পলাতক পুলিশ কর্মকর্তাদের শাস্তি: সরকার প্রত্যাহার করল সম্মাননা
মালাউই ও জাম্বিয়ার নাগরিকদের জন্য মার্কিন ভিসায় ১৫,০০০ ডলার জামানত বাধ্যতামূলক
ছবিঃ এলএবাংলাটাইমস
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা দিয়েছে, মালাউই এবং জাম্বিয়ার নাগরিকদের বিজনেস বা ট্যুরিস্ট ভিসা (B-1/B-2) পেতে হলে এখন থেকে ১৫,০০০ মার্কিন ডলার (প্রায় ১১,৩০০ পাউন্ড) জামানত প্রদান করতে হবে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, এই পদক্ষেপটি একটি ১২ মাসের পরীক্ষামূলক কর্মসূচির অংশ, যার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে যেসব দেশের নাগরিকরা ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও যুক্তরাষ্ট্রে থেকে যান, তাদের সংখ্যা কমানো।
মঙ্গলবার প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যেসব দেশের নাগরিকদের ভিসা ওভারস্টে (সময়সীমা শেষ হওয়ার পরও যুক্তরাষ্ট্রে থাকা) হার বেশি এবং যেসব দেশের স্ক্রিনিং ও ভেরিফিকেশন ব্যবস্থা দুর্বল, তাদের নাগরিকদের ক্ষেত্রেও ভবিষ্যতে এমন জামানত বাধ্যতামূলক করা হতে পারে। নির্ধারিত সময় শেষে দেশ ত্যাগ করলে এই জামানত ফেরত দেওয়া হবে।
মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের ২০২৩ সালের পরিসংখ্যান অনুসারে, মালাউইর প্রায় ১৪% এবং জাম্বিয়ার প্রায় ১১% ভিসাধারী যুক্তরাষ্ট্রে অতিরিক্ত সময় অবস্থান করেন। অন্যদিকে হাইতির ৩১%, মিয়ানমারের ২৭% এবং ইয়েমেনের ২০% ভিসাধারী একই অপরাধে অভিযুক্ত।
জাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুলাম্বো হেইম্বে বলেন, "আমরা মার্কিন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করছি যেন পুরো বিষয়টি বোঝা যায় এবং এই সমস্যাগুলোর পেছনের মূল কারণ কীভাবে সমাধান করা যায় তা খুঁজে বের করা যায়।"
এই সিদ্ধান্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন নিয়ন্ত্রণের নীতিরই অংশ। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার দিনই তিনি একটি নির্বাহী আদেশে অবৈধ অভিবাসন রোধে কড়া নির্দেশনা জারি করেন।
তার প্রশাসন ইতোমধ্যে ১২টি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা এবং আরও ৭টি দেশের ক্ষেত্রে আংশিক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। অনেক আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করা হয়েছে এবং তাদের বেশ কয়েকজনকে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্পাস থেকে হঠাৎ করে আটকও করা হয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, যেসব ব্যক্তি দেশের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যদিও কিছু আইনজীবী বলছেন, অনেক ক্ষেত্রে প্রবাসীদের গাড়ি চালানোর সময় গতি সীমা অতিক্রমের মতো ছোটখাটো অপরাধ বা নতুন অভিবাসন নীতির আওতায় রাজনৈতিক মতামতের কারণে ভিসা বাতিলের ঘটনা ঘটছে।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
শেয়ার করুন