বাহামাসের একই রিসোর্টে ৩ ঘণ্টার ব্যবধানে দুই মার্কিন নাগরিকের মৃত্যু
ট্রাম্পের শুল্কনীতিতে বছরে ২ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির আশঙ্কা ফোর্ডের
ছবিঃ এলএবাংলাটাইমস
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফোর্ড জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক নীতির ফলে চলতি বছরে কোম্পানিটির প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা) অতিরিক্ত খরচ হতে পারে, যা পূর্বাভাসের চেয়েও বেশি।
যদিও ফোর্ড বেশিরভাগ গাড়ি যুক্তরাষ্ট্রেই তৈরি করে, তবুও শুল্কজনিত এই বিশাল ব্যয় কোম্পানির উপর চাপ সৃষ্টি করছে।
ফোর্ডের হিসাব অনুযায়ী, গত জুন পর্যন্ত তিন মাসে তারা ৮০০ মিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত শুল্ক পরিশোধ করেছে। এছাড়াও একটি ইলেকট্রিক গাড়ির প্রকল্প বাতিল করায় কোম্পানিটি অতিরিক্ত ক্ষতির মুখে পড়েছে।
এটি ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্ক নীতির প্রভাবের আরেকটি বড় উদাহরণ, যা আমেরিকার বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি করছে এবং বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থা নতুন করে গড়ে তোলার প্রচেষ্টাকে চ্যালেঞ্জে ফেলছে।
তবে, ফোর্ড বলছে যে, তাদের অনেক উৎপাদনই যুক্তরাষ্ট্রে হওয়ায় অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানের তুলনায় শুল্কের প্রভাব কিছুটা কম পড়ছে।
ফোর্ডের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা শেরি হাউস জানান, মেক্সিকো ও কানাডা থেকে আসা গাড়ি ও যন্ত্রাংশে শুল্ক প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সময় ধরে প্রযোজ্য থাকায় তারা তাদের বার্ষিক শুল্ক ব্যয়ের পূর্বাভাস বাড়িয়েছে।
তিনি আরও জানান, আমদানিকৃত অ্যালুমিনিয়াম ও স্টিলের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত শুল্কও ফোর্ডের খরচ বাড়িয়ে দিচ্ছে।
গত সপ্তাহে, ফোর্ডের প্রতিদ্বন্দ্বী জেনারেল মোটরস (GM) জানিয়েছে যে তারা ইতোমধ্যেই ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে শুল্কের কারণে। ভক্সওয়াগেন এই ক্ষতির পরিমাণ ১.৫ বিলিয়ন ডলার বলেছে।
ফোর্ডের সিইও জিম ফারলি জানান, শুল্ক কমানোর বিষয়ে হোয়াইট হাউসের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে প্রতিষ্ঠানটি। বিশেষ করে, যেসব গাড়ির যন্ত্রাংশে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে, সেগুলোতে ছাড় আদায়ের চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, "চুক্তি আলোচনা কীভাবে এগোয়, তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। ভালো কিছু হবার সম্ভাবনা আমরা দেখছি।"
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইতোমধ্যে বেশিরভাগ পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়েছেন এবং বিশেষভাবে গাড়ি, গাড়ির যন্ত্রাংশ ও উৎপাদনে ব্যবহৃত মূল কাঁচামালের ওপর লক্ষ্য করে শুল্ক আরোপ করেছেন।
ট্রাম্প দাবি করেছেন, এই পদক্ষেপগুলোর লক্ষ্য হলো দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোকে আমেরিকাতেই পণ্য উৎপাদনে উৎসাহিত করা।
ফোর্ডের শেয়ার মূল্য বুধবার নিউইয়র্কে লেনদেন শেষে প্রায় ১.৫% কমে গেছে, কোম্পানির আয় ঘোষণার পর।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
শেয়ার করুন