আপডেট :

        আবারও একবার টিভি পর্দায় ফিরে এলো ডকুড্রামা ‘হাসিনা

        এশিয়ার ফুটবলে নতুন করে বর্ষপঞ্জি সাজিয়েছে এএফসি

        যারা একবেলা খেতে পারতো না, তারা এখন চারবেলা খায়ঃ শেখ হাসিনা

        এশিয়ার ফুটবলে নতুন করে বর্ষপঞ্জি সাজিয়েছে এএফসি

        দরজায় কড়া নাড়ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর

        ১০ হাজার বাংলাদেশি অভিবাসীদের ফেরত পাঠাচ্ছে ব্রিটেন

        সহজেই কিছু ফেসপ্যাক বানানোর টিপস

        অন্ততপক্ষে ২০ এমবিপিএসেক আমরা সর্বনিম্ন ব্রডব্যান্ড হিসেবে ঘোষণা করবঃ পলক

        সবজির বাজারে লাফিয়ে বাড়লো কাঁচা মরিচের দাম

        ঝুঁকি বিবেচনায় এআই আইন করা হবে

        গুগল ট্রান্সলেটরে মুখের কথা অন্য ভাষায় অনুবাদ করার পদ্ধতি

        বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ তাই দুই মাস পর পর ঋতু পরিবর্তন

        বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ তাই দুই মাস পর পর ঋতু পরিবর্তন

        বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের রহস্যজনক নিষ্ক্রিয়তায় ছাত্রলীগ হলগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে বলে অভিযোগ

        বাংলাদেশে আসতে চলেছেণ তুর্কি সুপারস্টার অভিনেতা বুরাক ঔজচিভিত

        পিরামিড তৈরির রহস্য সমাধানের আশা গবেষকদের

        সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ঋষি সুনাকের

        সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ঋষি সুনাকের

        ছোট ভাইয়ের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় সঙ্গে ছিলেন পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি

        ছোট ভাইয়ের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় সঙ্গে ছিলেন পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি

ইমিগ্র্যাশনের কাছে অসহায় এক বাংলাদেশী!

ইমিগ্র্যাশনের কাছে অসহায় এক বাংলাদেশী!

স্ত্রী এবং তিন ছেলেমেয়েকে রেখে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত সৈয়দ আহমেদ জামালকে ডিপোর্ট করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেবার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করছে আমেরিকার ইমিগ্রেশন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা Immigration and Customs Enforcement (ICE)। চলমান ইমিগ্র্যাশন আইন ও অবৈধ ইমিগ্র্যান্ট বিরুধী অভিযানের কাছে অসহায় হয়ে পড়েছেন তিনি।

জানায় যায়, গত ৩০ বছর ধরে ক্যানসাস অংগরাজ্যের লরেন্স সিটিতে পরিবার নিয়ে বসবাসরত পেশায় বিজ্ঞানী ৫৫ বছর বয়স্ক সৈয়দ আহমেদ জামালকে লরেন্সে তাঁর বাড়ির সামনে থেকে ICE গ্রেফতার করে গত ২৪শে জানুয়ারি সকালে । তখন ছেলে-মেয়েদেরকে স্কুলে নিয়ে যাবার জন্য বাড়ির বাইরে বেরিয়েছিলেন তিনি ।

আইস বলেছে , ইমিগ্রেশন জাজের রায় লংঘন করে বেঅইনীভাবে এদেশে অবস্থান করার কারণে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । তিনি এখন ডিপোর্টেশন সেন্টারে আইসের হেফাজতে আছেন । আইনি প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করে তাঁকে নিজ জন্মভূমি বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেবার প্রস্তুতি চলছে ।

গত তিন দশক ধরে এদেশে বসবাসরত জনাব জামাল এদেশ থেকেই বিজ্ঞানে নিয়েছেন আন্ডার গ্র্যাজুয়েট ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রী ।  সভ্য, রুচিশীল ভদ্রলোক এবং পরিবারের প্রতি দায়িত্ববান ব্যক্তি  হিসেবেই সবাই তাঁকে জানে ।

তাঁদের তিন সন্তানের সবাই এদেশে জন্ম নেয়া আমেরিকান সিটিজেন । এখন তাঁর স্ত্রীর আশংকা, পরিবার তাঁকে হয়তো আর কোনদিন দেখতে পাবে না । একই আশংকা তাঁর সন্তানদেরও । “ আমার বাবা একজন আগাগোড়া ভালো মানুষ । কখনো কারো ক্ষতি করেন নি ।” মেয়ে নাহিন কাঁদতে কাঁদতে বললো । বড ছেলে বললো, “ বাবা হলেন একজন পরিবার অন্ত:প্রাণ মানুষ ।”

সৈয়দ জামালকে ডিপোর্ট না করে এদেশে থাকতে দেবার জন্য একটি অনলাইন পিটিশন খোলা হয়েছে যাতে স্বাক্ষর পড়েছে ৮০০০টি । সবাইকে এই পিটিশনে স্বাক্ষর করার জন্য পরিবার এবং বন্ধু বান্ধবদের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে ।

পিটিশনে তাঁকে একজন পরিবার অন্ত:প্রাণ , সামাজিক মানুষ ও বিজ্ঞানী বলে উল্লেখ করা হয়েছে ।

আইসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জামাল যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার শর্ত ভঙ্গের কারণে নিজ দেশে ফিরে যাবার জন্য দেয়া মার্কিন আদালতের দেয়া রায় লংঘন করে এদেশে অবৈধভাবে অবস্থান করছিলেন ।

আইসের বিবৃতি অনুযায়ী, সৈয়দ জামাল ১৯৮৮ সালের জুলাই মাসে টেম্পরারি নন ইমিগ্র্যান্ট ভিসা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন । কিন্তু ভিসার মেয়াদ শেষেও অনেকদিন ওভারস্টে করেন । ফলে একজন ফেডারেল ইমিগ্রেশন জাজ তাঁকে ১২০ দিনের সময়সীমা নির্ধারণ করে দেন আমেরিকা ছাড়ার । তিনি আদালতের নির্দেশ মেনে দেশে ফিরে যান । তবে তিনমাস পরে আবারো একই ভিসা নিয়ে আমেরিকায় পরিবারের কাছে আসেন । আবারো ভিসার মেয়াদ শেষে ওভারস্টে করেন । সে কারণে আবারো ফেডারেল ইমিগ্রেশন জাজ তাঁকে ১২০ দিনের সময় সীমা বেঁধে দিয়ে আমেরিকা ছাড়তে বলেন । কিন্তু এবার তিনি ফিরে যান নি । আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে থেকে যান । আদালতের কাছে এব্যাপারে রিপোর্ট দাখিল করা হলে আদালত ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁকে ধরে আমেরিকা থেকে বের করে দিতে ইমিগ্রেশনকে নির্দেশ দেন । সেই থেকে তিনি আইসের কালো তালিকাভুক্ত হন এবং তাঁকে হন্যে হয়ে খুঁজতে থাকে তারা । এরই ধারাবাহিকতায় এবার তাঁকে ধরা হয় ।


এলএবাংলাটাইমস/এএল/এলআরটি

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত