আমি যেন এক ধূর্ত ভলপোনি
ভলপোনির মতো ভীষণ চতুর লোক এক, করিনা তেমন কোনো কারবার,
সুযোগ পেলেই নিজ প্রয়োজনে করি অন্যের সব স্বপ্ন চুরমার !
অতিবুদ্ধির কারণে জীবনে যাইনি কভু হেরে,
নীতিহীন আর সুচতুর, একে একে সবকিছু নেই কেড়ে !
স্বজনের সহায় সম্বল নিয়েছি কড়ায় গন্ডায় মেপে ,
যদিও অসহায় দলিলদাতাদের হাত উঠেছিলো বারবার কেঁপে ।
আমি এক পাকা ওস্তাদ, লোকচোখে দেই ধুলো,
ভাবি লোকেরা সব গরু কিংবা গাধা, খায় শুধু মুলো ।
স্বার্থের কারণে করতে পারিনা আপন-পর তফাৎ,
সময় সুযোগ পেলেই সবাইকে করি কুপোকাৎ ।
কখনো ভাবিয়ে তোলেনা আমায় আপনজনের কান্না,
পরের টাকায় কেনা চালে হয় আমার বিরানী পোলাও রান্না ।
সবাই প্রথম দেখে ভাবে আমি নির্ঘাৎ ছড়াই আলো,
কেউ না জানুক আমি জানি, আমার ভেতর কতো কদাকার ও কালো !
সবাই ভাবে একদিন হবে আলোময় এক ভোর,
ততদিনে অনেক ঘটনা, কাটে যখন সবার ঘোর ।
মহাসড়কের পাশে গড়েছি বহুতল এক বাড়ি,
বিভিন্ন ব্যাঙ্কে জমিয়েছি টাকা কাঁড়ি কাঁড়ি ।
এখনও আমার কূটকর্মের হয়নি শেষ,
আমাতে নেই বিবেকতাড়িনা, মানবতার লেশ !
শেয়ার করুন