আপডেট :

        ভারতে ভোটারদের আগ্রহ বাড়াতে বিনামূল্যে খাবার

        থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির আশা প্রধানমন্ত্রীর

        বাজারে বেড়েই চলছে অস্থিরতা

        ইংরেজ গায়ক, গীতিকার ও সঙ্গীতজ্ঞ জন লেননের গিটার

        ইংরেজ গায়ক, গীতিকার ও সঙ্গীতজ্ঞ জন লেননের গিটার

        ভারতে আজ চলছে ৭ দফা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফা

        উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল

        মানবাধিকারের উল্লেখযোগ্য উন্নতি

        প্রচণ্ড এই গরম থেকে মুক্তি পেতে বৃষ্টির জন্য বিভিন্ন জায়গায় নামাজ পড়ে দোয়া

        যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ, শতাধিক শিক্ষার্থী গ্রেফতার

        এফডিসিতে মারামারি: যৌথ বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হলো

        মার্কিন বিমান আটকে দিলো ‘যুদ্ধবিরোধী’ কুমির!

        চিতাবাঘের আক্রমণে আহত জিম্বাবুয়ের সাবেক ক্রিকেটার হুইটাল

        যুক্তরাষ্ট্রে গরুর দুধেও বার্ড ফ্লু শনাক্ত

        পবিত্র হজ পালনের অনুমতি দেওয়া শুরু করেছে সৌদি আরব

        গোপনে ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

        পার্লামেন্টে জুতা চুরি, খালি পায়ে ঘরে ফিরলেন পাকিস্তানের এমপিরা

        অনির্দিষ্টকালের জন্য চুয়েট বন্ধ ঘোষণা

        কুড়িগ্রামে হিটস্ট্রোকে মৃত্যু

        চীন সফর করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন

করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে আপনার/আমার যত করণীয়

করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে আপনার/আমার যত করণীয়

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ত্রিমাত্রিক ছবি



প্রাণঘাতী কভিড-১৯ (করোনাভাইরাস) আজ পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে সারা বিশ্বের ১৯৮টি দেশে। পুরো বিশ্ব, পুরো গ্রহে আজ ছড়িয়ে পড়েছে মরণব্যাধী এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব। এতো দ্রুত গতিতে এতো বিশাল সংখ্যক মানুষকে আর কেউ ঘায়েল করতে পেরেছে কিনা তা খতিয়ে দেখার কাজ ঐতিহাসিকদের। কিন্তু নতুন এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বারবার স্মরণ করিয়ে দেয় যে, এই গ্রহে বসবাসকারী আমরা কেউ বিচ্ছিন্ন প্রাণী নই। আমরা সবাই এক। 

প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটির সংক্রমণ বা প্রাদুর্ভাব কমাতে কিছু করণীয় কাজের কথা বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশ্বের প্রতিটি দেশের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার দেওয়া এই ম্যানুয়ালটি মেনে চলার কথা বলছে। 

যেহেতু সর্বনাশা এই ভাইরাসটির এখনো কোন প্রতিষেধক নেই। তাই আমাদের এ সকল করণীয় মেনে চলা শুধু আবশ্যক বা বাঞ্ছনীয় নয়, বাধ্যবাধকতা থাকা উচিত। তাই চলুন আপনি, আমি, আমরা সবাই মিলে এই গ্রহের স্বার্থে; বিশ্বমানবতার স্বার্থে নিচের করণীয় কাজগুলো মেনে চলি। প্রাণঘাতী করোনা থেকে নিজে নিরাপদ থাকি। সেইসাথে অন্যকে নিরাপদ রাখি। নিরাপদ রাখি আমাদের প্রিয় পরিবেশ ও প্রিয় পৃথিবীকে।   

করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে সবাইকে নিরাপদ রাখতে আপনার যত করণীয়

সামাজিক দূরত্বঃ 
চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞরা বারবার বলছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করার কথা। জানতে চান সামাজিক দূরত্ব কী? এই সামাজিক দূরত্ব বলতে বোঝায় ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ না করা। সম্মানজনক দূরত্ব বজায় রাখা। কারো সাথে দেখা করা বা কথাবার্তা বলার সময় কমপক্ষে ২-৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখা। যাতে করে ভাইরাসটি দ্রুত সংক্রমিত বা ছড়িয়ে পড়তে না পারে। সেইসাথে একত্রে অনেকে জড়ো না হওয়া, হৈ চৈ বা আড্ডাবাজি না করাই হল সামাজিক দূরত্ব। 
যা পরিহার করবেন 
কোন একটি গ্রুপে একত্রে জড়ো হওয়া। অতিরিক্ত ঘুমানোর অভ্যাস। থিয়েটারে যাওয়া। সকল প্রকার খেলাধুলা ও খেলার মাঠ থেকে বিরত থাকা। প্রেমিকার সাথে বাইরে ডেটিং এ যাওয়া। বাইরে ঘুরতে যাওয়া। অ্যাথলেটিক ইভেন্ট। জনবহুল স্থানে গমন। শপিং মল, বার, রেস্টুরেন্ট বা অপ্রয়োজনীয় কাজে ভ্রমণ। এমনকি আপনার বাসায় অতিথি আগমনও বন্ধ করতে হবে আপনাকে। 
ভাবছেন, এসব কেন পরিহার করবেন? এসব পরিহার করবেন কারণ প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি যাতে কোনভাবেই একজন থেকে আরেকজনের শরীরে ছড়িয়ে পড়তে না পারে। যুক্তরাষ্ট্রের ‘সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)’, ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, লস অ্যাঞ্জেলেস এবং প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটির নিয়ে গবেষণা করেন। 

তাদের করা গবেষণা ফলাফলে দেখা যায়, নতুন এই ভাইরাসটি বাতাসে সর্বোচ্চ ৩ ঘণ্টা পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে। কাঠের উপর এই টিকে থাকার সময় হল ২৪ ঘণ্টা। আর প্লাস্টিক বা স্টেইনলেস স্টিলের উপর এই সময় ২-৩ দিন। এবার ভাবুন। 
সুতরাং আপনার করোনা নাই। এসব বিধি আপনার জন্য নয়। যতদ্রুত সম্ভব এই মানসিকতা পরিহার করুন। কেন? কারণ গত বৎসরের ডিসেম্বরে এই ভাইরাসটি শুধু উহানেই ছিল। আপনার, আমার এই বীরত্বপূর্ণ মানসিকতার জন্যই এটা আজ বিশ্বের ১৯৮টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।        
যা করা নিরাপদ 
বাসায় বসে এখন যা করা নিরাপদ। হাঁটা চলা করেন। বাসায় কাজ করেন। নিজ আঙিনায় খেলাধুলা করেন। ভাল বই পড়েন। রান্নাবান্না করেন। গান শুনেন। গ্রুপে ভিডিও চ্যাট করেন। সিনিয়র প্রতিবেশীদের কল বা টেক্সট করেন। বন্ধুকে টেক্সট বা কল করেন। পরিবারকে সময় দেন। আর বারবার সাবান পানি দিয়ে নিজের হাত ধুয়ে পরিষ্কার করে। ভাবছেন বারবার মানে আবার কতবার? কমপক্ষে ১৫-১৬ বার। 
এর বাইরে ভাল থাকার জন্য আপনি করতে পারেন আরও নানা সৃজনশীল কাজ। নিজে নিরাপদ থাকুন। অন্যকে নিরাপদ রাখুন। আর এই দায়িত্ব আপনার, আমার সকলের।   

আর্টিকেলটি লিখতে গিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা ও ক্যালিফোর্নিয়া স্বাস্থ্যবিভাগ কর্তৃক প্রকাশিত বিভিন্ন লিফলেট ও ম্যানুয়ালের সাহায্য নেওয়া হয়েছে। 

 

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত