ণখনিকে কেন্দ্র করে উপজাতিদের সংঘর্ষ-গোলাগুলি, নিহত ৩০

        আবারও ক্ষমতায় ফেরার চেষ্টা বিতাড়িত রাজনৈতিক পরিবারের

        শেখ হাসিনার অবস্থানের বিষয়ে দিল্লির কাছে জানতে চায়নি ঢাকা

        মেট্রোরেলের পিলারে ‘ফাটল’, যা জানাল কর্তৃপক্ষ

        নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালন করবেন সেনাবাহিনী

        ইলিশ না পাঠানোর সিদ্ধান্ত ভালো লাগেনি: ফারুকী

        দীর্ঘ যুদ্ধের প্রস্তুতির কথা জানালো হামাস

        বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক উত্তরণকে সমর্থন করা গুরুত্বপূর্ণ: মার্কিন কূটনীতিক

        বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক উত্তরণকে সমর্থন করা গুরুত্বপূর্ণ: মার্কিন কূটনীতিক

        বাংলাদেশকে প্রায় দুই বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক

        বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক স্থিতিশীল রাখতে চাইঃ জয়শঙ্কর

        বিএনপির গণসমাবেশ চলছে

        ট্রাম্পকে মারতে ১২ ঘণ্টা ওত পেতে ছিলেন বন্দুকধারী

        আমি একজন পেশাদার সাংবাদিকঃ কোনো প্লট নেইনি

        বিশ্বব্যাংক হচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান

        হাত জোড় করে ক্ষমা চাইলেন মোজাম্মেল বাবু

        নেতাকর্মীদের প্রতি দুটি নির্দেশনা আওয়ামী লীগের

যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতার ব্যাপারে চূড়ান্ত ঘোষণা আসছে আগামী ডিসেম্বরে

যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতার ব্যাপারে চূড়ান্ত ঘোষণা আসছে আগামী ডিসেম্বরে

যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতার ব্যাপারে চূড়ান্ত ঘোষণা আসছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত এক কোটি ২০ লাখ আনডকুমেন্টেড অধিবাসীদের বৈধতা প্রদান করার ঘোষণা দেবে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। গত বুধবার প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি খুবই দৃঢ়তার সাথে বলেছেন, আমি এই বিষয়ে অনেক ধৈর্য ধরেছি। আর কোন অপেক্ষা নয়। হাউসে সংখ্যাগরিষ্ঠদলের নেতা বোয়েনারকে প্রায় এক বছর সময় দেয়া হয়েছে যাতে তিনি সিনেট ২০১৩ সালে বাইপার্টিজান সম্পর্কিত ইমিগ্রেশন বিলটি পাশে উদ্যেগ নিতে পারেন। আমরা এখন এ বিষয়টি ফেলে রেখে তাকে আর সময় দিতে পারি না। প্রেসিডেন্ট খুবই স্পষ্টভাবে বলেন, আমি আর অপেক্ষা করতে চাইনা। আমি পরিকল্পনা করেছি এ বছর শেষ হওয়ার আগেই আমার অঙ্গীকার অনুযায়ী সম্পর্কিত ইমিগ্রেশন রিফর্ম ইস্যুটি সমাধানে নির্বাহী আদেশ জারী করবো। মধ্যবর্তী নির্বাচনে ডেমোক্রেটদের ভরাডুবি ও ডেমোক্রেট সংখ্যাগরিষ্ঠ সিনেট রিপাবলিকদের কাছে হাতছাড়া হওয়ার পর বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে আত্মবিশ্বাসী প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা হোয়াইট হাউসে এক সাংবাদিক সম্মেলনে একথা বলেন। মধ্যবর্তী নির্বাচনের ফলাফলের পর প্রেসিডেন্টের এই ঘোষণায় যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে রিপাবলিকাদের সাথে বিভিন্ন ইস্যুতে একযোগে কাজ করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্টের নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। প্রেসিডেন্টকে এখন বিভিন্ন ক্ষেত্রে রিপাবলিকানদের সাথে সমঝোতার ক্ষেত্রে চাপমুক্তও মনে করা হচ্ছে। সেই সাথে হাউসে স্পীকার জন বোয়েনারের ওপর তার দলের পক্ষ থেকে যে প্রচন্ড চাপ ছিল সেটিও কমে আসবে। ফলে ওয়াশিংটনের নীতি নির্ধারণে বিশেষ করে ইমিগ্রেশন ইস্যু ও যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট ঘাটতি হ্রাসসহ বিভিন্ন ইস্যুতে এতদিন যে অচলাবস্থা চলছিল সেগুলো সমাধানে হোয়াইট হাউস ও কংগ্রেস উভয়পক্ষ হয়তো ইতিবাচকভাবে কাজ করতে পারবে। এদিকে সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা রিপালিকান ম্যাককোনেলও বলেছেন, তিনি সিনেটকে কার্যকর করতে এবং যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের স্বার্থে বিল পাস করতে ভূমিকা রাখবেন। প্রেসিডেন্ট ওবামাও বলেন, আগামী দুই বছরকে আরো কার্যকরীভাবে ব্যবহার করতে তিনি কংগ্রেসের সাথে কাজ করবেন। 
অপরদিকে হোয়াইট হাউজে শুক্রবার প্রেসিডেন্ট ওবামা ডেমোক্র্যাটিক ও রিপাবলিকান নেতৃবৃন্দের সাথে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করবেন। বুধবার ৭৪ মিনিটব্যাপী সংবাদ সম্মেলনে মধ্যবর্তী নির্বাচনে দলের পরাজয় সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেন, তিনি মনে করেন এ পরাজয় হোয়াইট হাউজের নেতৃত্ব বা নীতির পরাজয় নয়, ওয়াশিংটনের অচলাবস্থার বিরুদ্ধে এ রায় দেয়া হয়েছে। হোয়াইট হাউজে এই সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, এ ঘটনা আমাকে অবশ্যই আমার নীতি বাস্তবায়নে আটকে রাখবে না। বরং এই ফলাফল আমাকে আমার নীতির বাস্তবায়নে আরো উদ্যমী করতে প্রাণশক্তি যুগিয়েছে।
ওবামা বলেন, দুই দলই ভোটারদের হতাশা উপলব্ধি করেছে এবং তা কাটিয়ে উঠতে আমরা একসাথে কাজ করতে পারবো। তিনি আরো বলেন, 'আমরা অবশ্যই একসাথে কাজ করার উপায় খুঁজে বের করব। এখন আমাদের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলোর দিকেও নজর দিতে হবে।' তিনি বলেন, এটা ঠিক রিপাবলিকানদের জন্য এটি একটি শুভ দিন। তারা এখন সিনেটেও সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনের অধিকারী। হাউজেও তারা শক্তি বাড়িয়েছে। তবে সেই সাথে ওয়াশিংটনে অচলাবস্থা কাটিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে আরো গতিশীল করার ক্ষেত্রেও নতুন সুযোগ সৃষ্টি করেছে।  তিনি বলেন, প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ ভোটার ভোট কেন্দ্রে যাননি, এটার প্রধান কারণ, ওয়াশিংটনে যে অচলাবস্থা চলছে সেটির প্রতি তাদের অনীহা। হোয়াইট হাউসের নেতৃত্ব বা নীতির বিপক্ষে কোনো রায় দেয়নি। রিপাবলিকানদের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে সমঝোতায় আরো উদার মনোভাব ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আমি এখন পূর্বের চেয়ে অনেক বেশি চাপ মুক্ত। আমেরিকান জনগণ বিশ্বাস করে যে ওয়াশিংটন সঠিকভাবে কাজ করছে না। তারা একটিই বার্তা দিয়েছে, ওয়াশিংটন ভালোমতো কাজ করছে না। বুধবার এক বিবৃতিতে রিপাবলিকান নেতা ম্যাককনেল সিনেটকে আরো কার্যকর করার প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বলেন, 'কয়েক বছর ধরে বলতে গেলে কোনো কাজই করেনি সিনেট। আমরা এখন কাজে ফিরে যাবো এবং বিভিন্ন বিল পাস করার উদ্যোগ নেব।' এ ছাড়া তিনি প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সাথে মিলে বাণিজ্য চুক্তি এবং কর সংস্কার করারও অঙ্গীকার করেছেন। 

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত