ফ্লোরিডায় ভবন ধস: আর কাউকে জীবিত উদ্ধারের আশা নেই
ছবি: এলএবাংলাটাইমস
ফ্লোরিডার মায়ামি-ডেড কাউন্টির আবাসিক ভবন ধসের ঘটনায় ধংসস্তুপের ভেতর থেকে আর কাউকে জীবিত উদ্ধারের আশা নেই বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকর্মীরা৷
উদ্ধারকরীরা উদ্ধার অভিযানে পরিবর্তন এনেছেন৷ 'সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ' অভিযানের বদলে তারা এখন 'রিকোভারি ইফোর্ট' দিচ্ছেন৷
প্রায় ১২ দিন আগে রাতের আঁধারে সার্ফসাইডের এই আবাসিক ভবনটি ধসে পরে৷ এতোদিন ধরে জীবিত কাউকে উদ্ধারের আশা থাকলেও এখন অভিযানে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
নগর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত এই ভবন ধসে মারা গেছেন ৫৪ জন। এখনো নিখোঁজ আছে ৮৬ জন।
ভবন ধসের শুরুর দিকে ছাড়া এরপর আর জীবিত কাউকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। উদ্ধারকর্মীরা জানান, মৃতদের অনেককে তাদের বিছানায় শোয়া অবস্থায় পাওয়া গেছে।
মূলত মিয়ামি-ডেড কাউন্টির অ্যাসিস্ট্যান্ট ফায়ার চিফ রেইডি জাদাল্লাহ ও নিখোঁজদের স্বজনদের সাথে ব্যক্তিগত আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সার্ফসাইড মেয়র চার্লস বুরকেট বলেন, 'আজকের সিদ্ধান্তটি অনেক কঠিন'।
তিনি বলেন, 'উদ্ধারকর্মীরা দিন-রাত জীবিত কাউকে উদ্ধার করার আশায় কাজ করে গেছেন। তবে এখন আর কাউকে জীবিত উদ্ধারের আশা শূন্য। এখন রিকোভারি ইফোর্ট নেওয়া হচ্ছে'।
তবে এখনো মিরাকল কিছু ঘটার আশায় আছেন উদ্ধারকর্মীরা। ১২ ঘণ্টা শিফট হিসেবে দিন-রাত কাজ করেছেন উদ্ধারকর্মীরা৷ ম্যাক্সিকো এবং ইজরায়েলের উদ্ধারকর্মীরাও কাজ করছেন।
বুধবার ধংসস্তুপের ভেতর থেকে ১০টি মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে৷ উদ্ধারকর্মীরা জানান, তারা বড় একটি কংক্রিটের ধস সরাতে সক্ষম হয়েছেন।
জুন ২৪ তারিখে ঘটে যাওয়া এই ধসের কারণ জানতে গ্র্যান্ড জুরি ইনভেস্টিগেশন করা হচ্ছে।
এর আগে, উদ্ধারকাজ গতিশীল করতে এবং আসন্ন উপকূলীয় ঝড়ের কারণে ঝুঁকি সৃষ্টি হওয়ায় ভবনের অক্ষত অংশটি গুড়িয়ে দেওয়া হয়।
রবিবার (৪ জুলাই) রাতের দিকে বিস্ফোরকের মাধ্যমে চ্যাম্পলেইন টাওয়ার সাউথের বাকি অংশ গুড়িয়ে দেওয়া হয়।
ভবন গুড়িয়ে দেওয়ার কারণে উদ্ধারকাজ বেশ কিছু সময়ের জন্য বন্ধ ছিল। উদ্ধারকর্মীরা এখন আবারো উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে৷
ভবন ধসের শুরুর দিকে বেশ কয়েকজনকে জীবিত উদ্ধার করা গেলেও পরবর্তীতে আর কাউকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
শেয়ার করুন