বাসিন্দারা জানতেন ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ, মৃত বেড়ে ১২
ছবি: এলএবাংলাটাইমস
ফ্লোরিডার মিয়ামি-ডেড কাউন্টির যেই ভবনটি ধসে গেছে, সেই ভবনটি যে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে, সে বিষয়ে অবগত ছিলেন বাসিন্দারা।
চলতি বছরের এপ্রিল মাসেই বাসিন্দাদের এক চিঠি দিয়ে জানানো হয়, ভবনটির অবকাঠামোগত ঝুঁকি বেড়েছে।
প্রেসিডেন্ট অব দ্য অ্যাপার্টমেন্ট ব্লক'স বিল্ডিং অ্যাসোসিয়েশন এই চিঠি বাসিন্দাদের কাছে পাঠায়।
চিঠিতে লেখা হয়, '২০১৮ সালে ভবনের যেই ক্ষতি শনাক্ত হয়, সেটি আরো বেড়েছে৷ দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে ভবনের ক্ষতি আরো দ্রুত বাড়বে'।
এখন পর্যন্ত ১২ তলা আবাসিক ভবনটি ধসের ঘটনায় ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে ১৪৯ জন।
এই ভবন ধসের ঘটনায় বিল্ডিং অ্যাসোসিয়েশনের বিরুদ্ধে 'ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ এবং অবহেলার' মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে, মঙ্গলবারেও পুরোদমে সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে উদ্ধারকর্মীরা। সার্ফসাইডের মেয়র চার্লস বুরকেট বলেন, 'আমরা কেউই আশা ছাড়িনি৷ আমরা কেউই থামছি না। বরং পূর্ণ শক্তি দিয়ে কাজ করছি'।
ফ্লোরিডার গভর্নর রস ডিসান্টিস বলেন, 'মিলিটারি কাউকে যদি খুঁজে পাওয়া না যায়, তবে তাকে শেষ পর্যন্ত খোঁজা হয়। এখানেই তাই হচ্ছে'।
শতাধিক উদ্ধারকর্মী ভবনের ধংসস্তুপ সরিয়ে উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। ম্যাক্সিকো ও ইজরায়েলের উদ্ধারকর্মীরাও যোগ হয়েছেন।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উদ্ধারকর্মীরা ধংসস্তুপ থেকে একটু একটু করে ইট-কংক্রিট সরাচ্ছেন ও জীবিত কারো সন্ধান করে যাচ্ছেন।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
শেয়ার করুন